بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ
মুসলমানদের উক্তি তো এই যখন আল্লাহ্ ও রসূলের দিকে আহ্বান করা হয়, এ জন্য যে, রসূল তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন, তখন তারা আরয করে, ‘আমরা শ্রবণ করলাম এবং হুকুম মান্য করলাম’। আর এসব লোকই সফলকাম।
وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَخۡشَ ٱللَّهَ وَيَتَّقۡهِ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَآئِزُونَ
এবং যারা নির্দেশ মান্য করে আল্লাহ্ ও তার রসূলের এবং আল্লাহ্কে ভয় করে আর সাবধানতা অবলম্বন করে, তবে এসব লোকই সফলকাম।
۞وَأَقۡسَمُواْ بِٱللَّهِ جَهۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡ لَئِنۡ أَمَرۡتَهُمۡ لَيَخۡرُجُنَّۖ قُل لَّا تُقۡسِمُواْۖ طَاعَةٞ مَّعۡرُوفَةٌۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ
এবং তারা আল্লাহ্র শপথ করেছে, নিজেদের শপথ চূড়ান্ত প্রচেষ্টা সহকারে, এ মর্মে যে, আপনি যদি তাদেরকে নির্দেশ দেন তবে তারা অবশ্যই জিহাদে বের হবে। আপনি বলুন, ‘তোমরা শপথ করো না! শরীয়ত অনুযায়ী হুকুম পালন করা উচিত। আল্লাহ্ জানেন যা তোমরা করছো’।
قُلۡ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّمَا عَلَيۡهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيۡكُم مَّا حُمِّلۡتُمۡۖ وَإِن تُطِيعُوهُ تَهۡتَدُواْۚ وَمَا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُ ٱلۡمُبِينُ
আপনি বলুন, ‘নির্দেশ মান্য করো আল্লাহ্র এবং নির্দেশ মান্য করো রসূলের’। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে রসূলের দায়িত্বে তাই রয়েছে, যা তার উপর অপরিহার্য করা হয়েছে এবং তোমাদের উপর তাই রয়েছে, যার ভার তোমাদের উপর অর্পিত হয়েছে।আর যদি রসূলের আনুগত্য করো, তবে সৎপথ পাবে। এবং রসূলের দায়িত্ব নয়,কিন্তু স্পষ্টভাবে পৌছিয়ে দেওয়া।
وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ لَيَسۡتَخۡلِفَنَّهُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ كَمَا ٱسۡتَخۡلَفَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمۡ دِينَهُمُ ٱلَّذِي ٱرۡتَضَىٰ لَهُمۡ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّنۢ بَعۡدِ خَوۡفِهِمۡ أَمۡنٗاۚ يَعۡبُدُونَنِي لَا يُشۡرِكُونَ بِي شَيۡـٔٗاۚ وَمَن كَفَرَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ
আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদেরকে, যারা তোমাদের মধ্যে ঈমান এনেছে এবং সৎ কর্ম করেছে যে, অবশ্যই তাদেরকে পৃথিবীতে খিলাফত প্রদান করবেন যেমনি তাদের পূর্ববর্তীদেরকে দিয়েছেন; এবং অবশ্যই তাদের জন্য সুদৃঢ় করে দেবন তাদের ওই দ্বীনকে, যা তাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তী ভয় ভীতিকে নিরাপত্তায় বদলে দেবেন। আমার ইবাদত করবে, আমার শরীক কাউকেও দাঁড় করাবে না। আর যারা এর পড়ে অকৃতজ্ঞ হবে, তবে সে সব লোকই নির্দেশ অমান্যকারি।
وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُونَ
আর নামায কায়েম রাখো, যাকাত দাও এবং রসূলের আনুগত্য করো এ আশায় যে, তোমাদের প্রতি দয়া করা হবে।
لَا تَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مُعۡجِزِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَمَأۡوَىٰهُمُ ٱلنَّارُۖ وَلَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ
কখনো কাফিরদেরকে মনে করবেন না যে, তারা কখনো আমার আয়ত্বের বাইরে যেতে পারবে পৃথিবীতে। এবং তাদের ঠিকানা আগুনই; আর অবশ্য কতোই নিকৃষ্ট পরিণাম!
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لِيَسۡتَـٔۡذِنكُمُ ٱلَّذِينَ مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ وَٱلَّذِينَ لَمۡ يَبۡلُغُواْ ٱلۡحُلُمَ مِنكُمۡ ثَلَٰثَ مَرَّـٰتٖۚ مِّن قَبۡلِ صَلَوٰةِ ٱلۡفَجۡرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ ٱلظَّهِيرَةِ وَمِنۢ بَعۡدِ صَلَوٰةِ ٱلۡعِشَآءِۚ ثَلَٰثُ عَوۡرَٰتٖ لَّكُمۡۚ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ وَلَا عَلَيۡهِمۡ جُنَاحُۢ بَعۡدَهُنَّۚ طَوَّـٰفُونَ عَلَيۡكُم بَعۡضُكُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের হাতের সম্পদ দাস এবং ওই সব ছেলেমেয়ের, যারা তোমাদের মধ্যে এখনো যৌবনে পদার্পণ করেনি- তিনটি সময়ে, তোমাদের নিকট থেকে অনুমতি নেওয়া উচিতঃ ফজরের নামাযের পূর্বে এবং যখন তোমরা আপন পোশাক খুলে রাখো দ্বি-প্রহরে, আর এশা নামাযের পর। এ তিন সময় তোমাদের লজ্জার। এ তিন সময়ের পর তোমাদের উপর কোন পাপ নেই, না তাদের উপর; (তারা তো) আসা যাওয়া করে তোমাদের নিকট, একে অপরের নিকট।আল্লাহ্ এভাবে তোমাদের জন্য নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ্ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
وَإِذَا بَلَغَ ٱلۡأَطۡفَٰلُ مِنكُمُ ٱلۡحُلُمَ فَلۡيَسۡتَـٔۡذِنُواْ كَمَا ٱسۡتَـٔۡذَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ
এবং যখন তোমাদের মধ্যে সন্তানরা যৌবনে পৌছে যায় তখন তারাও যেন অনুমতি প্রার্থণা করে যেমন তাদের পূর্ববর্তীগণ অনুমতি প্রার্থনা করেছে। আল্লাহ্ এভাবে তোমাদের নিকট আপন আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন; এবং আল্লাহ্ জ্ঞান ও প্রজ্ঞাময়।
وَٱلۡقَوَٰعِدُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ ٱلَّـٰتِي لَا يَرۡجُونَ نِكَاحٗا فَلَيۡسَ عَلَيۡهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعۡنَ ثِيَابَهُنَّ غَيۡرَ مُتَبَرِّجَٰتِۭ بِزِينَةٖۖ وَأَن يَسۡتَعۡفِفۡنَ خَيۡرٞ لَّهُنَّۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ
এবং বৃদ্ধা-ঘরে অবস্থানকারী নারীগণ, যাদের বিবাদের আশা নেই, তাদের উপর কোন পাপ নেই তাদের বহিরাভরণ খুলে রাখলে, যখন সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। আর তা থেকেও বিরত থাকা তাদের জন্য আরো অধিক উত্তম। এবং আল্লাহ্ শুনেন, জানেন।