بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
হে মাহবুব! আপনি বলে দিন, ‘হে মানবকুল, যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভালবেসে থাকো তবে আমার অনুসারী হয়ে যাও, আল্লাহ্ তোমাদেরকে ভালবাসেন এবং আল্লাহ্ তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন; আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।’
قُلۡ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡكَٰفِرِينَ
আপনি বলে দিন, ‘হুকুম মান্য করো আল্লাহ্ ও রসূলের।’ অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আল্লাহ্র পছন্দ হয় না কাফির।
۞إِنَّ ٱللَّهَ ٱصۡطَفَىٰٓ ءَادَمَ وَنُوحٗا وَءَالَ إِبۡرَٰهِيمَ وَءَالَ عِمۡرَٰنَ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ
নি:সন্দেহে আল্লাহ্ মনোনিত করেছেন আদম, নুহ, ইব্রাহীমের বংশধর এবংইমরানের বংশধরদেরকে সমগ্র বিশ্ব-জগত থেকে।
ذُرِّيَّةَۢ بَعۡضُهَا مِنۢ بَعۡضٖۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
এটা একটা বংশানুক্রম, একে অপর হতে এবং আল্লাহ্ শুনেন, জানেন।
إِذۡ قَالَتِ ٱمۡرَأَتُ عِمۡرَٰنَ رَبِّ إِنِّي نَذَرۡتُ لَكَ مَا فِي بَطۡنِي مُحَرَّرٗا فَتَقَبَّلۡ مِنِّيٓۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ
যখন ইমরানের স্ত্রী আরয করলো, ‘হে আমার রব, আমি তোমার জন্য মান্নত করেছি যা আমার গর্ভে রয়েছে যে, একান্ত তোমারই সেবায় থাকবে। সুতরাং তুমি আমার নিকট থেকে কবুল করে নাও। নিঃসন্দেহে, তুমিই শ্রোতা, জ্ঞাতা।’
فَلَمَّا وَضَعَتۡهَا قَالَتۡ رَبِّ إِنِّي وَضَعۡتُهَآ أُنثَىٰ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا وَضَعَتۡ وَلَيۡسَ ٱلذَّكَرُ كَٱلۡأُنثَىٰۖ وَإِنِّي سَمَّيۡتُهَا مَرۡيَمَ وَإِنِّيٓ أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ ٱلرَّجِيمِ
অতঃপর যখন তাকে প্রসব করলো, তখন বললো, ‘হে রব আমার! এতো আমি কন্যা প্রসব করলাম।’ এবং আল্লাহ্র সম্যক জানা আছে যা সে প্রসব করেছে। আর ওই পুত্র সন্তান, যা সে চেয়েছিলো, এ কন্যা সন্তানের মতো নয়।’ এবং আমি তার নাম মরিয়ম রাখলাম। আর তাকে এবং তার বংশধরকে তোমার আশ্রয়ে দিচ্ছি বিতাড়িত শয়তান থেকে।’
فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٖ وَأَنۢبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنٗا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّاۖ كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيۡهَا زَكَرِيَّا ٱلۡمِحۡرَابَ وَجَدَ عِندَهَا رِزۡقٗاۖ قَالَ يَٰمَرۡيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَٰذَاۖ قَالَتۡ هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِۖ إِنَّ ٱللَّهَ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيۡرِ حِسَابٍ
অতঃপর তাকে তার রব উত্তমরূপে কবূল করলেন এবং তাকে উত্তমরূপে প্রতিপালন করলেন আর তাকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে দিলেন। যখন যাকারিয়া তার নিকটতার নামায পড়ার স্থানে যেতো তখন তার নিকট নতুন রিয্ক্ব পেতো। বললো, ‘হে মরিয়ম! এটা তোমার নিকট কোত্থেকে আসলো?’ বললো, ‘সেটা আল্লাহ্র নিকট থেকে।’ নিশ্চয়, আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা অগণিত দান করেন।
هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُۥۖ قَالَ رَبِّ هَبۡ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةٗ طَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ
এখানে প্রার্থনা করলো যাকরিয়া আপন রবের নিকট। আরয করলো, ‘হে রব! আমাকে তোমার নিকট থেকে প্রদান করো পবিত্র সন্তান। নিশ্চয়, তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী।’
فَنَادَتۡهُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ وَهُوَ قَآئِمٞ يُصَلِّي فِي ٱلۡمِحۡرَابِ أَنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحۡيَىٰ مُصَدِّقَۢا بِكَلِمَةٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَسَيِّدٗا وَحَصُورٗا وَنَبِيّٗا مِّنَ ٱلصَّـٰلِحِينَ
তখন ফিরিশ্তাগণ তাকে সাড়া দিলো এবং সে আপন নামাযের স্থানে দণ্ডায়মান অবস্থায় নামায পড়ছিলো, ‘নিশ্চয়, আল্লাহ্ আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহ্য়ার, যে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে একটা কলেমার সত্যায়ন করবে এবং সরদার ও সব সময়ের জন্য নারীদের থেকে বিরত থাকবে এবং নবী, আমার খাস বান্দাদের মধ্য থেকে।’
قَالَ رَبِّ أَنَّىٰ يَكُونُ لِي غُلَٰمٞ وَقَدۡ بَلَغَنِيَ ٱلۡكِبَرُ وَٱمۡرَأَتِي عَاقِرٞۖ قَالَ كَذَٰلِكَ ٱللَّهُ يَفۡعَلُ مَا يَشَآءُ
বললো, ‘হে আমার রব! আমার সন্তান কোত্থেকে হবে? আমার তো বার্দ্ধক্য এসে পৌঁছেছে এবং আমার স্ত্রীও বন্ধ্যা।’ এরশাদ করলেন, ‘আল্লাহ্ এভাবেই করেন, যা চান।’