সূরা আল-বাকারাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [20-30] পর্যন্ত

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱعۡبُدُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ

হে মানবকুল! (তোমরা) স্বীয় রবের ইবাদত করো, যিনি তোমাদেরএবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন; এ আশায় যে, তোমাদের পরহেযগারী অর্জিত হবে।

ٱلَّذِي جَعَلَ لَكُمُ ٱلۡأَرۡضَ فِرَٰشٗا وَٱلسَّمَآءَ بِنَآءٗ وَأَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَأَخۡرَجَ بِهِۦ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ رِزۡقٗا لَّكُمۡۖ فَلَا تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ أَندَادٗا وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ

এবং যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বিছানা এবং আস্‌মানকে ইমারত করেছেন এবং আস্‌মান থেকে পানি বর্ষন করেছেন। অতঃপর তা’দ্বারা কিছু ফল সৃষ্টি (উৎপন্ন) করেন তোমাদের আহারের জন্য। সুতরাং জেনে-বুঝে আল্লাহ্‌র জন্য সমকক্ষ দাঁড় করাবেনা।

وَإِن كُنتُمۡ فِي رَيۡبٖ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلَىٰ عَبۡدِنَا فَأۡتُواْ بِسُورَةٖ مِّن مِّثۡلِهِۦ وَٱدۡعُواْ شُهَدَآءَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ

এবং যদি তোমাদের কোন সন্দেহ হয় তাতে, যা আমি স্বীয় (এ খাস)বান্দার উপর নাযিল করেছি, তবে এর অনুরুপ একটা সূরা তো নিয়ে এসো এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত নিজেদের সকল সহায়তাকারীকে আহবান করো (সাহায্যের জন্য), যদি তোমরা সত্যবাদী হও!

فَإِن لَّمۡ تَفۡعَلُواْ وَلَن تَفۡعَلُواْ فَٱتَّقُواْ ٱلنَّارَ ٱلَّتِي وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُۖ أُعِدَّتۡ لِلۡكَٰفِرِينَ

অতঃপর যদি আনয়ন করতে না পারো, আর আমি চ্যালেন্জ করছি যে, কখনো আনতে পারবে না, তবে ভয় করো ঐ আগুনকে, যার ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর, (যা) তৈরী রাখা হয়েছে কাফিরদের জন্য।

وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ كُلَّمَا رُزِقُوا مِنْهَا مِنْ ثَمَرَةٍ رِزْقًا قَالُوا هَٰذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا وَلَهُمْ أَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

এবং সুসংবাদ দিন তাদেরকে, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে যে, তাদের জন্য বাগান (জান্নাত) রয়েছে, যার নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান। যখন তাদেরকে ঐ বাগানগুলো থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে তখনই তারা (সেটার বাহ্যিক আকারদেখে) বলবে, ‘এতো সে-ই রিযক্ব, যা আমরা পূর্বে পেয়েছিলাম; এবং সেই ফল, যা (বাহ্যিক আকৃতিগতভাবে) পরষ্পর সাদৃশ্যময়, তাদেরকে দেয়া হবে এবং তাদের জন্য সে-ই বাগানগুলোতে (জান্নাতসমূহ) পবিত্র স্ত্রীগণ রয়েছে এবং তারা ওই গুলোর মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকবে।

۞إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَسۡتَحۡيِۦٓ أَن يَضۡرِبَ مَثَلٗا مَّا بَعُوضَةٗ فَمَا فَوۡقَهَاۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ فَيَعۡلَمُونَ أَنَّهُ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّهِمۡۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ فَيَقُولُونَ مَاذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِهَٰذَا مَثَلٗاۘ يُضِلُّ بِهِۦ كَثِيرٗا وَيَهۡدِي بِهِۦ كَثِيرٗاۚ وَمَا يُضِلُّ بِهِۦٓ إِلَّا ٱلۡفَٰسِقِينَ

নিশ্চয় আল্লাহ্‌ যে কোন জিনিষের দৃষ্ঠান্ত বর্ণনা করতে লজ্জাবোধ করেননা-মশা হোক কিংবা তদপেক্ষা বড় কিছু। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা তো জানেযে, এটা তাদের রবের পক্ষ থেকে, সত্য। বাকী রইলো কাফিরগণ, তারা বলে, ‘এ ধরণের উপমায় আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্য কি?’ আল্লাহ্‌ তা দ্বারা অনেককে গোমরাহ্‌ করেন এবং অনেককে হিদায়ত করেন, এবং তা দ্বারা তাদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন, যারা অবাধ্য-

ٱلَّذِينَ يَنقُضُونَ عَهۡدَ ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مِيثَٰقِهِۦ وَيَقۡطَعُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ وَيُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ أُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ

তারাই, যারা আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার ভঙ্গ করে পাকাপোক্ত হবার পর এবং ছিন্ন করে ঐ সম্পর্ককে, যা জুড়ে রাখার জন্য আল্লাহ্‌ নির্দেশ দিয়েছেন এবংযমীনে ফ্যাসাদ ছড়িয়ে বেড়ায়; তারা ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।

كَيۡفَ تَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَكُنتُمۡ أَمۡوَٰتٗا فَأَحۡيَٰكُمۡۖ ثُمَّ يُمِيتُكُمۡ ثُمَّ يُحۡيِيكُمۡ ثُمَّ إِلَيۡهِ تُرۡجَعُونَ

আশ্চর্য! তোমরা কিরুপে আল্লাহ্‌কে অস্বীকারকারী হবে? অথচ তোমরা মৃত ছিলে, তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেন, আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, পুনরায় তোমাদেরকে জীবিত করবেন; আবার তাঁরই দিকে দিকে ফিরে যাবে।

هُوَ ٱلَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ فَسَوَّىٰهُنَّ سَبۡعَ سَمَٰوَٰتٖۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

তিনিই, যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে; অতঃপর তিনি আসমানের দিকে ‘ইস্তিওয়া’ (ইচ্ছা) করলেন, তখন ঠিক সপ্ত-আস্‌মান সৃষ্টি করলেন, এবং তিনি সবকিছু জানেন।

وَإِذۡ قَالَ رَبُّكَ لِلۡمَلَـٰٓئِكَةِ إِنِّي جَاعِلٞ فِي ٱلۡأَرۡضِ خَلِيفَةٗۖ قَالُوٓاْ أَتَجۡعَلُ فِيهَا مَن يُفۡسِدُ فِيهَا وَيَسۡفِكُ ٱلدِّمَآءَ وَنَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِكَ وَنُقَدِّسُ لَكَۖ قَالَ إِنِّيٓ أَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُونَ

এবং (স্মরণ করুন!) যখন আপনার রব ফিরিশ্‌তাদেরকে বলেছিলেন, আমি পৃথিবীতে আপন প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী।’ (তারা) বললো, ‘আপনি কি এমন কোন সৃষ্টিকে প্রতিনিধি করবেন, যে তাতে ফ্যাসাদ ছড়াবে ও তাতে রক্তপাত ঘটাবে? আর আমরা আপনার প্রশংসা পূর্বক আপনার তাস্‌বীহ (স্তূতিগান) করি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি।’ তিনি বললেন, আমার জানা আছে যা তোমরা জানোনা।

Surah Bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word Bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah Bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in Bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter