بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَلِلۡمُطَلَّقَٰتِ مَتَٰعُۢ بِٱلۡمَعۡرُوفِۖ حَقًّا عَلَى ٱلۡمُتَّقِينَ
এবং তালাক্বপ্রাপ্তা স্ত্রীদের জন্যও উপযুক্ত ভরণ-পোষণ রয়েছে। এটা ওয়াজিব পরহেয্গারদের উপর।
كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ
আল্লাহ্ এভাবে সুস্পষ্টরুপে বর্ণনা করেন তোমাদের জন্য আপন আয়াতসমূহ (বিধি-বিধান), যাতে তোমাদের বুঝে আসে।
۞أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ خَرَجُواْ مِن دِيَٰرِهِمۡ وَهُمۡ أُلُوفٌ حَذَرَ ٱلۡمَوۡتِ فَقَالَ لَهُمُ ٱللَّهُ مُوتُواْ ثُمَّ أَحۡيَٰهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَذُو فَضۡلٍ عَلَى ٱلنَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَشۡكُرُونَ
হে মাহবুব! আপনি কি দেখেন নি তাদেরকে, যারা আপন ঘরগুলো থেকে বের হয়েছে মৃত্যুর ভয়ে এবং তারা ছিলো হাজার হাজার, তখন আল্লাহ্ তাদেরকে বলেছেন, ‘মরে যাও’! অতঃপর তাদেরকে জীবিত করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ মানুষের উপর অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ অকৃতজ্ঞ।
وَقَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ
এবং যুদ্ধ করো আল্লাহ্র পথে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
مَّن ذَا ٱلَّذِي يُقۡرِضُ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥٓ أَضۡعَافٗا كَثِيرَةٗۚ وَٱللَّهُ يَقۡبِضُ وَيَبۡصُۜطُ وَإِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ
এমন কেউ আছো, যে আল্লাহ্কে ‘উত্তম কর্জ’ দেবে? তবে আল্লাহ্ তার জন্য অনেক গুণ বর্ধিত করে দেবেন এবং আল্লাহ্ সংকোচন ও প্রশস্ত করেন আর তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে।
أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلۡمَلَإِ مِنۢ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ مِنۢ بَعۡدِ مُوسَىٰٓ إِذۡ قَالُواْ لِنَبِيّٖ لَّهُمُ ٱبۡعَثۡ لَنَا مَلِكٗا نُّقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ قَالَ هَلۡ عَسَيۡتُمۡ إِن كُتِبَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡقِتَالُ أَلَّا تُقَٰتِلُواْۖ قَالُواْ وَمَا لَنَآ أَلَّا نُقَٰتِلَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَدۡ أُخۡرِجۡنَا مِن دِيَٰرِنَا وَأَبۡنَآئِنَاۖ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡقِتَالُ تَوَلَّوۡاْ إِلَّا قَلِيلٗا مِّنۡهُمۡۚ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِٱلظَّـٰلِمِينَ
হে মাহবুব! আপনি কি দেখেন নি বনী ইস্রাইলের একটা দলকে, যা মুসার পরে সৃষ্ট হয়েছে? যখন (তারা) তাদের একজন পয়গাম্বরকে বলেছে, ‘আমাদের জন্য দাঁড় করান একজন বাদশাহ, যাতে আমরা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করি।’ নবী বলেছেন, ‘তোমাদের অনুমান কি এমন যে, তোমোদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হবে অতঃপর (তোমরা) তা করবে না?’ বললো, ‘আমাদের কি হয়েছে যে আমরা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করবো না? অথচ আমাদের বের করে দেয়া হয়েছে আমাদের জন্মভূমি থেকে এবং আপন সন্তানদের নিকট থেকে।’ অতঃপর যখন তাদের উপর ‘জিহাদ’ ফরয করা হলো (তখন তারা) মুখ ফিরিয়ে নিলো, কিন্তু তাদের মধ্যেকার অল্প সংখ্যক লোক এবং আল্লাহ্ ভালভাবে জানেন অত্যাচারীদেরকে।
وَقَالَ لَهُمۡ نَبِيُّهُمۡ إِنَّ ٱللَّهَ قَدۡ بَعَثَ لَكُمۡ طَالُوتَ مَلِكٗاۚ قَالُوٓاْ أَنَّىٰ يَكُونُ لَهُ ٱلۡمُلۡكُ عَلَيۡنَا وَنَحۡنُ أَحَقُّ بِٱلۡمُلۡكِ مِنۡهُ وَلَمۡ يُؤۡتَ سَعَةٗ مِّنَ ٱلۡمَالِۚ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصۡطَفَىٰهُ عَلَيۡكُمۡ وَزَادَهُۥ بَسۡطَةٗ فِي ٱلۡعِلۡمِ وَٱلۡجِسۡمِۖ وَٱللَّهُ يُؤۡتِي مُلۡكَهُۥ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ
এবং তাদেরকে তাদের নবী বললেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তালূতকে তোমাদের বাদশাহ নিয়োজিত করে প্রেরণ করেছেন।’ (তারা) বললো, ‘আমাদের উপর তার বাদশাহী কিভাবে হবে এবং আমরা তার অপেক্ষা রাজত্বের জন্য অধিক উপযোগী আর তাকে আর্থিক প্রাচুর্যও প্রদান করা হয় নি।’ তিনি (নবী) বললেন, ‘তাকে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং তাঁকে জ্ঞান ও শরীরের দিক দিয়ে অধিক প্রাচুর্য প্রদান করেছেন; আর আল্লাহ্ আপন রাজ্য যাকে চান প্রদান করেন; এবং আল্লাহ্ প্রাচুর্যময়, জ্ঞাতা।’
وَقَالَ لَهُمۡ نَبِيُّهُمۡ إِنَّ ءَايَةَ مُلۡكِهِۦٓ أَن يَأۡتِيَكُمُ ٱلتَّابُوتُ فِيهِ سَكِينَةٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَبَقِيَّةٞ مِّمَّا تَرَكَ ءَالُ مُوسَىٰ وَءَالُ هَٰرُونَ تَحۡمِلُهُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لَّكُمۡ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ
এবং তাদেরকে তাদের নবী বললেন, ‘তার বাদশাহীর নির্দশন এই যে, তোমাদের নিকট তাবূত আসবে, যার মধ্যে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে চিত্ত-প্রশান্তি রয়েছে এবং কিছু অবশিষ্ট বস্তু, সম্মানিত মূসা ও সম্মানিত হারুনের পরিত্যক্ত; সেটাকে ফিরিশ্তাগণ বহন করে আনবে।’ নিঃসন্দেহে, এর মধ্যে মহান নির্দশন রয়েছে তোমাদের জন্য যদি ঈমান রাখো।
فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوتُ بِٱلۡجُنُودِ قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ مُبۡتَلِيكُم بِنَهَرٖ فَمَن شَرِبَ مِنۡهُ فَلَيۡسَ مِنِّي وَمَن لَّمۡ يَطۡعَمۡهُ فَإِنَّهُۥ مِنِّيٓ إِلَّا مَنِ ٱغۡتَرَفَ غُرۡفَةَۢ بِيَدِهِۦۚ فَشَرِبُواْ مِنۡهُ إِلَّا قَلِيلٗا مِّنۡهُمۡۚ فَلَمَّا جَاوَزَهُۥ هُوَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥ قَالُواْ لَا طَاقَةَ لَنَا ٱلۡيَوۡمَ بِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦۚ قَالَ ٱلَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُم مُّلَٰقُواْ ٱللَّهِ كَم مِّن فِئَةٖ قَلِيلَةٍ غَلَبَتۡ فِئَةٗ كَثِيرَةَۢ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّـٰبِرِينَ
অতঃপর যখন তালূত সৈন্যদের নিয়ে শহর থেকে পৃথক হলো, (তখন) বললো, ‘নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্ তোমাদেরকে একটা নদী দ্বারা পরীক্ষাকারী। সুতরাং যে ব্যক্তিসেটার পানি পান করবে সে আমার নয়, আর যে পান করবে না সে আমার; কিন্তু ওই ব্যক্তি, যে এক অঞ্জলী পরিমাণ আপন হাতে নিয়ে নেবে (সেও আমার)।’ অতঃপর সবাই সেটা থেকে পান করলো, কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক। অতঃপর যখন তালূত এবং তার সঙ্গেকার মুসলমান নদী পার হয়ে গেলো, তখন (তারা) বললো, ‘আমাদের মধ্যে আজ শক্তি নেই জালূত এবং তার সৈন্যদের (বিরুদ্ধে লড়ার)।’ ওই সব লোক বললো, যাদের মধ্যে আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাতের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, ‘বহুবার ছোট দল বিজয়ী হয়েছে বৃহৎদলের উপর, আল্লাহ্র নির্দেশক্রমে’ এবং আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।
وَلَمَّا بَرَزُواْ لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِۦ قَالُواْ رَبَّنَآ أَفۡرِغۡ عَلَيۡنَا صَبۡرٗا وَثَبِّتۡ أَقۡدَامَنَا وَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ
অতঃপর (তারা) যখন সম্মুখীন হলো জালূত ও তার সৈন্য বাহিনীর, তখন প্রার্থনা করলো, ‘হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও এবং আমাদের পাগুলো অবিচলিত রাখো আর কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো।’