সূরা আল-বাকারাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [280-290] পর্যন্ত

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

وَٱتَّقُواْ يَوۡمٗا تُرۡجَعُونَ فِيهِ إِلَى ٱللَّهِۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفۡسٖ مَّا كَسَبَتۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ

এবং ভয় করো ওই দিনকে, যেদিন আল্লাহ্‌র দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করবে, আর প্রত্যেক আত্মাকে তার কর্মফল পুরোপুরি প্রদান করা হবে এবং তাদের উপর যুলুম করা হবে না।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيۡنٍ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗى فَٱكۡتُبُوهُۚ وَلۡيَكۡتُب بَّيۡنَكُمۡ كَاتِبُۢ بِٱلۡعَدۡلِۚ وَلَا يَأۡبَ كَاتِبٌ أَن يَكۡتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ ٱللَّهُۚ فَلۡيَكۡتُبۡ وَلۡيُمۡلِلِ ٱلَّذِي عَلَيۡهِ ٱلۡحَقُّ وَلۡيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥ وَلَا يَبۡخَسۡ مِنۡهُ شَيۡـٔٗاۚ فَإِن كَانَ ٱلَّذِي عَلَيۡهِ ٱلۡحَقُّ سَفِيهًا أَوۡ ضَعِيفًا أَوۡ لَا يَسۡتَطِيعُ أَن يُمِلَّ هُوَ فَلۡيُمۡلِلۡ وَلِيُّهُۥ بِٱلۡعَدۡلِۚ وَٱسۡتَشۡهِدُواْ شَهِيدَيۡنِ مِن رِّجَالِكُمۡۖ فَإِن لَّمۡ يَكُونَا رَجُلَيۡنِ فَرَجُلٞ وَٱمۡرَأَتَانِ مِمَّن تَرۡضَوۡنَ مِنَ ٱلشُّهَدَآءِ أَن تَضِلَّ إِحۡدَىٰهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحۡدَىٰهُمَا ٱلۡأُخۡرَىٰۚ وَلَا يَأۡبَ ٱلشُّهَدَآءُ إِذَا مَا دُعُواْۚ وَلَا تَسۡـَٔمُوٓاْ أَن تَكۡتُبُوهُ صَغِيرًا أَوۡ كَبِيرًا إِلَىٰٓ أَجَلِهِۦۚ ذَٰلِكُمۡ أَقۡسَطُ عِندَ ٱللَّهِ وَأَقۡوَمُ لِلشَّهَٰدَةِ وَأَدۡنَىٰٓ أَلَّا تَرۡتَابُوٓاْ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً حَاضِرَةٗ تُدِيرُونَهَا بَيۡنَكُمۡ فَلَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَلَّا تَكۡتُبُوهَاۗ وَأَشۡهِدُوٓاْ إِذَا تَبَايَعۡتُمۡۚ وَلَا يُضَآرَّ كَاتِبٞ وَلَا شَهِيدٞۚ وَإِن تَفۡعَلُواْ فَإِنَّهُۥ فُسُوقُۢ بِكُمۡۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ وَيُعَلِّمُكُمُ ٱللَّهُۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা একটা নির্দ্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত কোন ঋণের লেনদেন করো, তখন তা লিখে নাও এবং উচিত যেন তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ঠিক ঠিক লিখে আর লেখক যেন লিখতে অস্বীকার না করে যেমন তাকে আল্লাহ্‌ শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং তার সেটা লিখে দেয়া উচিত এবং যার উপর প্রাপ্য বর্তায় সে যেন লিখিয়ে যায় আর যেন আল্লাহ্‌কে ভয় করে, যিনি তার রব; এবং প্রাপ্য থেকে কিছু যেন না কমায়। অতঃপর যার উপর প্রাপ্য বর্তায় সে যদি নির্বোধ অথবা দূর্বল হয় কিংবা লিখতে না পারে, তবে তার অভিভাবক ন্যায্যভাবে লিখিয়ে দেবে এবং দু’জন সাক্ষী করে নাও নিজেদের পুরুষদের মধ্য হতে। অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ এবং দু’জন স্ত্রীলোক; এমন সাক্ষী যাদেরকে পছন্দ করো, যাতে স্ত্রীলোকদ্বয়ের মধ্যে একজন ভুলে গেলে সেই একজনকে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয় আর সাক্ষীদের যখন ডাকা হয় তখন আসতে যেন অস্বীকার না করে এবং এটাকে বিরক্তিবোধ মনে করো না যে, ঋণ ছোট হোক কিংবা বড়, সেটার মেয়াদ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করে নিতে। এটা আল্লাহ্‌র নিকট সঠিক ন্যায়ের কথা এর মধ্যে সাক্ষ্য খুব ঠিক থাকবে এবং এটা এ থেকে নিকটতর যে, তোমাদের সন্দেহের উদ্রেক হবে না; কিন্তু কোন নগদ ব্যবসা হাতে হাতে সম্পন্ন হলে তা না লিখার তোমাদের উপর গুনাহ্‌ নেই। আর যখন বেচাকেনা করো তখন সাক্ষী করে নাও, এবং না কোন লেখককে ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে, না সাক্ষীকে (কিংবা না লেখক ক্ষতিগ্রস্থ করবে, না সাক্ষী) এবং তোমরা যারা এমন করো, তবে তোমাদের পাপ হবে আর আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আর আল্লাহ্‌ সব কিছু জানেন।

۞وَإِن كُنتُمۡ عَلَىٰ سَفَرٖ وَلَمۡ تَجِدُواْ كَاتِبٗا فَرِهَٰنٞ مَّقۡبُوضَةٞۖ فَإِنۡ أَمِنَ بَعۡضُكُم بَعۡضٗا فَلۡيُؤَدِّ ٱلَّذِي ٱؤۡتُمِنَ أَمَٰنَتَهُۥ وَلۡيَتَّقِ ٱللَّهَ رَبَّهُۥۗ وَلَا تَكۡتُمُواْ ٱلشَّهَٰدَةَۚ وَمَن يَكۡتُمۡهَا فَإِنَّهُۥٓ ءَاثِمٞ قَلۡبُهُۥۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ

আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং লেখক না পাও, তবে বন্ধক থাকবে হাতে (অধিকারে) প্রদত্ত আর যদি তোমাদের মধ্যে একজনের উপর অপরের আস্থা থাকে, তবে যাকে সে আমানতদার মনে করেছিলো, সে যেন স্বীয় আমানত প্রর্ত্যার্পণ করে দেয় এবং (যেন) আল্লাহ্‌কে ভয় করে, যিনি তার রব। আর সাক্ষ্য গোপন করো না; এবং যে সাক্ষ্য গোপন করবে, তবে ভিতরের দিক থেকে তার অন্তর গুনাহ্‌গার; আর আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে জানেন।

لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ

আল্লাহ্‌রই, যা কিছু আস্‌মানসমূহে রয়েছে, এবং যা কিছু যমীনে। আর যদি তোমরা প্রকাশ করো যা কিছু তোমাদের অন্তরে রয়েছে কিংবা গোপন করো, আল্লাহ্‌ তোমাদের থেকে সেটার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। এবং আল্লাহ্‌ প্রত্যেক বস্তুর উপর শক্তিমান।

ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ

রসূল ঈমান এনেছেন সেটার উপর, যা তাঁর রবের নিকট থেকে তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং মু’মিনগণও। সবাই মেনে নিয়েছে আল্লাহ্‌, তাঁর ফিরিশ্‌তাগণ, তাঁর কিতাবসমুহ এবং তাঁর রসূলগণকে এ কথা বলে যে, ‘আমরা তাঁর কোন রসুলের উপর ঈমান আনার মধ্যে তারতম্য করি না’ আর আরয করেছে- ‘আমরা শুনেছি ও মান্য করেছি। তোমার ক্ষমা হোক!’ হে আমাদের রব এবং তোমারই দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করতে হবে।’

لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ

আল্লাহ্‌ কোন আত্মার উপর বোঝা অর্পন করেন না, কিন্তু তার সাধ্যপরিমাণ। তার জন্য কল্যাণ-যেই পুণ্য সে উপার্জন করেছে, আর তার জন্য ক্ষতি- যেই মন্দ সে উপার্জন করেছে। হে আমাদের রব! আমাদেরকে পাকড়াও করো না যদি আমরা বিস্মৃত হই কিংবা ভুল করি। হে আমাদের রব! এবং উপর ভারী বোঝা রেখোনা, যেমন তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর রেখেছিলে। হে আমাদের রব! এবং আমাদের উপর ঐ বোঝা অর্পণ করো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই; আর আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং আমাদের উপর দয়া করো। তুমি আমাদের মুনিব। সুতরাং কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো।

Surah bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter