بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
فَمَنۢ بَدَّلَهُۥ بَعۡدَمَا سَمِعَهُۥ فَإِنَّمَآ إِثۡمُهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ يُبَدِّلُونَهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ
সুতরাং যে ব্যক্তি ওসীয়ত শ্রবণ করার পর পরিবর্তন সাধন করে, তবে সেটার গুনাহ সেসব পরিবর্তনকারীদের উপরই বর্তাবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
فَمَنۡ خَافَ مِن مُّوصٖ جَنَفًا أَوۡ إِثۡمٗا فَأَصۡلَحَ بَيۡنَهُمۡ فَلَآ إِثۡمَ عَلَيۡهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
তারপর যে ব্যক্তি এ আশংকা বোধ করে যে, ওসীয়তকারী কিছু অন্যায় কিংবা পাপ করেছে, অতঃপর সে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলে, তার উপর কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন পূর্ববর্তীদের উপর ফরয হয়েছিল, যাতে তোমাদের পরহেয্গারী অর্জিত হয় ;
أَيَّامٗا مَّعۡدُودَٰتٖۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۚ وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدۡيَةٞ طَعَامُ مِسۡكِينٖۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيۡرٗا فَهُوَ خَيۡرٞ لَّهُۥۚ وَأَن تَصُومُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ
গণনাকৃত দিনসমূহ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ রুগ্ন হও কিংবা সফরে থাকো, অতঃপর ততো সংখ্যক রোযা অন্যান্য দিন-সমূহে। আর যাদের মধ্যে এর সামর্থ্য না থাকে তারা এর বিনিময়ে (ফিদিয়া) দেবে একজন মিসকীনের খাবার। অতঃপর যে ব্যক্তি নিজ থেকে সৎকর্ম অধিক করবে তবে তা তার জন্য উত্তম এবং রোযা রাখা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর যদি তোমরা জানো।
شَهۡرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلۡقُرۡءَانُ هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ وَلِتُكۡمِلُواْ ٱلۡعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُواْ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ
রমযানের মাস, যাতে ক্বোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হিদায়ত ও পথ নির্দেশ এবং মীমাংসার সুস্পষ্ট বাণীসমূহ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাসপাবে, সে যেন অবশ্যই সেটার রোযা পালন করে। আর যে ব্যক্তি রুগ্ন হয় কিংবা সফরে থাকে, তবে ততো সংখ্যক রোযা অন্যান্য দিনসমূহে। আল্লাহ্ তোমাদের উপর সহজ চান এবং তোমাদের উপর ক্লেশ চান না; আর এ জন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূরণ করবে এবং আল্লাহ্র মহিমা বর্ণনা করবে এর উপর যে, তিনি তোমাদেরকে হিদায়ত করেছেন। আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعۡوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ فَلۡيَسۡتَجِيبُواْ لِي وَلۡيُؤۡمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمۡ يَرۡشُدُونَ
এবং হে মাহবুব! যখন আপনাকে আমার বান্দাগণ আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, আমি তো নিকটেই আছি; প্রার্থনা গ্রহণ করি আহ্বানকারীর যখন আমাকে আহ্বান করে। সুতরাং তাদের উচিৎ যেন আমার নির্দেশ মান্য করে এবং আমার উপর ঈমান আনে, যাতে পথের দিশা পায়।
أُحِلَّ لَكُمۡ لَيۡلَةَ ٱلصِّيَامِ ٱلرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَآئِكُمۡۚ هُنَّ لِبَاسٞ لَّكُمۡ وَأَنتُمۡ لِبَاسٞ لَّهُنَّۗ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمۡ كُنتُمۡ تَخۡتَانُونَ أَنفُسَكُمۡ فَتَابَ عَلَيۡكُمۡ وَعَفَا عَنكُمۡۖ فَٱلۡـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبۡتَغُواْ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ثُمَّ أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيۡلِۚ وَلَا تُبَٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمۡ عَٰكِفُونَ فِي ٱلۡمَسَٰجِدِۗ تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَقۡرَبُوهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ
রোযার রাতগুলোতে আপন স্ত্রীদের নিকটে যাওয়া তোমাদের জন্য হালাল হয়েছে; তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ্ জেনেছেন যে, তোমরা নিজেদের আত্মাগুলোকে অবিশ্বস্ততার মধ্যে ফেলেছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। সুতরাং এখন তোমরা তাদের সাথে সঙ্গত হও; এবং তালাশ করো- আল্লাহ্ যা তোমাদের ভাগ্যে লিপিবদ্ধ করেছেন; এবং পানাহার করো এ পর্যন্ত যে, তোমাদের নিকট প্রকাশ পেয়ে যাবে শুভ্ররেখা কৃষ্ণরেখা থেকে, ভোর হয়ে; অতঃপর রাত আসা পর্যন্ত রোযাগুলো সম্পূর্ণ করো; এবং স্ত্রীদের গায়ে হাত লাগাবে না যখন তোমরা মসজিদগুলোতে ই’তিকাফরত থাকো। এগুলো আল্লাহ্র সীমারেখা, এগুলোর নিকটে যেওনা। আল্লাহ্ এভাবেই বর্ণনা করেন লোকদের জন্য আপন নির্দশনগুলো, যাতে তাদের পরহেয্গারী অর্জিত হয়।
وَلَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ وَتُدۡلُواْ بِهَآ إِلَى ٱلۡحُكَّامِ لِتَأۡكُلُواْ فَرِيقٗا مِّنۡ أَمۡوَٰلِ ٱلنَّاسِ بِٱلۡإِثۡمِ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ
এবং পরষ্পরের মধ্যে একে অপরের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং না বিচারকদের নিকট তাদের মুকাদ্দমা এজন্য পৌঁছাবে যে, লোকজনের কিছু ধন-সম্পদ অবৈধভাবে গ্রাস করে নেবে, জেনে-বুঝে।
۞يَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡأَهِلَّةِۖ قُلۡ هِيَ مَوَٰقِيتُ لِلنَّاسِ وَٱلۡحَجِّۗ وَلَيۡسَ ٱلۡبِرُّ بِأَن تَأۡتُواْ ٱلۡبُيُوتَ مِن ظُهُورِهَا وَلَٰكِنَّ ٱلۡبِرَّ مَنِ ٱتَّقَىٰۗ وَأۡتُواْ ٱلۡبُيُوتَ مِنۡ أَبۡوَٰبِهَاۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ
(হে হাবীব!) আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে (তারা) জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলে দিন, ‘সেটা সময়ের কতগুলো প্রতীক, মানবজাতি ও হজ্জে্র জন্য। আর এটা কোন পূণ্যময় কাজ নয় যে, গৃহগুলোর মধ্যে পেছনে দরজা কেটে আসবে। হাঁ, পূণ্য তো খোদাভীরুতাই; এবং ঘরগুলোতে দরজা দিয়েই প্রবেশ করো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকোএ আশায় যে, সাফল্য অর্জন করবে।’
وَقَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَكُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ
এবং আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং সীমা অতিক্রম করো না। আল্লাহ্ পছন্দ করেন না সীমা অতিক্রমকারীদেরকে।