সূরা আল-বাকারাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [230-240] পর্যন্ত

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

وَإِذَا طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَأَمۡسِكُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ سَرِّحُوهُنَّ بِمَعۡرُوفٖۚ وَلَا تُمۡسِكُوهُنَّ ضِرَارٗا لِّتَعۡتَدُواْۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ فَقَدۡ ظَلَمَ نَفۡسَهُۥۚ وَلَا تَتَّخِذُوٓاْ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ هُزُوٗاۚ وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَمَآ أَنزَلَ عَلَيۡكُم مِّنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَٱلۡحِكۡمَةِ يَعِظُكُم بِهِۦۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দাও এবং তাদের মেয়াদ (ইদ্দতপূর্তি) এসে পৌঁছে তখন হয়তো উত্তমরুপে রেখে দেবে; অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে এবং তাদেরকে ক্ষতি সাধনের জন্য আটক করে রাখবে না, যাতে সীমালংঘনকারী হয়ে যাও। আর যে এরূপ করে সে নিজেরেই ক্ষতি করে; এবং আল্লাহ্‌র আয়াতগুলোর ঠাট্টা-তামাশার বস্তু বানিয়ে নিও না; এবং স্মরণ করো আল্লাহ্‌র অনুগ্রহকে, যা তোমাদের উপর রয়েছে আর সেটাকে, যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ করেছেন কিতাব ও হিকমত তোমাদেরকে উপদেশ দেয়ার জন্য এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো ও জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।

وَإِذَا طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعۡضُلُوهُنَّ أَن يَنكِحۡنَ أَزۡوَٰجَهُنَّ إِذَا تَرَٰضَوۡاْ بَيۡنَهُم بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ ذَٰلِكَ يُوعَظُ بِهِۦ مَن كَانَ مِنكُمۡ يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۗ ذَٰلِكُمۡ أَزۡكَىٰ لَكُمۡ وَأَطۡهَرُۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ

এবং যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দাও এবং তাদের মেয়াদকাল পূর্ণ হয়ে যায়, তবে হে স্ত্রীদের অভিবাবকরা! তাদেরকে বাধা দিওনা এ থেকে যে, (তারা) আপন আপন স্বামীদের সাথে বিবাহ করে নেবে, যখন পরষ্পর শরীয়তের বিধিমতো রাজি হয়ে যায়। এ উপদেশ তাকেই দেয়া যায়, যে তোমাদের মধ্য থেকে আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামতের উপর ঈমান রাখে। এটা তোমাদের জন্য অধিকতর পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র। আর আল্লাহ্‌ জানেন এবং তোমরা জানো না।

۞وَٱلۡوَٰلِدَٰتُ يُرۡضِعۡنَ أَوۡلَٰدَهُنَّ حَوۡلَيۡنِ كَامِلَيۡنِۖ لِمَنۡ أَرَادَ أَن يُتِمَّ ٱلرَّضَاعَةَۚ وَعَلَى ٱلۡمَوۡلُودِ لَهُۥ رِزۡقُهُنَّ وَكِسۡوَتُهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ لَا تُكَلَّفُ نَفۡسٌ إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَا تُضَآرَّ وَٰلِدَةُۢ بِوَلَدِهَا وَلَا مَوۡلُودٞ لَّهُۥ بِوَلَدِهِۦۚ وَعَلَى ٱلۡوَارِثِ مِثۡلُ ذَٰلِكَۗ فَإِنۡ أَرَادَا فِصَالًا عَن تَرَاضٖ مِّنۡهُمَا وَتَشَاوُرٖ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَاۗ وَإِنۡ أَرَدتُّمۡ أَن تَسۡتَرۡضِعُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُمۡ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ إِذَا سَلَّمۡتُم مَّآ ءَاتَيۡتُم بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٞ

