بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَن يَغُلَّۚ وَمَن يَغۡلُلۡ يَأۡتِ بِمَا غَلَّ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفۡسٖ مَّا كَسَبَتۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ
এবং কোন নবীর প্রতি এ ধারণা হতে পারেনা যে, তিনি কিছু গোপন রাখবেন। এবং যে ব্যক্তি কিছু গোপন রাখবে, সে ক্বিয়ামতের দিন স্বীয় গোপন করা বস্তু নিয়ে আসবে। তারপর প্রত্যেককে তার উপার্জন পূর্ণমাত্রায় দেয়া হবে এবং তাদের উপর যুলুম হবে না।
أَفَمَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَ ٱللَّهِ كَمَنۢ بَآءَ بِسَخَطٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأۡوَىٰهُ جَهَنَّمُۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ
তবে কি যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অনুযায়ী চলেছে, সে তারই মতো হবে, যে আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হয়েছে এবং তার ঠিকানা জাহান্নাম? এবং তা কতোই নিকৃষ্ট জায়গা প্রর্ত্যাবর্তনের!
هُمۡ دَرَجَٰتٌ عِندَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ بَصِيرُۢ بِمَا يَعۡمَلُونَ
তাঁরা আল্লাহ্র নিকট বিভিন্ন স্তরের; এবং আল্লাহ্ তাদের কাজ প্রত্যক্ষ করছেন।
لَقَدۡ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ بَعَثَ فِيهِمۡ رَسُولٗا مِّنۡ أَنفُسِهِمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ
নিশ্চয় আল্লাহ্র মহান অনুগ্রহ হয়েছে মুসলমানদের উপর যে, তাদের মধ্যে তাদেরই মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন এবং তাদেরকে পবিত্র করেন আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দান করেন এবং তারা নিশ্চয় এর পূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীতে ছিলো।
أَوَلَمَّآ أَصَٰبَتۡكُم مُّصِيبَةٞ قَدۡ أَصَبۡتُم مِّثۡلَيۡهَا قُلۡتُمۡ أَنَّىٰ هَٰذَاۖ قُلۡ هُوَ مِنۡ عِندِ أَنفُسِكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ
যখন তোমাদের নিকট কোন মুসীবত পৌঁছে; অথচ তোমরা এর দ্বিগুণ পৌঁছিয়েছো, তখন কি তোমরা এ কথা বলতে থাকবে যে, ‘এটা কোত্থেকে এসেছে?’ (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘সেটা তোমাদেরই তরফ থেকে এসেছে।’ নিশ্চয় আল্লাহ্ সব কিছু করতে পারেন।
وَمَآ أَصَٰبَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡتَقَى ٱلۡجَمۡعَانِ فَبِإِذۡنِ ٱللَّهِ وَلِيَعۡلَمَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
এবং ঐ মুসীবত, যা তোমাদের উপর এসেছে যেদিন উভয় সৈন্যদল পরষ্পর সম্মুখীন হয়েছিলো, তা আল্লাহ্র নির্দেশে ছিলো। আর এ জন্য যে, পরিচয় করিয়ে দেবেন ঈমানদারদের;
وَلِيَعۡلَمَ ٱلَّذِينَ نَافَقُواْۚ وَقِيلَ لَهُمۡ تَعَالَوۡاْ قَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَوِ ٱدۡفَعُواْۖ قَالُواْ لَوۡ نَعۡلَمُ قِتَالٗا لَّٱتَّبَعۡنَٰكُمۡۗ هُمۡ لِلۡكُفۡرِ يَوۡمَئِذٍ أَقۡرَبُ مِنۡهُمۡ لِلۡإِيمَٰنِۚ يَقُولُونَ بِأَفۡوَٰهِهِم مَّا لَيۡسَ فِي قُلُوبِهِمۡۚ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا يَكۡتُمُونَ
এবং এ জন্য যে, পরিচয় করিয়ে দেবেন তাদের, যারা মুনাফিক হয়েছে আর তাদেরকে বলা হয়েছে, ‘এসো! আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করো কিংবা শত্রুদেরকে হটিয়ে দাও।’ (তারা) বললো, ‘যদি আমরা লড়াই হবে জানতাম, তবে অবশ্যই তোমাদের সাথে থাকতাম।’ আর সেদিন তারা বাহ্যিক ঈমানের চেয়ে প্রকাশ্য কুফরের অধিকতর নিকটে ছিলো। (তারা) নিজ মুখে তাই বলে, যা অন্তরে নেই এবং আল্লাহ্র জানা আছে যা তারা গোপন করছে।
ٱلَّذِينَ قَالُواْ لِإِخۡوَٰنِهِمۡ وَقَعَدُواْ لَوۡ أَطَاعُونَا مَا قُتِلُواْۗ قُلۡ فَٱدۡرَءُواْ عَنۡ أَنفُسِكُمُ ٱلۡمَوۡتَ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ
ওই সব লোক, যারা আপন ভাইদের সম্পর্কে বলেছে অথচ নিজেরা যুদ্ধ থেকে বিরত ছিলো, ‘তারা যদি আমাদের কথা মানতো, তবে নিহত হতো না।’ আপনি বলে দিন, ‘তবে তোমরা তোমাদের মৃত্যুকে ঠেকাও যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’
وَلَا تَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتَۢاۚ بَلۡ أَحۡيَآءٌ عِندَ رَبِّهِمۡ يُرۡزَقُونَ
এবং যারা আল্লাহ্র পথে নিহত হয়েছে, কখনো তাদেরকে মৃত বলে ধারণা করোনা, বরং তারা নিজ রবের নিকট জীবিত রয়েছে, জীবিকা পায়;
فَرِحِينَ بِمَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ وَيَسۡتَبۡشِرُونَ بِٱلَّذِينَ لَمۡ يَلۡحَقُواْ بِهِم مِّنۡ خَلۡفِهِمۡ أَلَّا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ
তারা উৎফুল্ল এরই উপর, যা আল্লাহ্ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহক্রমে দান করেছেন এবং আনন্দ উদযাপন করছে তাদের পরবর্তীদের জন্য, যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয় নি, এজন্য যে, তাদের না কোন আশংকা আছে এবং না কোন দুঃখ।