بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَمِمَّنۡ حَوۡلَكُم مِّنَ ٱلۡأَعۡرَابِ مُنَٰفِقُونَۖ وَمِنۡ أَهۡلِ ٱلۡمَدِينَةِ مَرَدُواْ عَلَى ٱلنِّفَاقِ لَا تَعۡلَمُهُمۡۖ نَحۡنُ نَعۡلَمُهُمۡۚ سَنُعَذِّبُهُم مَّرَّتَيۡنِ ثُمَّ يُرَدُّونَ إِلَىٰ عَذَابٍ عَظِيمٖ,
এবং তোমাদের আশপাশের কিছু সংখ্যক মরুবাসী মুনাফিক্ব আর কিছু সংখ্যক মদীনাবাস্বী; তাদের স্বভাবই হয়ে গেছে মুনাফিক্বী। আপনি তাদেরকে জানেন না, আমি তাদের জানি। অতি সত্বর আমি তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেবো। অতঃপর মহাশাস্তির দিকে তারা প্রত্যাবর্তিত হবে।
وَءَاخَرُونَ ٱعۡتَرَفُواْ بِذُنُوبِهِمۡ خَلَطُواْ عَمَلٗا صَٰلِحٗا وَءَاخَرَ سَيِّئًا عَسَى ٱللَّهُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٌ,
এবং অপর কতেক লোক রয়েছে, যারা নিজেদের গুনাহসমূহ স্বীকার করেছে আর মিশ্রিত করেছে একটা কাজ ভালো এবং অপরটা মন্দ। এ কথা নিকটে যে, আল্লাহ্ তাদের তাওবা কবূল করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيۡهِمۡۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٞ لَّهُمۡۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ,
হে মাহবূব! তাদের সম্পদ থেকে যাকাত সংগ্রহ করুন, যা দ্বারা আপনি তাদেরকে পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করবেন এবং তাদের জন্য মঙ্গলের জন্য দো’আ করুন। নিশ্চয় আপনার দো’আ তাদের অন্তরসমূহের প্রশান্তি এবং আল্লাহ্ শ্রোতা জ্ঞাতা।
أَلَمۡ يَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ هُوَ يَقۡبَلُ ٱلتَّوۡبَةَ عَنۡ عِبَادِهِۦ وَيَأۡخُذُ ٱلصَّدَقَٰتِ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ,
তাদের কি খবর নেই যে, আল্লাহ্ই তার বান্দাদের তাওবা কবূল করেন এবং সাদক্বাহসমূহ নিজেই স্বীয় ক্বুদরতের হাতে গ্রহণ করেন; আর এ’যে আল্লাহ্ তাওবা গ্রহণকারী, দয়ালু।
وَقُلِ ٱعۡمَلُواْ فَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمۡ وَرَسُولُهُۥ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۖ وَسَتُرَدُّونَ إِلَىٰ عَٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ,
এবং আপনি বলুন, ‘কাজ করো। এখন তোমাদের কাজ দেখবেন আল্লাহ্ ও তার রসূল এবং মুসলমানগণ। আর অবিলম্বে তোমরা তারই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে, যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্য সবই জানেন। অতঃপর তিনি তোমাদের কর্ম তোমাদেরকে জানিয়ে দেবেন।
وَءَاخَرُونَ مُرۡجَوۡنَ لِأَمۡرِ ٱللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمۡ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيۡهِمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ,
এবং কিছু লোককে স্থগিত রাখা হয়েছে আল্লাহ্র নির্দেশের প্রতীক্ষায়- তিনি হয়তো তাদেরকে শাস্তি দেবেন অথবা তাদের তাওবা কবূল করবেন; এবং আল্লাহ্ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مَسۡجِدٗا ضِرَارٗا وَكُفۡرٗا وَتَفۡرِيقَۢا بَيۡنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَإِرۡصَادٗا لِّمَنۡ حَارَبَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ مِن قَبۡلُۚ وَلَيَحۡلِفُنَّ إِنۡ أَرَدۡنَآ إِلَّا ٱلۡحُسۡنَىٰۖ وَٱللَّهُ يَشۡهَدُ إِنَّهُمۡ لَكَٰذِبُونَ,
এবং ওই সব লোক, যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধনের জন্য, কুফরের কারণে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্য আর তারই প্রতীক্ষায়, যে ব্যক্তি পূর্ব থেকেই আল্লাহ্ ও তার রসূলের বিরোধী; এবং তারা অবশ্যই বহু শপথ করবে, ‘আমরা তো কল্যাণই চেয়েছি’। আর আল্লাহ্ (এ মর্মে) সাক্ষী যে, তারা নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদী।
لَا تَقُمۡ فِيهِ أَبَدٗاۚ لَّمَسۡجِدٌ أُسِّسَ عَلَى ٱلتَّقۡوَىٰ مِنۡ أَوَّلِ يَوۡمٍ أَحَقُّ أَن تَقُومَ فِيهِۚ فِيهِ رِجَالٞ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُواْۚ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلۡمُطَّهِّرِينَ,
ওই মসজিদের মধ্যে আপনি কখনো দাড়াবেন না। নিশ্চয় ওই মসজিদ, যার ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই পরহেয্গারীর উপর রাখা হয়েছে, তা এরই উপযুক্ত যে, আপনি তাঁতে দাড়াবেন এবং সেটার মধ্যে এমন সব লোক রয়েছে, যারা খুব পবিত্র হতে চায় আর পবিত্র লোকেরা আল্লাহ্র নিকট প্রিয়।
أَفَمَنۡ أَسَّسَ بُنۡيَٰنَهُۥ عَلَىٰ تَقۡوَىٰ مِنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٍ خَيۡرٌ أَم مَّنۡ أَسَّسَ بُنۡيَٰنَهُۥ عَلَىٰ شَفَا جُرُفٍ هَارٖ فَٱنۡهَارَ بِهِۦ فِي نَارِ جَهَنَّمَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ,
তবে কি যে ব্যক্তি নিজ ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছে আল্লাহ্র ভয় ও তার সন্তুষ্টির উপর সে-ই উত্তম, না ওই ব্যক্তি, যে তার ঘরের ভিত্তি স্থাপন করেছে এক গভীর গর্তের কিনারায়, ফলে তা তাকে নিয়ে জাহান্নামের আগুনে ধ্বসে পড়েছে? এবং আল্লাহ্ যালিমদেরকে পথ প্রদান করেন না।
لَا يَزَالُ بُنۡيَٰنُهُمُ ٱلَّذِي بَنَوۡاْ رِيبَةٗ فِي قُلُوبِهِمۡ إِلَّآ أَن تَقَطَّعَ قُلُوبُهُمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ,
ওই ঘর যা তারা নির্মাণ করেছে, তা তাদের অন্তরে সমসময় সন্দেহের কারণ হয়ে থাকবে যে পর্যন্ত না তাদের অন্তর খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যায়; এবং আল্লাহ্ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।