সূরা আল-বাকারাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [140-150] পর্যন্ত

Read More
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

تِلۡكَ أُمَّةٞ قَدۡ خَلَتۡۖ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَلَكُم مَّا كَسَبۡتُمۡۖ وَلَا تُسۡـَٔلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ

সেই একটা জনগোষ্ঠী, যারা গত হয়েছে। তাদের জন্য তাদের অর্জিত বস্তুআর তোমাদের জন্য তোমাদের অর্জিত বস্তু। আর তাদের কর্মসমূহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রশ্ন করা হবে না।

۞سَيَقُولُ ٱلسُّفَهَآءُ مِنَ ٱلنَّاسِ مَا وَلَّىٰهُمۡ عَن قِبۡلَتِهِمُ ٱلَّتِي كَانُواْ عَلَيۡهَاۚ قُل لِّلَّهِ ٱلۡمَشۡرِقُ وَٱلۡمَغۡرِبُۚ يَهۡدِي مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ

এখন বলবে নির্বোধ লোকেরা, ‘কে ফিরিয়ে দিলো মুসলমানদেরকে তাদের সেই ক্বিবলা থেকে, যার উপর (তারা) ছিলো?’ আপনি বলে দিন, ‘পূর্ব-পশ্চিম সব আল্লাহ্‌রই। তিনি যাকে চান সোজা পথে পরিচালিত করেন।’

وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ وَمَا جَعَلۡنَا ٱلۡقِبۡلَةَ ٱلَّتِي كُنتَ عَلَيۡهَآ إِلَّا لِنَعۡلَمَ مَن يَتَّبِعُ ٱلرَّسُولَ مِمَّن يَنقَلِبُ عَلَىٰ عَقِبَيۡهِۚ وَإِن كَانَتۡ لَكَبِيرَةً إِلَّا عَلَى ٱلَّذِينَ هَدَى ٱللَّهُۗ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٌۭ

এবং কথা হলো এরূপই যে, আমি তোমাদেরকে সব উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির উপর সাক্ষী হও। আর এ রসূল তোমাদের রক্ষক ও সাক্ষী; এবং হে মাহবুব! আপনি ইতিপূর্বে যে ক্বিবলার উপর ছিলেন, আমি সেটাকে এজন্যই নির্দ্ধারণ করেছিলাম যেন দেখি- কে রসূলের অনুসরণ করছে (আর) কে উল্টো পায়ে ফিরে যাচ্ছে। এবং নিশ্চয় এটা কঠিন ছিলো, কিন্তু তাদের উপর কঠিন ছিলো না যাদেরকে আল্লাহ্‌ হিদায়ত করেছেন। আর আল্লাহ্‌র জন্য এটা শোভা পায়না যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে ব্যর্থ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মানুষের উপর অত্যন্ত দয়ার্দ্র, দয়ালু।

قَدۡ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجۡهِكَ فِي ٱلسَّمَآءِۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبۡلَةٗ تَرۡضَىٰهَاۚ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَحَيۡثُ مَا كُنتُمۡ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ شَطۡرَهُۥۗ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ لَيَعۡلَمُونَ أَنَّهُ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّهِمۡۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا يَعۡمَلُونَ

আমি লক্ষ্য করছি বারবার আপনার আসমানের দিকে তাকানো। সুতরাং অবশ্যই আমি আপনাকে ফিরিয়ে দেবো সেই ক্বিবলার দিকে, যাতে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে। এখনই আপন মুখ ফিরিয়ে নিন মসজিদে হারামের দিকে; এবং হে মুসলমানগণ! তোমরা যেখানেই থাকোস্বীয় মুখ সেটার দিকে ফিরাও। আর ওই সব লোক, যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তারা নিশ্চয় জানেযে, এটা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং আল্লাহ্‌ তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনবগত নন।

