بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَلَا تَنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكَٰتِ حَتَّىٰ يُؤۡمِنَّۚ وَلَأَمَةٞ مُّؤۡمِنَةٌ خَيۡرٞ مِّن مُّشۡرِكَةٖ وَلَوۡ أَعۡجَبَتۡكُمۡۗ وَلَا تُنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤۡمِنُواْۚ وَلَعَبۡدٞ مُّؤۡمِنٌ خَيۡرٞ مِّن مُّشۡرِكٖ وَلَوۡ أَعۡجَبَكُمۡۗ أُوْلَـٰٓئِكَ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلنَّارِۖ وَٱللَّهُ يَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱلۡجَنَّةِ وَٱلۡمَغۡفِرَةِ بِإِذۡنِهِۦۖ وَيُبَيِّنُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ
আর অংশীবাদীনী নারীদেরকে বিবাহ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলমানহয়ে যায় এবং নিশ্চয় মুসলমান ক্রীতদাসী অংশীবাদীনী নারী অপেক্ষা উত্তম যদিও সে তোমাদেরকে চমৎকৃত করে এবং মুশরিকদের বিবাহে দিও না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান না আনে। আর নিশ্চয় মুসলমান ক্রীতদাস মুশরিক অপেক্ষা উত্তম যদিও সে তোমাদেরকে চমৎকৃত করে। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে এবং আল্লাহ্ জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন স্বীয় নির্দেশে; আর আপন নিদর্শনসমূহ লোকদের জন্য বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ মান্য করে।
وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلۡمَحِيضِۖ قُلۡ هُوَ أَذٗى فَٱعۡتَزِلُواْ ٱلنِّسَآءَ فِي ٱلۡمَحِيضِ وَلَا تَقۡرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطۡهُرۡنَۖ فَإِذَا تَطَهَّرۡنَ فَأۡتُوهُنَّ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَكُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلتَّوَّـٰبِينَ وَيُحِبُّ ٱلۡمُتَطَهِّرِينَ
এবং (হে হাবিব!) আপনাকে (লোকেরা) জিজ্ঞাসা করছে রজঃস্রাবের বিধান। আপনি বলুন, ‘সেটা অশুচিতা; সুতরাং (তোমরা) স্ত্রীদের নিকট থেকে পৃথক থাকো রজঃস্রাবের দিনগুলোতে এবং তাদের নিকটে যেওনা যতক্ষণ না পবিত্র হয়ে যায়। অতঃপর যখন পবিত্র হয়ে যায়, তখন তাদের নিকট যাও যেখান থেকে তোমাদেরকে আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ পছন্দ করেন অধিক তাওবাকারীদেরকে এবং পছন্দ করেন পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে।
نِسَآؤُكُمۡ حَرۡثٞ لَّكُمۡ فَأۡتُواْ حَرۡثَكُمۡ أَنَّىٰ شِئۡتُمۡۖ وَقَدِّمُواْ لِأَنفُسِكُمۡۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُۗ وَبَشِّرِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরুপ। অতএব, (তোমরা) এসো আপন আপন ক্ষেতসমূহে যেভাবে ইচ্ছা করো। এবং নিজেদের মঙ্গলের কাজ পূর্বাহ্নে করো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রেখো যে, তোমাদেরকে তাঁর সাথে মিলতে হবে। আর হে মাহবুব! সুসংবাদ দিন ঈমানদারদেরকে।
وَلَا تَجۡعَلُواْ ٱللَّهَ عُرۡضَةٗ لِّأَيۡمَٰنِكُمۡ أَن تَبَرُّواْ وَتَتَّقُواْ وَتُصۡلِحُواْ بَيۡنَ ٱلنَّاسِۚ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ
এবং আল্লাহ্কে তোমাদের শপথগুলোর (এ মর্মে) নিশানা (অজুহাত) বানিয়ে নিওনা যে, ‘সৎকর্ম, পরহেয্গারী এবং মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপন (না) করার শপথ করে নেবে। এবং আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
لَّا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغۡوِ فِيٓ أَيۡمَٰنِكُمۡ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا كَسَبَتۡ قُلُوبُكُمۡۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٞ
আল্লাহ্ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না সেসব শপথের মধ্যে, যা অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ থেকে বের হযে যায়। হাঁ, সেটারই উপর পাকড়াও করেন, যে কাজ তোমাদের অন্তরসমূহ করেছে; এবং আল্লাহ্ ক্ষমাপরায়ণ, সহনশীল।
لِّلَّذِينَ يُؤۡلُونَ مِن نِّسَآئِهِمۡ تَرَبُّصُ أَرۡبَعَةِ أَشۡهُرٖۖ فَإِن فَآءُو فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ
এএবং ওই সব লোক, যারা শপথ করে বসে আপন স্ত্রীদের নিকট যাবার (বেলায়), তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে। অতঃপর যদি সেই মেয়াদের মধ্যে ফিরে আসে, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
وَإِنۡ عَزَمُواْ ٱلطَّلَٰقَ فَإِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٞ
এবং যদি ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা পাকাপোক্ত করে নেয়, তবে আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা।
وَٱلۡمُطَلَّقَٰتُ يَتَرَبَّصۡنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَٰثَةَ قُرُوٓءٖۚ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَن يَكۡتُمۡنَ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ فِيٓ أَرۡحَامِهِنَّ إِن كُنَّ يُؤۡمِنَّ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ وَبُعُولَتُهُنَّ أَحَقُّ بِرَدِّهِنَّ فِي ذَٰلِكَ إِنۡ أَرَادُوٓاْ إِصۡلَٰحٗاۚ وَلَهُنَّ مِثۡلُ ٱلَّذِي عَلَيۡهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيۡهِنَّ دَرَجَةٞۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
এবং তালাক্বপ্রাপ্তারা আপন আত্মাগুলোকে সংযত করবে তিন রজঃস্রাবপর্যন্ত; আর তাদের জন্য হালাল নয় যে, তারা তা গোপন করবে যা আল্লাহ্ তাদের গর্ভাশয়ে সৃষ্টি করেছেন যদি আল্লাহ্ এবং ক্বিয়ামতের উপর ঈমান রেখে থাকে; এবং তাদের স্বামীদের উক্ত মেয়াদের মধ্যে তাদেরকে পুনঃগ্রহণ করার অধিকার থাকে যদি আপোষ-নিষ্পত্তি চায়। আর নারীদেরকেও হক তেমনিই রয়েছে যেমন রয়েছে তাদের উপর, শরীয়তানুযায়ী; এবং পুরুষদের তাদের (নারীগণ) উপর শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে; এবং আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
ٱلطَّلَٰقُ مَرَّتَانِۖ فَإِمۡسَاكُۢ بِمَعۡرُوفٍ أَوۡ تَسۡرِيحُۢ بِإِحۡسَٰنٖۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمۡ أَن تَأۡخُذُواْ مِمَّآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ شَيۡـًٔا إِلَّآ أَن يَخَافَآ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۖ فَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَا فِيمَا ٱفۡتَدَتۡ بِهِۦۗ تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَعۡتَدُوهَاۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ ٱللَّهِ فَأُوْلَـٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّـٰلِمُونَ
এ তালাক্ব দু’বার পর্যন্ত। অতঃপর উত্তম পন্থায় রেখে দেয়া অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেয়া। আর তোমাদের পক্ষে বৈধ নয় যে, যা কিছু স্ত্রীদেরকে দিয়েছো তা থেকে কিছু ফেরৎ নেবে, কিন্তু যখন উভয়ের আশংকা হয় যে, আল্লাহ্র সীমারেখাগুলোর কায়েম করবে না; অতঃপর যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, তারা উভয়ে ঠিকভাবে সে সীমারেখাগুলোর উপর থাকবে না, তবে তাদের উপর কোন গুনাহ নেই এর মধ্যে যে, কিছু বিনিময় দিয়ে স্ত্রী নিষ্কৃতি গ্রহণ করবে। এগুলো আল্লাহ্র সীমারেখা; এগুলো থেকে অগ্রে অগ্রসর হয়ো না এবং যারা আল্লাহ্র সীমারেখাগুলোর থেকে আগে বাড়ে, তবে ওই সবলোকই যালিম।
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُۥ مِنۢ بَعۡدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوۡجًا غَيۡرَهُۥۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَآ أَن يَتَرَاجَعَآ إِن ظَنَّآ أَن يُقِيمَا حُدُودَ ٱللَّهِۗ وَتِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوۡمٖ يَعۡلَمُونَ
অতঃপর যদি তাকে তৃতীয় তালাক্ব প্রদান করে, তবে তখন সেই স্ত্রী তার জন্য হালাল হবে না যতক্ষণ না অন্য স্বামীর নিকট থাকবে; অতঃপর অন্য স্বামী যদি তাকে তালাক্ব দিয়ে দেয়, তবে এতে তাদের উভয়ের উপর গুনাহ বর্তাবে না যে, তারা পরষ্পর পূর্নমিলিত হবে, যদি মনে করে যে, আল্লাহ্র সীমারেখাগুলো রক্ষা করতে সমর্থ হবে। আর এগুলো আল্লাহ্র সীমারেখা, যেগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞান সম্পন্নদের জন্য।