এবং জননীগণ স্ত্যন্যপান করাবে আপন সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর, তারই জন্য, যে স্তন্যপানকাল পূর্ণ করতে চায় এবং সন্তান যার তার উপর স্ত্রীদের ভরণ-পোষণ করা কর্তব্য, বিধি-মোতাবেক। কোন আত্মার উপর বোঝা রাখা হবে না, কিন্তু তার সাধ্য পরিমাণ, যেন জননীকে ক্ষতিগ্রস্থ না করা হয় তার সন্তান দ্বারা এবং না সন্তান যার তাকে তার সন্তান দ্বারা; [কিংবা জননী যেন কষ্ট না দেয় আপন সন্তানকে এবং না সন্তান যার, সে তার সন্তানকে] এবং যে পিতার স্থলাভিষিক্ত, তার উপরও অনুরুপই অপরিহার্য। অতঃপর যদি পিতা-মাতা উভয়ে পরষ্পরের সম্মতি ও পরামর্শক্রমে স্তন্যপান বন্ধ করতে চায়, তবে তাদের উপর গুনাহ বর্তাবে না। আর যদি তোমরা চাওযে, ধাত্রীদের দ্বারা আপন সন্তানদেরকে স্তন্যপান করাবে, তবুও তোমাদের অপরাধ নেই- যখন যা প্রদান করা সাব্যস্ত হয়েছিলো তা বিধিমত তাদেরকে অর্পণ করে দাও। আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্ম দেখছেন।

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوۡنَ مِنكُمۡ وَيَذَرُونَ أَزۡوَٰجٗا يَتَرَبَّصۡنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرۡبَعَةَ أَشۡهُرٖ وَعَشۡرٗاۖ فَإِذَا بَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا فَعَلۡنَ فِيٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ

আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করে এবং স্ত্রীদের রেখে যায়, তারা (স্ত্রীগণ) চার মাস দশ দিন নিজেদের বিরত করে রাখবে। অতঃপর যখন তাদের ‘ইদ্দত’ পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন, হে অভিভাবকগণ! তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে না ওই কাজে, যা স্ত্রীগণ নিজেদের মামলায় শরীয়ত মোতাবেক করবে এবং আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের কার্যাদির খবর রয়েছে।

وَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا عَرَّضۡتُم بِهِۦ مِنۡ خِطۡبَةِ ٱلنِّسَآءِ أَوۡ أَكۡنَنتُمۡ فِيٓ أَنفُسِكُمۡۚ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمۡ سَتَذۡكُرُونَهُنَّ وَلَٰكِن لَّا تُوَاعِدُوهُنَّ سِرًّا إِلَّآ أَن تَقُولُواْ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗاۚ وَلَا تَعۡزِمُواْ عُقۡدَةَ ٱلنِّكَاحِ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡكِتَٰبُ أَجَلَهُۥۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ فَٱحۡذَرُوهُۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ حَلِيمٞ

এবং তোমাদের উপর পাপ নেই এ কথায় যে, পর্দার আড়ালে (ইঙ্গিতে) তোমরা স্ত্রী লোকদেরকে বিবাহের প্রস্তাব দেবে কিংবা আপন আপন অন্তরে গোপন রাখবে। আল্লাহ্‌ জানেন যে, এখন তোমরা তাদের স্মরণ (আলোচনা) করবে। হাঁ, তাদের সাথে গোপন অঙ্গীকার করে রেখোনা, কিন্তু এটা যে, শুধু এতটুকু কথা বলো যা শরীয়তের বিধি মোতাবেক হয় এবং বিবাহ-বন্ধন পাকাপোক্ত করো না, যতক্ষণ না লিপিবদ্ধ হুকুম (ইদ্দত) আপন মেয়াদকালে পৌঁছে যায় এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের অন্তরের কথা জানেন। সুতরাং তাঁকে ভয় করো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ ক্ষমাপরায়ণ, সহনশীল।

لَّا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ إِن طَلَّقۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ مَا لَمۡ تَمَسُّوهُنَّ أَوۡ تَفۡرِضُواْ لَهُنَّ فَرِيضَةٗۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى ٱلۡمُوسِعِ قَدَرُهُۥ وَعَلَى ٱلۡمُقۡتِرِ قَدَرُهُۥ مَتَٰعَۢا بِٱلۡمَعۡرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلۡمُحۡسِنِينَ

তোমাদের উপর কোন দাবী নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দাও, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদেরকে স্পর্শ না করে থাকো, কিংবা কোন মহর নির্দ্ধারিত (না) করে থাকোএবং তাদেরকে কিছু সামগ্রী ভোগ করতে দাও। সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর তার সামর্থ্যনুযায়ী এবং দরিদ্রের উপর তার সামর্থ্যানুযায়ী বিধিমতো কিছু ভোগ করার বস্তু, এটা ওয়াজিব সত্যপরায়ণ ব্যক্তিদের উপর।

وَإِن طَلَّقۡتُمُوهُنَّ مِن قَبۡلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدۡ فَرَضۡتُمۡ لَهُنَّ فَرِيضَةٗ فَنِصۡفُ مَا فَرَضۡتُمۡ إِلَّآ أَن يَعۡفُونَ أَوۡ يَعۡفُوَاْ ٱلَّذِي بِيَدِهِۦ عُقۡدَةُ ٱلنِّكَاحِۚ وَأَن تَعۡفُوٓاْ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۚ وَلَا تَنسَوُاْ ٱلۡفَضۡلَ بَيۡنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٌ

এবং যদি তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ করা ব্যতিরেকে তালাক্ব দিয়ে থাকো আর তাদের জন্য কিছু মহর নির্দ্ধারণ করেছিলে এমন হয়, তবে যে পরিমাণ নির্দ্ধারিত হয়েছিলো তার অর্ধেক ওয়াজিব হয়, কিন্তু এ’যে, যদি স্ত্রীগণ কিছু ছেড়ে দেয়; কিংবা সে বেশী দেয় যার হাতে বিবাহের বন্ধন রয়েছে এবং হে পুরুষগণ, তোমাদের বেশী দেওয়া পরহেয্‌গারীর নিকটতর এবং পরষ্পর একে অপরের উপর অনুগ্রহকে ভুলে যেও না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদেরকর্ম প্রত্যক্ষ করছেন।

حَٰفِظُواْ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلۡوُسۡطَىٰ وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ

সজাগ দৃষ্টি রেখো সমস্ত নামাযের প্রতি এবং মর্ধ্যবর্তী নামাযের প্রতি। আর দন্ডায়মান হও আল্লাহ্‌র সম্মুখে আদব সহকারে।

فَإِنۡ خِفۡتُمۡ فَرِجَالًا أَوۡ رُكۡبَانٗاۖ فَإِذَآ أَمِنتُمۡ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُم مَّا لَمۡ تَكُونُواْ تَعۡلَمُونَ

অতঃপর যদি আশংকায় থাকো, তবে পদচারী অথবা আরোহী অবস্থায়, যেমনি সম্ভব হয়। অতঃপর যখন নিরাপদে থাকো, তখন আল্লাহ্‌কে স্মরণ করো-যেমন তিনি শিক্ষা দিয়েছেন যা তোমরা জানতে না।

وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوۡنَ مِنكُمۡ وَيَذَرُونَ أَزۡوَٰجٗا وَصِيَّةٗ لِّأَزۡوَٰجِهِم مَّتَٰعًا إِلَى ٱلۡحَوۡلِ غَيۡرَ إِخۡرَاجٖۚ فَإِنۡ خَرَجۡنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِي مَا فَعَلۡنَ فِيٓ أَنفُسِهِنَّ مِن مَّعۡرُوفٖۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٞ

এবং যারা তোমাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে আর স্ত্রীদের রেখে যায় তারা যেন তাদের স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে ওসীয়ৎ করে যায় সারা বছর পর্যন্ত ভরণ-পোষণের, ঘর থেকে বের করা ব্যতিরেকে। অতঃপর যদি তারা নিজেরাই বের হয়ে যায়, তবে তোমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে না ওই কাজের উপর যা তারা আপন আপন মামলায় বিধি মতো করেছে। আর আল্লাহ্‌ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।

Surah Bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word Bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah Bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in Bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter