Quran Quote  :  Allah would not wrong transgressors, but it is they who wronged themselves. - 29:40

সূরা আল-বাকারাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [190-200] পর্যন্ত

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ ثَقِفۡتُمُوهُمۡ وَأَخۡرِجُوهُم مِّنۡ حَيۡثُ أَخۡرَجُوكُمۡۚ وَٱلۡفِتۡنَةُ أَشَدُّ مِنَ ٱلۡقَتۡلِۚ وَلَا تُقَٰتِلُوهُمۡ عِندَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ حَتَّىٰ يُقَٰتِلُوكُمۡ فِيهِۖ فَإِن قَٰتَلُوكُمۡ فَٱقۡتُلُوهُمۡۗ كَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلۡكَٰفِرِينَ

এবং কাফিরদেরকে যেখানে পাও হত্যা করো এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তোমাদেরকে তারা বের করেছিলো। আর তাদের ফিৎনা তো হত্যা অপেক্ষাও প্রচণ্ডতর এবং মসজিদে হারামের নিকট তাদের সাথে যুদ্ধ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের সাথে সেখানে যুদ্ধ না করে। আর যদি তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তবে তাদেরকে হত্যা করো। কাফিরদের এটাই শাস্তি।

فَإِنِ ٱنتَهَوۡاْ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

অতঃপর যদি তারা বিরত থাকে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ فَإِنِ ٱنتَهَوۡاْ فَلَا عُدۡوَٰنَ إِلَّا عَلَى ٱلظَّـٰلِمِينَ

এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যে যাবৎ কোন ফিৎনা না থাকে এবং এক আল্লাহ্‌রই ইবাদত হতে থাকে। অতঃপর যদি তারা বিরত হয়, তবে আক্রমণ নেই, কিন্তু যালিমদেরকে।

ٱلشَّهۡرُ ٱلۡحَرَامُ بِٱلشَّهۡرِ ٱلۡحَرَامِ وَٱلۡحُرُمَٰتُ قِصَاصٞۚ فَمَنِ ٱعۡتَدَىٰ عَلَيۡكُمۡ فَٱعۡتَدُواْ عَلَيۡهِ بِمِثۡلِ مَا ٱعۡتَدَىٰ عَلَيۡكُمۡۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلۡمُتَّقِينَ

পবিত্র মাসের পরিবর্তে পবিত্র মাস এবং আদবের পরিবর্তে আদব। যে তোমাদের উপর আক্রমণ করবে তাকে (তোমরা) আক্রমণ করো ততটুকুই, যতটুকু সে করেছে; এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো। আর জেনে রেখো- আল্লাহ্‌ খোদাভীরুদের সাথে রয়েছেন।

وَأَنفِقُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا تُلۡقُواْ بِأَيۡدِيكُمۡ إِلَى ٱلتَّهۡلُكَةِ وَأَحۡسِنُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُحۡسِنِينَ

এবং আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করো এবং নিজেদের হাতে ধ্বংসের মধ্যে পতিত হয়োনা এবং সৎকর্মপরায়ণ হয়ে যাও। নিশ্চয় সৎকর্মপরায়ণগণ আল্লাহ্‌র প্রিয়।

وَأَتِمُّواْ ٱلۡحَجَّ وَٱلۡعُمۡرَةَ لِلَّهِۚ فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۖ وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ مَحِلَّهُۥۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ بِهِۦٓ أَذٗى مِّن رَّأۡسِهِۦ فَفِدۡيَةٞ مِّن صِيَامٍ أَوۡ صَدَقَةٍ أَوۡ نُسُكٖۚ فَإِذَآ أَمِنتُمۡ فَمَن تَمَتَّعَ بِٱلۡعُمۡرَةِ إِلَى ٱلۡحَجِّ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۚ فَمَن لَّمۡ يَجِدۡ فَصِيَامُ ثَلَٰثَةِ أَيَّامٖ فِي ٱلۡحَجِّ وَسَبۡعَةٍ إِذَا رَجَعۡتُمۡۗ تِلۡكَ عَشَرَةٞ كَامِلَةٞۗ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمۡ يَكُنۡ أَهۡلُهُۥ حَاضِرِي ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ

এবং হজ্জ্‌ ও ওমরাহ্‌ আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে পূর্ণ করো। অতঃপর যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে ক্বোরবানী প্রেরণ করো, যা সহজলভ্য হয় এবং আপন মস্তক মুণ্ডন করো না যতক্ষণ পর্যন্ত ক্বোরবানীর পশু আপন ঠিকানায় পৌঁছে না যায়। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পীড়িত হয় কিংবা তার মাথায় কিছু ক্লেশ থাকে, তবে তার বিনিময় (ফিদিয়া) দেবে-রোযা কিংবা সাদ্‌ক্বাহ্‌ অথবা ক্বোরবানী। অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ থাকবে, তখন যে ব্যক্তি হজ্জে্‌র সাথে ওমরাহ্‌ মিলানোর ফায়দা উঠায় তার উপর ক্বোরবানী রয়েছে যেমনি সহজলভ্য হয়; অতঃপর যার জন্য সম্ভবপর না হয়, তবে সে তিনটা রোযা হজ্জে্‌র দিনগুলোতে রাখবে এবং সাতটা যখন আপন গৃহে ফিরে যাবে-এ পূর্ণ দশটা হলো। এ হুকুম তারই জন্য যে মক্কার বাসিন্দা নয়; আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠিন।

ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞۚ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ ٱلۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي ٱلۡحَجِّۗ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يَعۡلَمۡهُ ٱللَّهُۗ وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيۡرَ ٱلزَّادِ ٱلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُونِ يَـٰٓأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ

হজ্জের কতিপয় মাস রয়েছে, সুবিদিত, অতঃপর যে ব্যক্তি এগুলোতে হজ্জে্‌র নিয়ত করে, তবে না স্ত্রীদের সামনে সম্ভোগের আলোচনা করা হবে, না কোনগুনাহ্‌, না কারো সাথে ঝগড়া হজ্জে্‌র সময় পর্যন্ত এবং তোমরা যে-ই উত্তম কাজ করবে আল্লাহ্‌ সেটা জানেন; আর পাথেয় সঙ্গে নাও। যেহেতু সর্বাধিক উত্তম পাথেয় হচ্ছে- খোদাভীরুতা এবং আমাকে ভয় করতে থাকো, হে বিবেকবানগণ!

لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَبۡتَغُواْ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكُمۡۚ فَإِذَآ أَفَضۡتُم مِّنۡ عَرَفَٰتٖ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ عِندَ ٱلۡمَشۡعَرِ ٱلۡحَرَامِۖ وَٱذۡكُرُوهُ كَمَا هَدَىٰكُمۡ وَإِن كُنتُم مِّن قَبۡلِهِۦ لَمِنَ ٱلضَّآلِّينَ

তোমাদের উপর কোন গুনাহ্‌ নেই যে, আপন রবের অনুগ্রহ সন্ধান করবে। কাজেই, যখন ‘আরাফাত’ থেকে প্রর্ত্যাবর্তন করবে তখন আল্লাহ্‌র স্মরণ করো ‘মাশ্‘আর-ই-হারাম’ (পবিত্র ও সম্মানিত স্থান) এর নিকটে আর তাঁকে স্মরণ করো যেভাবে তিনি তোমাদেরকে হিদায়ত করেছেন এবং নিশ্চয় এর পূর্বে তোমরা বিভ্রান্ত ছিলে।

ثُمَّ أَفِيضُواْ مِنۡ حَيۡثُ أَفَاضَ ٱلنَّاسُ وَٱسۡتَغۡفِرُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

অতঃপর কথা হচ্ছে হে ক্বোরাঈশীগণ! তোমরাও সেই স্থান থেকে প্রর্ত্যাবর্তন করো যে স্থান থেকে অন্যান্য লোক প্রর্ত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়াবান।

فَإِذَا قَضَيۡتُم مَّنَٰسِكَكُمۡ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَذِكۡرِكُمۡ ءَابَآءَكُمۡ أَوۡ أَشَدَّ ذِكۡرٗاۗ فَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا وَمَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنۡ خَلَٰقٖ

অতঃপর যখন (তোমরা) আপন হজ্জে্‌র কাজ পূর্ণ করে নাও, তখন আল্লাহ্‌কে স্মরণ এমনভাবে করো, যেমন আপন পিতা ও পিতামহকে স্মরণ করছিলে; বরং তদপেক্ষাও বেশী; এবং কিছু লোক এভাবে বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে দাও।’ আর পরকালে তার কোন অংশ নেই।

Surah Bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word Bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah Bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in Bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter