بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَسۡـَٔلُواْ عَنۡ أَشۡيَآءَ إِن تُبۡدَ لَكُمۡ تَسُؤۡكُمۡ وَإِن تَسۡـَٔلُواْ عَنۡهَا حِينَ يُنَزَّلُ ٱلۡقُرۡءَانُ تُبۡدَ لَكُمۡ عَفَا ٱللَّهُ عَنۡهَاۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٞ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যেগুলো তোমাদের উপর প্রকাশ করা হলে তোমাদের খারাপ লাগবে; এবং যদি ঐ সব বিষয়ে সে সময় প্রশ্ন করো, যখন ক্বোরআন অবতীর্ণ হচ্ছে, তবে তোমাদের উপর প্রকাশ করে দেওয়া হবে। আল্লাহ্ সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন; এবং আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدۡ سَأَلَهَا قَوۡمٞ مِّن قَبۡلِكُمۡ ثُمَّ أَصۡبَحُواْ بِهَا كَٰفِرِينَ
তোমাদের পূর্বেও এসব বিষয়ে এক সম্প্রদায় প্রশ্ন করেছে; অতঃপর (তারা) ঐ সব বিষয়কে অস্বীকার করে বসে।
مَا جَعَلَ ٱللَّهُ مِنۢ بَحِيرَةٖ وَلَا سَآئِبَةٖ وَلَا وَصِيلَةٖ وَلَا حَامٖ وَلَٰكِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يَفۡتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَۖ وَأَكۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡقِلُونَ
আল্লাহ্ নির্ধারণ করেনি কানচেরা উষ্ট্রীকে, না মানস হিসেবে ছেড়ে দেওয়া উষ্ট্রীকে, না সাতটা বাচ্চার জননী ছাগীকে, না দশটা বাচ্চার জন্মদাতা উষ্ট্রকে। হাঁ, কাফিরগণ আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা রচনা করে; এবং তাদের মধ্যে অনেকে নিরেট বোধশক্তিহীন।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَإِلَى ٱلرَّسُولِ قَالُواْ حَسۡبُنَا مَا وَجَدۡنَا عَلَيۡهِ ءَابَآءَنَآۚ أَوَلَوۡ كَانَ ءَابَآؤُهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ شَيۡـٔٗا وَلَا يَهۡتَدُونَ
এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘এসো সেটার প্রতি, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন; এবং রসূলের প্রতি’। (তখন) তারা বলে, ‘আমাদের জন্য সেটাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের পিতৃপুরুষকে পেয়েছি’। কী! যদিও তাদের পিতৃপুরুষ কিছুই না জানে এবং না থাকে সৎপথের উপর তবুও?
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ عَلَيۡكُمۡ أَنفُسَكُمۡۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهۡتَدَيۡتُمۡۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرۡجِعُكُمۡ جَمِيعٗا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের চিন্তা-ভাবনা রাখো। তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না ওই ব্যক্তি, যে পথভ্রষ্ট হয়েছে যখন তোমরা সৎপথে থাকো। তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তন আল্লাহ্রই দিকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ شَهَٰدَةُ بَيۡنِكُمۡ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلۡمَوۡتُ حِينَ ٱلۡوَصِيَّةِ ٱثۡنَانِ ذَوَا عَدۡلٖ مِّنكُمۡ أَوۡ ءَاخَرَانِ مِنۡ غَيۡرِكُمۡ إِنۡ أَنتُمۡ ضَرَبۡتُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَأَصَٰبَتۡكُم مُّصِيبَةُ ٱلۡمَوۡتِۚ تَحۡبِسُونَهُمَا مِنۢ بَعۡدِ ٱلصَّلَوٰةِ فَيُقۡسِمَانِ بِٱللَّهِ إِنِ ٱرۡتَبۡتُمۡ لَا نَشۡتَرِي بِهِۦ ثَمَنٗا وَلَوۡ كَانَ ذَا قُرۡبَىٰ وَلَا نَكۡتُمُ شَهَٰدَةَ ٱللَّهِ إِنَّآ إِذٗا لَّمِنَ ٱلۡأٓثِمِينَ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পরস্পরের সাক্ষ্য হচ্ছে, যখন তোমাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, ওসীয়ত করার সময়, তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি অথবা তোমাদের ব্যতীত অন্য লোকদের মধ্য থেকে দু’জন, যখন তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে সফরে যাও, অতঃপর তোমাদের নিকট মৃত্যুর বিপদ এসে পৌঁছে। ঐ দু’জনকে নামাযের পর আটক করো। তখন তারা আল্লাহ্র নামে শপথ করে বলবে, যদি তোমাদের কোনরূপ সন্দেহ হয়, এ মর্মে যে, ‘আমরা শপথের বিনিময়ে কোন সম্পদ ক্রয় করবো না, যদি সে নিকট আত্নীয়ও হয় এবং আল্লাহ্র সাক্ষ্যকে গোপন করবোনা; এমন করলে আমরা অবশ্যই পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হবো।
