সূরা আল-বাকারাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [70-80] পর্যন্ত

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

قَالَ إِنَّهُۥ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٞ لَّا ذَلُولٞ تُثِيرُ ٱلۡأَرۡضَ وَلَا تَسۡقِي ٱلۡحَرۡثَ مُسَلَّمَةٞ لَّا شِيَةَ فِيهَاۚ قَالُواْ ٱلۡـَٰٔنَ جِئۡتَ بِٱلۡحَقِّۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُواْ يَفۡعَلُونَ

(হযরত মুসা) বললেন, ‘তিনি (আল্লাহ্‌) এরশাদ করেছেন, তা এমন একটা গাভী, যা দ্বারা কোন খিদমত নেয়া হয় না, না সেটা জমি কর্ষণ করে, না ক্ষেতে পানি সেচন করে, নিখুঁত- যাতে কোন প্রকার দাগ নেই।’ (তারা) বললো, ‘এখনই আপনি সঠিক বর্ণনা এনেছেন।’ অতঃপর তারা তা যবেহ করেছিলো এবং তারা যে যবেহ করবে তা বুঝা যাচ্ছিলো না।

وَإِذۡ قَتَلۡتُمۡ نَفۡسٗا فَٱدَّـٰرَٰٔتُمۡ فِيهَاۖ وَٱللَّهُ مُخۡرِجٞ مَّا كُنتُمۡ تَكۡتُمُونَ

এবং যখন তোমরা একটা খুন সংঘটিত করেছো, তখন একে অন্যের প্রতি এর অপবাদ চাপিয়ে দিচ্ছিলে এবং আল্লাহ্‌র প্রকাশ করে দেয়ার ছিলো যা তোমরা গোপন করছিলে।

فَقُلۡنَا ٱضۡرِبُوهُ بِبَعۡضِهَاۚ كَذَٰلِكَ يُحۡيِ ٱللَّهُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَيُرِيكُمۡ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ

অতঃপর আমি বললাম, ‘এ নিহত ব্যক্তির গায়ে ওই গাভীর একটা টুকরো নিক্ষেপ করো।’ আল্লাহ্‌ এভাবেই মৃতকে জীবিত করবেন এবং তোমাদেরকে আপন (কুদরতের) নিদর্শনসমূহ দেখাচ্ছেন, যাতে তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।

ثُمَّ قَسَتۡ قُلُوبُكُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَٱلۡحِجَارَةِ أَوۡ أَشَدُّ قَسۡوَةٗۚ وَإِنَّ مِنَ ٱلۡحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنۡهُ ٱلۡأَنۡهَٰرُۚ وَإِنَّ مِنۡهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخۡرُجُ مِنۡهُ ٱلۡمَآءُۚ وَإِنَّ مِنۡهَا لَمَا يَهۡبِطُ مِنۡ خَشۡيَةِ ٱللَّهِۗ وَمَا ٱللَّهُ بِغَٰفِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُونَ

অতঃপর, এরপর তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেলো। তখন তা পাথরগুলোর ন্যায় হয়; বরং তদপেক্ষাও কঠিনতর এবং পাথরগুলোর মধ্যে তো কিছু এমনও আছে, যেগুলো থেকে নদীসমূহ প্রবাহিত হয় এবং কতেক এমনও রয়েছে, যেগুলো ফেটে যায়- তখন সেগুলো থেকে পানি নির্গত হয়; এবং কতেক এমনও আছে, যেগুলো আল্লাহ্‌র ভয়ে গড়িয়ে পড়ে। এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কৃতকর্মগুলো সম্পর্কে অনবগত নন।

۞أَفَتَطۡمَعُونَ أَن يُؤۡمِنُواْ لَكُمۡ وَقَدۡ كَانَ فَرِيقٞ مِّنۡهُمۡ يَسۡمَعُونَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُۥ مِنۢ بَعۡدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ

অতঃপর, হে মুসলমানগণ! তোমরা কি এ আশা পোষণ করো যে, এ ইহুদীগণ তোমাদেরকে বিশ্বাস করবে? আর তাদের মধ্যকার একদল এমনই ছিলো যে, তারা আল্লাহ্‌র কালাম (বাণী) শুনতো অতঃপর বুঝার পর সেটাকে জেনেশুনে বিকৃত করতো।

وَإِذَا لَقُواْ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قَالُوٓاْ ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَا بَعۡضُهُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ قَالُوٓاْ أَتُحَدِّثُونَهُم بِمَا فَتَحَ ٱللَّهُ عَلَيۡكُمۡ لِيُحَآجُّوكُم بِهِۦ عِندَ رَبِّكُمۡۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ

এবং যখন মুসলমানদের সাথে মিলতো তখন বলতো,‘আমরা ঈমান এনেছি।’আর যখন পরষ্পর আলাদাভাবে মিলিত হয় তখন বলে,‘ওই জ্ঞান, যা আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর খুলে দিয়েছেন তা কি মুসলমানদেরকে বলে দিচ্ছো? এতে করে তারা তোমাদের রবের দরবারে তোমাদের বিরুদ্ধে দলিল পেশ করবে। তোমাদের কি বুঝ-শক্তি নেই?’

أَوَلَا يَعۡلَمُونَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعۡلِنُونَ

তারা কি জানে না যে, আল্লাহ্‌ জানেন যা কিছু তারা গোপন করে এবং যা কিছু তারা প্রকাশ করে?

وَمِنۡهُمۡ أُمِّيُّونَ لَا يَعۡلَمُونَ ٱلۡكِتَٰبَ إِلَّآ أَمَانِيَّ وَإِنۡ هُمۡ إِلَّا يَظُنُّونَ

এবং তাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক রয়েছে, যারা কিতাব সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, কিন্তু মৌখিকভাবে পড়তে জানে মাত্র কিংবা নিজেদের কিছু মনগড়া কথাবার্তা; আর তারা নিরেট কল্পনার মধ্যে রয়েছে।

فَوَيۡلٞ لِّلَّذِينَ يَكۡتُبُونَ ٱلۡكِتَٰبَ بِأَيۡدِيهِمۡ ثُمَّ يَقُولُونَ هَٰذَا مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشۡتَرُواْ بِهِۦ ثَمَنٗا قَلِيلٗاۖ فَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا يَكۡسِبُونَ

সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্যই যারা কিতাব নিজেদের হাতে রচনা করে, অতঃপর বলে বেড়ায়, ‘এটা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে;’এ উদ্দেশ্যেই যে, এর পরিবর্তে তারা স্বল্প মূল্যই অর্জন করবে। সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্যই, তাদের আপন হাতে (কিতাব) রচনার কারণে। আর দুর্ভোগ তাদের জন্যই, তাদের এ (অবৈধ) উপার্জনের দরুন।

وَقَالُواْ لَن تَمَسَّنَا ٱلنَّارُ إِلَّآ أَيَّامٗا مَّعۡدُودَةٗۚ قُلۡ أَتَّخَذۡتُمۡ عِندَ ٱللَّهِ عَهۡدٗا فَلَن يُخۡلِفَ ٱللَّهُ عَهۡدَهُۥٓۖ أَمۡ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ

এবং তারা (ইহুদীগণ) বললো, ‘আমাদেরকে তো আগুন স্পর্শ করবে না, কিস্তু মাত্র দিন কতেক।’ (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্‌র নিকট থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়ে রেখেছো? তবে তো আল্লাহ্‌ তা’আলা আপন অঙ্গীকার কখনো ভঙ্গ করবেন না, কিংবা আল্লাহ্‌ সম্পর্কে এমন কিছূ উক্তি করেছো যা সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান নেই!’

Surah bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter