بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَأَنذِرۡ بِهِ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَن يُحۡشَرُوٓاْ إِلَىٰ رَبِّهِمۡ لَيۡسَ لَهُم مِّن دُونِهِۦ وَلِيّٞ وَلَا شَفِيعٞ لَّعَلَّهُمۡ يَتَّقُونَ
এবং এ ক্বোরআন দ্বারা তাদেরকেই সতর্ক করুন, যাদের এ ভয় আছে যে, তাদেরকে তাদের প্রতিপালকের প্রতি এভাবে উঠানো হবে যে, আল্লাহ্ ব্যতীত তাদের না কোন রক্ষকারী থাকবে, না থাকবে কোন সুপারিশকারী; এ আশায় যে, তারা পরহেয্গার হয়ে যাবে।
وَلَا تَطۡرُدِ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ مَا عَلَيۡكَ مِنۡ حِسَابِهِم مِّن شَيۡءٖ وَمَا مِنۡ حِسَابِكَ عَلَيۡهِم مِّن شَيۡءٖ فَتَطۡرُدَهُمۡ فَتَكُونَ مِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ
এবং বিতাড়িত করবেন না তাদেরকে, যারা আপন প্রতিপালককে ডাকে প্রাতঃকালে ও সন্ধ্যায়, তার সন্তুষ্টি চায়। আপনার উপর তাদের হিসাব নিকাশের কিছুই নেই এবং তাদের উপরও আপনার হিসাবের কিছুই নেই; অতঃপর তাদেরকে আপনি বিতাড়িত করলে এ কাজ ন্যায় বিচার বহির্ভূত হবে।
وَكَذَٰلِكَ فَتَنَّا بَعۡضَهُم بِبَعۡضٖ لِّيَقُولُوٓاْ أَهَـٰٓؤُلَآءِ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَيۡهِم مِّنۢ بَيۡنِنَآۗ أَلَيۡسَ ٱللَّهُ بِأَعۡلَمَ بِٱلشَّـٰكِرِينَ
এবং এভাবে আমি তাদের মধ্যে এককে অপরের জন্য ফিত্না রূপে স্থির করেছি যে, ধনবান কাফির দরিদ্র মুসলমানদেরকে দেখে বলবে, ‘কী এরাই, যাদের উপর আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছেন আমাদের মধ্য থেকে?’ আল্লাহ্ কি ভালই জানেন না সত্য মান্যকারীদেরকে?
وَإِذَا جَآءَكَ ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِـَٔايَٰتِنَا فَقُلۡ سَلَٰمٌ عَلَيۡكُمۡۖ كَتَبَ رَبُّكُمۡ عَلَىٰ نَفۡسِهِ ٱلرَّحۡمَةَ أَنَّهُۥ مَنۡ عَمِلَ مِنكُمۡ سُوٓءَۢا بِجَهَٰلَةٖ ثُمَّ تَابَ مِنۢ بَعۡدِهِۦ وَأَصۡلَحَ فَأَنَّهُۥ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
এবং যখন আপনার নিকট তারা উপস্থিত হবে, যারা আমার নিদর্শনসমূহের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, তখন তাদেরকে আপনি বলুন, ‘তোমাদের উপর শাস্তি! তোমাদের প্রতিপালক নিজ করুণার দায়িত্বে রহমত অবতীর্ণ করে যে, তোমাদের মধ্যে যে কেউ মূর্খতাবশতঃ কোন মন্দকাজ করে বসে, অতঃপর এর পরে তাওবা করে নেয় এবং সৎ হয়ে যায়, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু’।
وَكَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ وَلِتَسۡتَبِينَ سَبِيلُ ٱلۡمُجۡرِمِينَ
আর এভাবে আমি আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করি এবং এ জন্য যে, অপরাধীদের পথ প্রকাশ হয়ে যাবে।
قُلۡ إِنِّي نُهِيتُ أَنۡ أَعۡبُدَ ٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِۚ قُل لَّآ أَتَّبِعُ أَهۡوَآءَكُمۡ قَدۡ ضَلَلۡتُ إِذٗا وَمَآ أَنَا۠ مِنَ ٱلۡمُهۡتَدِينَ
আপনি বলুন, ‘আমাকে নিষেধ করা হয়েছে ঐ সবের ইবাদত করতে, যাদের তোমরা আল্লাহ ব্যতীত উপাসনা করো’। আপনি বলুন, ‘আমি তোমাদের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করি না; এমন হলে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবো এবং সঠিক পথের উপর থাকবো না।
قُلۡ إِنِّي عَلَىٰ بَيِّنَةٖ مِّن رَّبِّي وَكَذَّبۡتُم بِهِۦۚ مَا عِندِي مَا تَسۡتَعۡجِلُونَ بِهِۦٓۚ إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِۖ يَقُصُّ ٱلۡحَقَّۖ وَهُوَ خَيۡرُ ٱلۡفَٰصِلِينَ
আপনি বলুন, ‘আমি তো আপন প্রতিপালকের নিকট থেকে স্পষ্ট প্রমাণের উপর রয়েছি এবং তোমরা সেটাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছো। আমার নিকট নেই যা তোমরা শীঘ্রই চাচ্ছো। নির্দেশ নেই, কিন্তু আল্লাহ্র। তিনি সত্য বিবৃত করেন এবং তিনি সবচেয়ে উত্তম ফয়সালাকারী’।
قُل لَّوۡ أَنَّ عِندِي مَا تَسۡتَعۡجِلُونَ بِهِۦ لَقُضِيَ ٱلۡأَمۡرُ بَيۡنِي وَبَيۡنَكُمۡۗ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِٱلظَّـٰلِمِينَ
আপনি বলুন, ‘যদি আমার নিকট থাকতো ঐ বস্তু, যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছো, তবে আমার ও তোমাদের মধ্যেকার মতভেদের পরিসমাপ্তি ঘটতো এবং আল্লাহ্ ভালভাবে জানেন অত্যাচারীদেরকে’।
۞وَعِندَهُۥ مَفَاتِحُ ٱلۡغَيۡبِ لَا يَعۡلَمُهَآ إِلَّا هُوَۚ وَيَعۡلَمُ مَا فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِۚ وَمَا تَسۡقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلَّا يَعۡلَمُهَا وَلَا حَبَّةٖ فِي ظُلُمَٰتِ ٱلۡأَرۡضِ وَلَا رَطۡبٖ وَلَا يَابِسٍ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مُّبِينٖ
আর তারই নিকট রয়েছে অদৃশ্য ভাণ্ডারের চাবিসমূহ। সেগুলো একমাত্র তিনিই জানেন; এবং জানেনে যা কিছু স্থলে ও জলে রয়েছে; আর যে পাতাটা ঝরে পড়ে তিনি সেটা সম্বন্ধেও অবগত। এবং এমন কোন শস্যকণা নেই যমীনের অন্ধকাররাশির মধ্যে আর না আছে এমন কোন তাজা ও শুষ্ক বস্তু, যা একটা সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ নেই।
وَهُوَ ٱلَّذِي يَتَوَفَّىٰكُم بِٱلَّيۡلِ وَيَعۡلَمُ مَا جَرَحۡتُم بِٱلنَّهَارِ ثُمَّ يَبۡعَثُكُمۡ فِيهِ لِيُقۡضَىٰٓ أَجَلٞ مُّسَمّٗىۖ ثُمَّ إِلَيۡهِ مَرۡجِعُكُمۡ ثُمَّ يُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ
এবং তিনিই হন, যিনি রাত্রিকালে তোমাদের রূহসমূহ হনন করেন এবং জানেন যা কিছু দিনের বেলায় অর্জন করো। অতঃপর তোমাদেরকে দিনে উঠান, যাতে নির্ধারিত সময়সীমা পরিপূর্ণ হয়। অতঃপর তারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন হবে। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা তোমরা করতে।