فَإِنۡ عُثِرَ عَلَىٰٓ أَنَّهُمَا ٱسۡتَحَقَّآ إِثۡمٗا فَـَٔاخَرَانِ يَقُومَانِ مَقَامَهُمَا مِنَ ٱلَّذِينَ ٱسۡتَحَقَّ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَوۡلَيَٰنِ فَيُقۡسِمَانِ بِٱللَّهِ لَشَهَٰدَتُنَآ أَحَقُّ مِن شَهَٰدَتِهِمَا وَمَا ٱعۡتَدَيۡنَآ إِنَّآ إِذٗا لَّمِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
অতঃপর যদি এটার হদিস মিলে যে, তারা (দু’জন) কোন অপরাধে অপরাধি হয়েছে, তবে তাদের স্থলে অপর দু’জন লোক স্থলাভিষিক্ত হবে ঐ সব লোকের মধ্য থেকে, যাদেরকে এ অপরাধ অর্থাৎ মিথ্যা সাক্ষ্য তাদের হক নিয়ে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যারা মৃত ব্যক্তির অধিক নিকটের হয়। অতঃপর তারা আল্লাহ্র শপথ করে বলবে, ‘আমাদের সাক্ষ্য অধিকতর সত্য ঐ দু’জন লোকের সাক্ষ্যের চেয়ে এবং আমরা সীমালংঘন করিনি; এমন করলে আমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবো।’
ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يَأۡتُواْ بِٱلشَّهَٰدَةِ عَلَىٰ وَجۡهِهَآ أَوۡ يَخَافُوٓاْ أَن تُرَدَّ أَيۡمَٰنُۢ بَعۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱسۡمَعُواْۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ
এ (পদ্ধিতি)টা অধিকতর কাছাকাছি এ কথার যে, সাক্ষ্য যেমন হওয়া চাই তেমনিভাবে আদায় করবে, অথবা এরই ভয় করবে যে, কিছু কিছু শপথ বাতিল করে দেয়া হবে তাদের শপথগুলোর পর, এবং আল্লাহ্কে ভয় করো ও নির্দেশ শ্রবণ করো; আর আল্লাহ্ আদেশ অমান্যকারীদেরকে সরল পথ দেখান না।
۞يَوۡمَ يَجۡمَعُ ٱللَّهُ ٱلرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَآ أُجِبۡتُمۡۖ قَالُواْ لَا عِلۡمَ لَنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّـٰمُ ٱلۡغُيُوبِ
যেদিন আল্লাহ্ একত্রিত করবেন রসূলগণকে অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা কি জবাব পেয়েছো’? (তারা) আরয করবেন, ‘আমাদের কোন জ্ঞান নেই, নিঃসন্দেহে আপনিই সমস্ত অদৃশ্য সম্বন্ধে খুব জ্ঞাত’।
إِذۡ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ٱذۡكُرۡ نِعۡمَتِي عَلَيۡكَ وَعَلَىٰ وَٰلِدَتِكَ إِذۡ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ ٱلۡقُدُسِ تُكَلِّمُ ٱلنَّاسَ فِي ٱلۡمَهۡدِ وَكَهۡلٗاۖ وَإِذۡ عَلَّمۡتُكَ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَٱلتَّوۡرَىٰةَ وَٱلۡإِنجِيلَۖ وَإِذۡ تَخۡلُقُ مِنَ ٱلطِّينِ كَهَيۡـَٔةِ ٱلطَّيۡرِ بِإِذۡنِي فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيۡرَۢا بِإِذۡنِيۖ وَتُبۡرِئُ ٱلۡأَكۡمَهَ وَٱلۡأَبۡرَصَ بِإِذۡنِيۖ وَإِذۡ تُخۡرِجُ ٱلۡمَوۡتَىٰ بِإِذۡنِيۖ وَإِذۡ كَفَفۡتُ بَنِيٓ إِسۡرَـٰٓءِيلَ عَنكَ إِذۡ جِئۡتَهُم بِٱلۡبَيِّنَٰتِ فَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا سِحۡرٞ مُّبِينٞ
যখন আল্লাহ্ বলবেন, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! স্মরণ করো আমার করুণাকে তোমার উপর ও তোমার মায়ের উপর যখন আমি ‘পবিত্র আত্না’ দ্বারা তোমাকে সাহায্য করেছিলাম; তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে দোলনায় থাকাবস্থায় ও পরিপক্ক বয়সে; এবং যখন আমি তোমাকে শিক্ষা দিয়েছি কিতাব, তাওরীত এবং ইন্জীল; আর যখন তুমি মাটির দ্বারা পাখী সদৃশ আকৃতি আমার নির্দেশে তৈরী করতে অতঃপর সেটার মধ্যে ফুঁৎকার দিতে, তখন সেটা আমার নির্দেশে উড়তে আরম্ভ করতো; এবং তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে আমার নির্দেশে নিরাময় করতে; আর যখন তুমি মৃতদেরকে আমার নির্দেশে জীবিত বের করতে এবং যখন আমি বনী ইস্রাঈলকে তোমাকে শহীদ করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছি; যখন তুমি তাদের নিকট উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিলে, তখন তাদের মধ্য থেকে কাফিরগণ বললো, ‘এ তো নয়, কিন্তু সুস্পষ্ট যাদু’।