بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَإِذۡ قُلۡتُمۡ يَٰمُوسَىٰ لَن نَّصۡبِرَ عَلَىٰ طَعَامٖ وَٰحِدٖ فَٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُخۡرِجۡ لَنَا مِمَّا تُنۢبِتُ ٱلۡأَرۡضُ مِنۢ بَقۡلِهَا وَقِثَّآئِهَا وَفُومِهَا وَعَدَسِهَا وَبَصَلِهَاۖ قَالَ أَتَسۡتَبۡدِلُونَ ٱلَّذِي هُوَ أَدۡنَىٰ بِٱلَّذِي هُوَ خَيۡرٌۚ ٱهۡبِطُواْ مِصۡرٗا فَإِنَّ لَكُم مَّا سَأَلۡتُمۡۗ وَضُرِبَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلذِّلَّةُ وَٱلۡمَسۡكَنَةُ وَبَآءُو بِغَضَبٖ مِّنَ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَانُواْ يَكۡفُرُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَيَقۡتُلُونَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعۡتَدُونَ
এবং যখন তোমরা বলেছো, ‘হে মুসা! একই খাদ্যের উপর তো আমাদের কখনো ধৈর্য হবে না। সুতরাং আপনি স্বীয় রবের নিকট দো’আ করুন যেন (তিনি) জমির উৎপন্ন দ্রব্য আমাদের জন্য উৎপাদন করেন- কিছু শাক-সব্জী, কাকুড়, গম, মসুর এবং পেঁয়াজ।’ এরশাদ ফরমালেন, ‘(তোমরা) কি নিকৃষ্টতর বস্তুকে উৎকৃষ্টতর বস্তুর পরিবর্তে চাচ্ছো? আচ্ছা! মিশর অথবা কোন এক শহরে অবতরণ করো! সেখানে তোমরা পাবে যা তোমরা চেয়েছো।’ এবং তাদের উপর অবধারিত করে দেয়া হলো লাঞ্ছনা ও দারিদ্র এবং (তারা) আল্লাহ্র ক্রোধের প্রতি ধাবিত হলো। এটা পরিণতি ছিলো এ কথারই যে, তারা আল্লাহ্র আয়াতগুলোকে অস্বীকার করতো এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে শহীদ করতো; এটা পরিণতি ছিলো তাদের অবাধ্যতাগুলো ও সীমালংঘনের।
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلنَّصَٰرَىٰ وَٱلصَّـٰبِـِٔينَ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَلَهُمۡ أَجۡرُهُمۡ عِندَ رَبِّهِمۡ وَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ
নিশ্চয় ঈমানদারগণ, অনুরুপভাবে ইহুদী, খৃষ্টান ও তারকা-পূজারীদের মধ্যে যারা সত্য অন্তরে আল্লাহ্ ও শেষ দিনের উপর ঈমান এনেছে আর সৎ কাজ করে, তাদের প্রতিদান তাদের রবের নিকট রয়েছে এবং তাদের জন্য না কোন ভয়-ভীতি আছে, না কোন প্রকার দুঃখ।
وَإِذۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَكُمۡ وَرَفَعۡنَا فَوۡقَكُمُ ٱلطُّورَ خُذُواْ مَآ ءَاتَيۡنَٰكُم بِقُوَّةٖ وَٱذۡكُرُواْ مَا فِيهِ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُونَ
এবং যখন আমি তোমাদের থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছি এবং তোমাদের উপর ‘তূর’(পাহাড়) তুলে ধরেছি; ‘গ্রহণ করে নাও যা কিছু আমি তোমাদেরকে প্রদান করেছি, শক্তভাবে এবং এর সারমর্মগুলো স্মরণ করো, এ আশায় যে, তোমাদের পরহেযগারী (খোদাভীতি) অর্জিত হবে।’
ثُمَّ تَوَلَّيۡتُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَۖ فَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ لَكُنتُم مِّنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ
অতঃপর, এর পরে তোমরা ফিরে গেছো। তারপর যদি আল্লাহ্র কৃপা এবং তাঁর রহমত তোমাদের উপর না হতো, তবে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেত।
وَلَقَدۡ عَلِمۡتُمُ ٱلَّذِينَ ٱعۡتَدَوۡاْ مِنكُمۡ فِي ٱلسَّبۡتِ فَقُلۡنَا لَهُمۡ كُونُواْ قِرَدَةً خَٰسِـِٔينَ
এবং নিশ্চয় নিশ্চয় তোমাদের জানা আছে- তোমাদের মধ্যকার ওই সব লোক সম্পর্কে, যারা শনিবারে সীমা লংঘন করেছে। অতঃপর আমি তাদের উদ্দেশ্যে বললাম,‘(তোমরা) হয়ে যাও ধিকৃত বানর!’
فَجَعَلۡنَٰهَا نَكَٰلٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهَا وَمَا خَلۡفَهَا وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ
অতঃপর আমি (ঐ বস্তির) এ ঘটনাকে এর পূর্ব ও পরবর্তীদের জন্য (শিক্ষণীয়) দৃষ্টান্ত করেছি এবং পরহেযগারদের জন্য উপদেশ।
وَإِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوۡمِهِۦٓ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُكُمۡ أَن تَذۡبَحُواْ بَقَرَةٗۖ قَالُوٓاْ أَتَتَّخِذُنَا هُزُوٗاۖ قَالَ أَعُوذُ بِٱللَّهِ أَنۡ أَكُونَ مِنَ ٱلۡجَٰهِلِينَ
এবং যখন মুসা আপন সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, ‘খোদা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন- তোমরা একটা গরু যবেহ করো।’ বললো, ‘আপনি কি আমাদেরকে ঠাট্টার পাত্র বানাচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ্র শরণ (এ থেকে) যে, আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভূক্ত হই!’
قَالُواْ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ لَّا فَارِضٞ وَلَا بِكۡرٌ عَوَانُۢ بَيۡنَ ذَٰلِكَۖ فَٱفۡعَلُواْ مَا تُؤۡمَرُونَ
(তারা) বললো, ‘আপন রবের নিকট প্রার্থনা করুন যেন তিনি আমাদেরকে বলে দেন- গরুটা কেমন!’ তিনি (হযরত মুসা) বললেন, তিনি (আল্লাহ্) এরশাদ করেছেন- সেটা এমন এক গাভী, যা না বৃদ্ধ, না অল্প বয়স্কা; বরং উভয়ের মাঝামাঝি (বয়সের)। সুতরাং পালন করো, তোমাদের প্রতি যা করার নির্দেশ হচ্ছে।’
قَالُواْ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَوۡنُهَاۚ قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ صَفۡرَآءُ فَاقِعٞ لَّوۡنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّـٰظِرِينَ
(তারা) বললো, ‘আপনি আপনরবের নিকট প্রার্থনা করুন যেন (তিনি) আমাদেরকে বলে দেন- এর রং কিরুপ হবে।’ (হযরত মুসা) বললেন, ‘তিনি (আল্লাহ্ পাক) এরশাদ করেছেন- তা একটা হলুদ বর্ণের গাভী, যার রং হবে গাঢ় উজ্জ্বল (চমকিত), (যা) দর্শকদেরকে আনন্দ দেয়।’
قَالُواْ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا هِيَ إِنَّ ٱلۡبَقَرَ تَشَٰبَهَ عَلَيۡنَا وَإِنَّآ إِن شَآءَ ٱللَّهُ لَمُهۡتَدُونَ
(তারা) বললো, ‘আপন রবের নিকট প্রার্থনা করুন যেন তিনি আমাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সেই গাভীটা কেমন! নিশ্চয় গাভীগুলো সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ হয়ে গেছে এবং আল্লাহ্ যদি চান, তবে আমরা দিশা পেয়ে যাবো।’