بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
مَّن ذَا ٱلَّذِي يُقۡرِضُ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا فَيُضَٰعِفَهُۥ لَهُۥ وَلَهُۥٓ أَجۡرٞ كَرِيمٞ
কে আছে, যে আল্লাহ্কে কর্জ দেবে উত্তম কর্জ? তাহলে, তিনি তার জন্য দ্বিগুণ করবেন এবং তার জন্য সম্মানজনক প্রতিদান রয়েছে।
يَوۡمَ تَرَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَسۡعَىٰ نُورُهُم بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَبِأَيۡمَٰنِهِمۖ بُشۡرَىٰكُمُ ٱلۡيَوۡمَ جَنَّـٰتٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ
যে দিন আপনি ঈমানদার পুরুষগণ ও ঈমানদার নারীদেরকে দেখবেন যে, তাদের আলো রয়েছে তাদের সম্মুখে ও তাদের ডানে, ছুটাছুটি করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে, ‘আজ তোমাদের সর্বাপেক্ষা খুশির বার্তা হচ্ছে ওই সব জান্নাত, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান। তোমরা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকো। এটাই হচ্ছে মহা সাফল্য।
يَوۡمَ يَقُولُ ٱلۡمُنَٰفِقُونَ وَٱلۡمُنَٰفِقَٰتُ لِلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱنظُرُونَا نَقۡتَبِسۡ مِن نُّورِكُمۡ قِيلَ ٱرۡجِعُواْ وَرَآءَكُمۡ فَٱلۡتَمِسُواْ نُورٗاۖ فَضُرِبَ بَيۡنَهُم بِسُورٖ لَّهُۥ بَابُۢ بَاطِنُهُۥ فِيهِ ٱلرَّحۡمَةُ وَظَٰهِرُهُۥ مِن قِبَلِهِ ٱلۡعَذَابُ
যেদিন মুনাফিক্ব পুরুষ ও মুনাফিক্ব নারীরা মুসলমানদেরকে বলবে, ‘আমাদের দিকে একবার তাকাও! যাতে আমরা তোমাদের নূর থেকে কিছু অংশ নিই’। তাদেরকে বলা হবে, ‘তোমাদের পেছনের দিকে ফিরে যাও, সেখানে আলো অন্বেষণ করো’। তারা ফিরে যাবে। তখনই তাদের মধ্যখানে একটা প্রাচীর খাড়া করে দেওয়া হবে, যাতে একটি দরজা থাকবে এবং সেটা ভিতরের দিকে রহমত এবং সেটার বাইরের দিকে শাস্তি।
يُنَادُونَهُمۡ أَلَمۡ نَكُن مَّعَكُمۡۖ قَالُواْ بَلَىٰ وَلَٰكِنَّكُمۡ فَتَنتُمۡ أَنفُسَكُمۡ وَتَرَبَّصۡتُمۡ وَٱرۡتَبۡتُمۡ وَغَرَّتۡكُمُ ٱلۡأَمَانِيُّ حَتَّىٰ جَآءَ أَمۡرُ ٱللَّهِ وَغَرَّكُم بِٱللَّهِ ٱلۡغَرُورُ
মুনাফিক্বগণ মুসলমানদেরকে ডেকে বলবে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?’ তারা বলবে, ‘কেন নয়! (হাঁ,) কিন্তু তোমরা তো নিজেদের আত্নাগুলোকে ফিতনার মধ্যে নিক্ষেপ করেছো এবং মুসলমানদের অনিষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে এবং সন্দেহ করতে; আর মিথ্যা লিপ্সা তোমাদেরকে ধোকা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ্র আদেশ এসে পড়েছে। এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্র নির্দেশ সম্বন্ধে ওই বড় প্রতাঁরক প্রতারিত করে রেখেছে’।
فَٱلۡيَوۡمَ لَا يُؤۡخَذُ مِنكُمۡ فِدۡيَةٞ وَلَا مِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ مَأۡوَىٰكُمُ ٱلنَّارُۖ هِيَ مَوۡلَىٰكُمۡۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ
‘সুতরাং আজ না তোমাদের নিকট থেকে মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে এবং না প্রকাশ্য কাফিরদের নিকট থেকে। তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে আগুন। তা তোমাদের সাথী এবং কতই মন্দ পরিণতি!
۞أَلَمۡ يَأۡنِ لِلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَن تَخۡشَعَ قُلُوبُهُمۡ لِذِكۡرِ ٱللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ ٱلۡحَقِّ وَلَا يَكُونُواْ كَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلُ فَطَالَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَمَدُ فَقَسَتۡ قُلُوبُهُمۡۖ وَكَثِيرٞ مِّنۡهُمۡ فَٰسِقُونَ
ঈমানদারদের জন্য কি এখনো ওই সময় আসেনি যে, তাদের অন্তর ঝুকে পড়বে আল্লাহ্র স্মরণ ও ওই সত্যের জন্য, যা অবতীর্ণ হয়েছে? এবং তাদের মতো হয়ো না, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছে, অতঃপর তাদের সময়সীমা দীর্ঘায়িত হয়েছে। সুতরাং তাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে অনেকে ফাসিক্ব।
ٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يُحۡيِ ٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَاۚ قَدۡ بَيَّنَّا لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ
জেনে রেখো, আল্লাহ্ যমীনকে জীবিত করেন সেটার মৃত্যুর পর। নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য নিদর্শনগুলো বিবৃত করেছি যেন তোমাদের বুঝ হয়।
إِنَّ ٱلۡمُصَّدِّقِينَ وَٱلۡمُصَّدِّقَٰتِ وَأَقۡرَضُواْ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا يُضَٰعَفُ لَهُمۡ وَلَهُمۡ أَجۡرٞ كَرِيمٞ
নিশ্চয় সাদক্বাহদাতা পুরুষ ও সাদকাহদাত্রী নারীগণ এবং তারাই, যারা আল্লাহ্কে উত্তম কর্জ দিয়েছে, তাদের জন্য দ্বিগুণ রয়েছে এবং তাদের জন্য সম্মানজনক প্রতিদান রয়েছে।
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦٓ أُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلصِّدِّيقُونَۖ وَٱلشُّهَدَآءُ عِندَ رَبِّهِمۡ لَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ وَنُورُهُمۡۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَآ أُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَحِيمِ
এবং তারাই, যারা আল্লাহ্ ও তাঁর সমস্ত রসূলের উপর ঈমান এনেছে তারাই হচ্ছে পূর্ণ সত্যবাদী এবং অন্যান্যদের উপর সাক্ষী আপন রবের নিকট। তাদের জন্য তাদের পুরস্কার এবং তাদের আলো রয়েছে। আর যারা কুফর করেছে এবং আমার আয়াতগুলোকে অস্বীকার করেছে তারা দোযখবাসী।
ٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا لَعِبٞ وَلَهۡوٞ وَزِينَةٞ وَتَفَاخُرُۢ بَيۡنَكُمۡ وَتَكَاثُرٞ فِي ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَوۡلَٰدِۖ كَمَثَلِ غَيۡثٍ أَعۡجَبَ ٱلۡكُفَّارَ نَبَاتُهُۥ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَىٰهُ مُصۡفَرّٗا ثُمَّ يَكُونُ حُطَٰمٗاۖ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ عَذَابٞ شَدِيدٞ وَمَغۡفِرَةٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٞۚ وَمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا مَتَٰعُ ٱلۡغُرُورِ
জেনে রাখো, দুনিয়ার যিন্দেগী তো নয়, কিন্তু খেলাধুলা, সাজসজ্জা, তোমাদের পরস্পরের মধ্যে গর্ব প্রদর্শন করা এবং সম্পদ ও সন্তান সন্ততিতে একে অপরের চেয়ে অধিক চাওয়া মাত্র; তা ওই বৃষ্টির ন্যায় যার উৎপন্ন শস্য কৃষকদেরকে চমৎকৃত করেছে, অতঃপর শুষ্ক হয়ে গেছে, ফলে তুমি সেটাকে হলদে বর্ণের দেখতে পেয়েছো, অতঃপর তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। আর আখিরাতে কঠিন শাস্তি রয়েছে এবং আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা ও তাঁর সন্তুষ্টি। এবং পার্থিব জীবন তো নয়, কিন্তু ধোকার সামগ্রী।