وَلَئِنۡ أَتَيۡتَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ بِكُلِّ ءَايَةٖ مَّا تَبِعُواْ قِبۡلَتَكَۚ وَمَآ أَنتَ بِتَابِعٖ قِبۡلَتَهُمۡۚ وَمَا بَعۡضُهُم بِتَابِعٖ قِبۡلَةَ بَعۡضٖۚ وَلَئِنِ ٱتَّبَعۡتَ أَهۡوَآءَهُم مِّنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَكَ مِنَ ٱلۡعِلۡمِ إِنَّكَ إِذٗا لَّمِنَ ٱلظَّـٰلِمِينَ

এবং যদি আপনি সেই কিতাবীদের নিকট সমস্ত নির্দশন নিয়ে আসেন, (তবুও) তারা আপনার ক্বিবলার অনুসরণ করবেনা এবং না আপনি তাদের ক্বিবলার অনুসরণ করবেন- এবং তারা পরষ্পরের মধ্যেও একে অপরের ক্বিবলার অনুসারী নয়; এবং (ওহে শ্রোতা! যেই হওনা কেন) যদি তুমি তাদের খেয়াল-খুশির উপর চলো, এর পরে যে, তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর, তবে তখন তুমি অবশ্যই যালিম হবে।

ٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَعۡرِفُونَهُۥ كَمَا يَعۡرِفُونَ أَبۡنَآءَهُمۡۖ وَإِنَّ فَرِيقٗا مِّنۡهُمۡ لَيَكۡتُمُونَ ٱلۡحَقَّ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ

যাদেরকে কিতাব দান করেছি তারা এ নবীকে এমনিভাবে চিনে যেমন মানুষতার পুত্রদের চিনে এবং নিশ্চয়ই তাদের একটা দল জেনে বুঝে সত্য গোপন করে।

ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُمۡتَرِينَ

(হে শ্রোতা!) এটা সত্য তোমাদের রবের তরফ থেকে (অথবা সত্য হচ্ছে ওটাই, যা তোমার রবের নিকট থেকে আসে)। সুতরাং হুশিয়ার! তুমি সন্দেহ করো না।

وَلِكُلّٖ وِجۡهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَاۖ فَٱسۡتَبِقُواْ ٱلۡخَيۡرَٰتِۚ أَيۡنَ مَا تَكُونُواْ يَأۡتِ بِكُمُ ٱللَّهُ جَمِيعًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ

এবং প্রত্যেকের জন্য মুখ করার একটা দিক রয়েছে যেদিকে সে মুখ করে। সুতরাং এটা চাও যে, সৎ কার্যাবলীতে অন্যদের থেকে এগিয়ে চলে যাবে। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, আল্লাহ্‌ তোমাদের সবাইকে একত্রিত করে আনবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ যা চান, করেন।

وَمِنۡ حَيۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۖ وَإِنَّهُۥ لَلۡحَقُّ مِن رَّبِّكَۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ

এবং যেখান থেকে আসো আপন মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরাও এবং তা নিশ্চয়ই তোমার রবের পক্ষ থেকে সত্য। এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অনবগত নন।

وَمِنۡ حَيۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡهَكَ شَطۡرَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۚ وَحَيۡثُ مَا كُنتُمۡ فَوَلُّواْ وُجُوهَكُمۡ شَطۡرَهُۥ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَيۡكُمۡ حُجَّةٌ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنۡهُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِي وَلِأُتِمَّ نِعۡمَتِي عَلَيۡكُمۡ وَلَعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ

এবং হে মাহবুব! আপনি যেখান থেকেই আসুন না কেন আপনার মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরান। এবং হে মুসলমানগণ! তোমরা যেখানে থাকো না কেন, আপন মুখ সেটারই দিকে করো, যাতে তোমাদের বিরুদ্ধে লোকদের কোন বিতর্ক না থাকে; কিন্তু তাদের মধ্যে যারা অবিচার করে, তবে তাদেরকে ভয় করো না এবং আমাকেই ভয় করো। আর এটাএ জন্যই যে, আমি আমার অনুগ্রহ তোমাদের উপর পূর্ণ করবো এবং কোন প্রকারে তোমরা সঠিক পথের দিশা পাও।

Surah bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter