بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
۞وَلَوۡ يُعَجِّلُ ٱللَّهُ لِلنَّاسِ ٱلشَّرَّ ٱسۡتِعۡجَالَهُم بِٱلۡخَيۡرِ لَقُضِيَ إِلَيۡهِمۡ أَجَلُهُمۡۖ فَنَذَرُ ٱلَّذِينَ لَا يَرۡجُونَ لِقَآءَنَا فِي طُغۡيَٰنِهِمۡ يَعۡمَهُونَ
এবং যদি আল্লাহ্ মানুষের উপর অমঙ্গল এমনই তাড়াতাড়ি প্রেরণ করতেন যেমন তারা তাদের কল্যাণকে ত্বরান্বিত করতে চায়, তবে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়ে যেতো। সুতরাং আমি তাদেরকে ছেড়ে দিই যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, যেন তারা তাদের অবাধ্যতার মধ্যে দিশেহারা হয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে।
وَإِذَا مَسَّ ٱلۡإِنسَٰنَ ٱلضُّرُّ دَعَانَا لِجَنۢبِهِۦٓ أَوۡ قَاعِدًا أَوۡ قَآئِمٗا فَلَمَّا كَشَفۡنَا عَنۡهُ ضُرَّهُۥ مَرَّ كَأَن لَّمۡ يَدۡعُنَآ إِلَىٰ ضُرّٖ مَّسَّهُۥۚ كَذَٰلِكَ زُيِّنَ لِلۡمُسۡرِفِينَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
এবং যখন মানুষকে দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করে তখন আমাকে ডাকে-শুয়ে, বসে এবং দাঁড়িয়ে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করে দিই তখন এমনিভাবে চলে যায় যেন কখনো কোন দুঃখ দৈন্য স্পর্শ করার কারণে আমাকে ডাকেই নি। এমনিভাবে সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে তাদের কৃতকর্ম সুশোভিত করে দেখানো হয়েছে।
وَلَقَدۡ أَهۡلَكۡنَا ٱلۡقُرُونَ مِن قَبۡلِكُمۡ لَمَّا ظَلَمُواْ وَجَآءَتۡهُمۡ رُسُلُهُم بِٱلۡبَيِّنَٰتِ وَمَا كَانُواْ لِيُؤۡمِنُواْۚ كَذَٰلِكَ نَجۡزِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি যখন তারা সীমালঙ্গন করেছে আর তাদের রসূলগণ তাদের নিকট স্পষ্ট দলীলাদি নিয়ে এসেছেন; এবং তারা এমনই ছিলো না যে, ঈমান আনবে। আমি এভাবে প্রতিফল দিয়ে থাকি অপরাধীদেরকে।
ثُمَّ جَعَلۡنَٰكُمۡ خَلَـٰٓئِفَ فِي ٱلۡأَرۡضِ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ لِنَنظُرَ كَيۡفَ تَعۡمَلُونَ
অতঃপর আমি তাদের পর তোমাদের পৃথিবীতে স্থলাভিষিক্ত করেছি যেন দেখি তোমরা কীরূপ কাজ করো।
وَإِذَا تُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡ ءَايَاتُنَا بَيِّنَٰتٖ قَالَ ٱلَّذِينَ لَا يَرۡجُونَ لِقَآءَنَا ٱئۡتِ بِقُرۡءَانٍ غَيۡرِ هَٰذَآ أَوۡ بَدِّلۡهُۚ قُلۡ مَا يَكُونُ لِيٓ أَنۡ أُبَدِّلَهُۥ مِن تِلۡقَآيِٕ نَفۡسِيٓۖ إِنۡ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَىٰٓ إِلَيَّۖ إِنِّيٓ أَخَافُ إِنۡ عَصَيۡتُ رَبِّي عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ
এবং যখন তাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ পাঠ করা হয়, তখন যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না, তারা বলতে থাকে, ‘এটা ব্যতীত অন্য একটা ক্বোরআন নিয়ে আসুন অথবা সেটাকে বদলিয়ে ফেলুন’। আপনি বলুন, ‘আমার জন্য শোভা পায় না যে, আমি তা নিজ পক্ষ থেকে বদলিয়ে ফেলবো। আমি তো সেটারই অনুসারী, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়; আমি যদি আপন রবের নির্দেশ অমান্য করি, তবে আমার নিকট মহা দিবসের আযাবের ভয় রয়েছে’।
قُل لَّوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَا تَلَوۡتُهُۥ عَلَيۡكُمۡ وَلَآ أَدۡرَىٰكُم بِهِۦۖ فَقَدۡ لَبِثۡتُ فِيكُمۡ عُمُرٗا مِّن قَبۡلِهِۦٓۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ
আপনি বলুন, ‘যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে আমি সেটা তোমাদের নিকট পাঠ করতাম না, না তিনি তোমাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করতেন। অতঃপর আমি এর পূর্বে তোমাদের মধ্যে স্বীয় একটা আয়ুষ্কাল অতিবাহিত করেছি; সুতরাং তোমাদের কি বিবেক নেই’?
فَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوۡ كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ لَا يُفۡلِحُ ٱلۡمُجۡرِمُونَ
সুতরাং তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে অথবা তার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে? নিঃসন্দেহে, অপরাধীদের মঙ্গল হবে না।
وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَضُرُّهُمۡ وَلَا يَنفَعُهُمۡ وَيَقُولُونَ هَـٰٓؤُلَآءِ شُفَعَـٰٓؤُنَا عِندَ ٱللَّهِۚ قُلۡ أَتُنَبِّـُٔونَ ٱللَّهَ بِمَا لَا يَعۡلَمُ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ
এবং আল্লাহ্ ব্যতীত এমন বস্তুর পূজা করে, যা তাদের না কোন ক্ষতি করে, না উপকার। আর বলে, ‘এগুলো হচ্ছে-আল্লাহ্র নিকট আমাদের সুপারিশকারী’। আপনি বলুন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্কে ওই কথা বলছো, যা তার জ্ঞানে না আসমানসমূহে আছে, না যমীনের মধ্যে’? তিনি পবিত্র এবং ঊর্ধ্বে তাদের শির্ক থেকে।
وَمَا كَانَ ٱلنَّاسُ إِلَّآ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ فَٱخۡتَلَفُواْۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةٞ سَبَقَتۡ مِن رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيۡنَهُمۡ فِيمَا فِيهِ يَخۡتَلِفُونَ
এবং মানুষ একই জাতি (উম্মত) ছিলো। অতঃপর পরস্পর ভিন্ন হয়েছে; আর যদি আপনার নিকট থেকে একটা কথার ফয়সালা না হয়ে থাকতো, তবে এখানেই তাদের মতভেদসমূহের মীমাংসা তাদের মধ্যে হয়ে যেতো।
وَيَقُولُونَ لَوۡلَآ أُنزِلَ عَلَيۡهِ ءَايَةٞ مِّن رَّبِّهِۦۖ فَقُلۡ إِنَّمَا ٱلۡغَيۡبُ لِلَّهِ فَٱنتَظِرُوٓاْ إِنِّي مَعَكُم مِّنَ ٱلۡمُنتَظِرِينَ
এবং তার বলে, ‘তার উপর তারই রবের নিকট থেকে কোন নিদর্শন কেন অবতীর্ণ হয় নি’? আপনি বলুন, ‘অদৃশ্য তো আল্লাহ্র জন্য, এখন তোমরা প্রতীক্ষা করো। আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি’।