بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
۞وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنشَأَ جَنَّـٰتٖ مَّعۡرُوشَٰتٖ وَغَيۡرَ مَعۡرُوشَٰتٖ وَٱلنَّخۡلَ وَٱلزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا أُكُلُهُۥ وَٱلزَّيۡتُونَ وَٱلرُّمَّانَ مُتَشَٰبِهٗا وَغَيۡرَ مُتَشَٰبِهٖۚ كُلُواْ مِن ثَمَرِهِۦٓ إِذَآ أَثۡمَرَ وَءَاتُواْ حَقَّهُۥ يَوۡمَ حَصَادِهِۦۖ وَلَا تُسۡرِفُوٓاْۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُسۡرِفِينَ
এবং তিনিই হন, যিনি সৃষ্টি করেছেন উদ্যানসমূহ, কিছু যমীনের উপর ছাইয়ে নেই আর খেজুরবৃক্ষ ও ক্ষেত, যাতে রয়েছে রং বেরং এর খাদ্য এবং যায়তূন ও আনার কোন কোন বিষয়ে একে অন্যের সাথে সদৃশ এবং কোন কোন বিষয়ে বিসদৃশও। আহার করো সেটার ফল যখন ফলবান হয় আর সেটার প্রাপ্য প্রদান করো যেদিন তা কাটবে এবং অযথা ব্যয় করো না। নিশ্চয়, অযথা ব্যয়কারীগণ তার পছন্দনীয় নয়।
وَمِنَ ٱلۡأَنۡعَٰمِ حَمُولَةٗ وَفَرۡشٗاۚ كُلُواْ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ
আর গবাদি পশুর মধ্যে কতেক ভারবাহী এবং কতেক যমীনের উপর বিছানো; আহার করো তা থেকে, যা আল্লাহ্ তোমাদেরকে জীবিকা দিয়েছেন এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
ثَمَٰنِيَةَ أَزۡوَٰجٖۖ مِّنَ ٱلضَّأۡنِ ٱثۡنَيۡنِ وَمِنَ ٱلۡمَعۡزِ ٱثۡنَيۡنِۗ قُلۡ ءَآلذَّكَرَيۡنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلۡأُنثَيَيۡنِ أَمَّا ٱشۡتَمَلَتۡ عَلَيۡهِ أَرۡحَامُ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۖ نَبِّـُٔونِي بِعِلۡمٍ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ
আটটা নর ও মাদি এক জোড়া ভেড়ার এবং এক জোড়া ছাগলের। আপনি বলুন, ‘তিনি কি নর দু’টিকে হারাম করেছেন কিংবা মাদি দু’টিকে, অথবা ওটাকে, যা মাদি দু’টি গর্ভে ধারণ করেছে? কোন জ্ঞান দ্বারা বলো যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।
وَمِنَ ٱلۡإِبِلِ ٱثۡنَيۡنِ وَمِنَ ٱلۡبَقَرِ ٱثۡنَيۡنِۗ قُلۡ ءَآلذَّكَرَيۡنِ حَرَّمَ أَمِ ٱلۡأُنثَيَيۡنِ أَمَّا ٱشۡتَمَلَتۡ عَلَيۡهِ أَرۡحَامُ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۖ أَمۡ كُنتُمۡ شُهَدَآءَ إِذۡ وَصَّىٰكُمُ ٱللَّهُ بِهَٰذَاۚ فَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗا لِّيُضِلَّ ٱلنَّاسَ بِغَيۡرِ عِلۡمٍۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
এবং এক জোড়া উটের এবং এক জোরা গরুর। আপনি বলুন, ‘তিনি কি নর দু’টি হারাম করেছেন, না মাদি দু’টিকে, কিংবা ওটাকে, যা মাদি দু’টি গর্ভে ধারণ করেছে? তোমরা কি উপস্থিত ছিলে যখন আল্লাহ্ তোমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন?’ সুতরাং তার চেয়ে বড় যালিম আর কে, যে আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে, যেন লোকদেরকে নিজ মূর্খতা দ্বারা পথভ্রষ্টতা করে? নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ যালিমদেরকে পথ দেখান না।
قُل لَّآ أَجِدُ فِي مَآ أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٖ يَطۡعَمُهُۥٓ إِلَّآ أَن يَكُونَ مَيۡتَةً أَوۡ دَمٗا مَّسۡفُوحًا أَوۡ لَحۡمَ خِنزِيرٖ فَإِنَّهُۥ رِجۡسٌ أَوۡ فِسۡقًا أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِۦۚ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ غَيۡرَ بَاغٖ وَلَا عَادٖ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
আপনি বলুন! ‘আমার প্রতি যে ওহী হয়েছে তা’তে কোন আহারকারীর উপর আমি কোন খাদ্য নিষিদ্ধ পাচ্ছি না কিন্তু মৃত হলে, অথবা শিরা উপশিরা থেকে প্রবহমান রক্ত, অথবা শূকরের মাংস ওটা অপবিত্র, অথবা ঐ অবাধ্যতার পশু, যাকে যবেহ করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম উচ্চারণ করা হয়েছে’। সুতরাং, যে নিরুপায় হয়েছে, এমন নয় যে, নিজেই তাঁতে আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এমনও নয় যে, প্রয়োজনীয়তার সীমালঙ্ঘন করে; তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَعَلَى ٱلَّذِينَ هَادُواْ حَرَّمۡنَا كُلَّ ذِي ظُفُرٖۖ وَمِنَ ٱلۡبَقَرِ وَٱلۡغَنَمِ حَرَّمۡنَا عَلَيۡهِمۡ شُحُومَهُمَآ إِلَّا مَا حَمَلَتۡ ظُهُورُهُمَآ أَوِ ٱلۡحَوَايَآ أَوۡ مَا ٱخۡتَلَطَ بِعَظۡمٖۚ ذَٰلِكَ جَزَيۡنَٰهُم بِبَغۡيِهِمۡۖ وَإِنَّا لَصَٰدِقُونَ
এবং ইহুদীদের জন্য আমি হারাম করেছি প্রত্যেক নখ বিশিষ্ট পশু এবং গরু ও ছাগলের চর্বিও তাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলাম; কিন্তু যা সেগুলোর পিঠের মধ্যে লেগে থাকে, অথবা অন্ত্র কিংবা অস্থির সাথে সংলগ্ন থাকে। আমি এটা তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার প্রতিফল দিয়েছি এবং নিশ্চয় নিশ্চয় আমি সত্যবাদী।
فَإِن كَذَّبُوكَ فَقُل رَّبُّكُمۡ ذُو رَحۡمَةٖ وَٰسِعَةٖ وَلَا يُرَدُّ بَأۡسُهُۥ عَنِ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
অতঃপর যদি তারা আপনাকে অস্বীকার করে, তবে আপনি বলুন, ‘তোমাদের প্রতিপালক ব্যাপক দয়াময় এবং তার শাস্তি অপরাধীদের উপর থেকে রদ্দ করা যায় না’।
سَيَقُولُ ٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْ لَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَآ أَشۡرَكۡنَا وَلَآ ءَابَآؤُنَا وَلَا حَرَّمۡنَا مِن شَيۡءٖۚ كَذَٰلِكَ كَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ حَتَّىٰ ذَاقُواْ بَأۡسَنَاۗ قُلۡ هَلۡ عِندَكُم مِّنۡ عِلۡمٖ فَتُخۡرِجُوهُ لَنَآۖ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنۡ أَنتُمۡ إِلَّا تَخۡرُصُونَ
এখন মুশরিকগণ বলবে, ‘আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে না আমরা শির্ক করতাম, না আমাদের পিতৃপুরুষগণ; না আমরা কোন কিছু হারাম সাব্যস্ত করতাম’। এ রূপেই, তাদের পূর্ববর্তীগণ মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলো। শেষ পর্যন্ত আমার শাস্তি ভোগ করেছে। আপনি বলুন, ‘তোমাদের নিকট কি কোন জ্ঞান আছে যে, তা আমার নিকট পেশ করতে পারো? তোমরা তো নিছক কল্পনারই অনুসরণ করছো; এবং তোমরা এভাবেই অনুমান করছো’।
قُلۡ فَلِلَّهِ ٱلۡحُجَّةُ ٱلۡبَٰلِغَةُۖ فَلَوۡ شَآءَ لَهَدَىٰكُمۡ أَجۡمَعِينَ
আপনি বলুন, ‘আল্লাহ্রই দলীল চূড়ান্ত। সুতরাং তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তবে তোমাদের সবাইকে সৎপথে পরিচালিত করতেন’।
قُلۡ هَلُمَّ شُهَدَآءَكُمُ ٱلَّذِينَ يَشۡهَدُونَ أَنَّ ٱللَّهَ حَرَّمَ هَٰذَاۖ فَإِن شَهِدُواْ فَلَا تَشۡهَدۡ مَعَهُمۡۚ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَ ٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَا وَٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ وَهُم بِرَبِّهِمۡ يَعۡدِلُونَ
আপনি বলুন, ‘হাযির করো নিজেদের ঐ সব সাক্ষীকে, যারা এ মর্মে সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ সেটা নিষিদ্ধ করেছেন’। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য দিয়ে বসে, তবে হে শ্রোতা! তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিও না এবং তাদের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা আমার আয়াতগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, যারা আখিরাতের উপর ঈমান আনে না এবং নিজেদের প্রতিপালকের সমকক্ষ দাঁড় করায়।