সূরা আল-মায়িদাহ - বাংলা অনুবাদ, লিপ্যন্তরণ, তাফসীর - আয়াত [1-10] পর্যন্ত

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَوۡفُواْ بِٱلۡعُقُودِۚ أُحِلَّتۡ لَكُم بَهِيمَةُ ٱلۡأَنۡعَٰمِ إِلَّا مَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ غَيۡرَ مُحِلِّي ٱلصَّيۡدِ وَأَنتُمۡ حُرُمٌۗ إِنَّ ٱللَّهَ يَحۡكُمُ مَا يُرِيدُ

হে ঈমানদারগণ! স্বীয় অঙ্গীকার পূরণ করো। তোমাদের জন্য হালাল হলো বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ জন্তু, কিন্তু (হালাল নয়) ওই সব (জন্তু), যেগুলোর কথা সামনে তোমাদেরকে শুনানো হবে, তবে শিকার হালাল মনে করো না যখন তোমরা ইহরামের মধ্যে থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ আদেশ করেন যা চান।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُحِلُّواْ شَعَـٰٓئِرَ ٱللَّهِ وَلَا ٱلشَّهۡرَ ٱلۡحَرَامَ وَلَا ٱلۡهَدۡيَ وَلَا ٱلۡقَلَـٰٓئِدَ وَلَآ ءَآمِّينَ ٱلۡبَيۡتَ ٱلۡحَرَامَ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّهِمۡ وَرِضۡوَٰنٗاۚ وَإِذَا حَلَلۡتُمۡ فَٱصۡطَادُواْۚ وَلَا يَجۡرِمَنَّكُمۡ شَنَـَٔانُ قَوۡمٍ أَن صَدُّوكُمۡ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ أَن تَعۡتَدُواْۘ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ

হে ঈমানদারগণ! হালাল সাব্যস্ত করো না আল্লাহ্‌র নিদর্শনগুলোকে, না সম্মানিত মাসকে, না হেরমের প্রতি প্রেরিত ক্বোরবানীর পশুকে, না এমন সব পশুকেও, যেগুলোর গলায় চিহ্নসমূহ ঝুলানো হয়েছে এবং না সে সব লোকের সম্পদ ও মান-ইজ্জতকে, যারা সম্মানিত ঘরের উদ্দেশ্যে এসেছে, স্বীয় রবের দয়া ও তার সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়। আর যখন তোমরা ইহ্‌রাম মুক্ত হবে তখন শিকার করতে পারো। আর তোমাদেরকে কোন গোত্রের এ শত্রুতা যে, ‘তোমাদেরকে তারা মসজিদে হারামে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছিলো’ যেন সীমালংঘনে প্ররোচিত না করে এবং সৎ ও খোদাভীরুতার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করো আর পাপ ও সীমালংঘণ একে অন্যের সাহায্য করো না এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো নিশ্চয় আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠোর।

حُرِّمَتۡ عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَيۡتَةُ وَٱلدَّمُ وَلَحۡمُ ٱلۡخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِۦ وَٱلۡمُنۡخَنِقَةُ وَٱلۡمَوۡقُوذَةُ وَٱلۡمُتَرَدِّيَةُ وَٱلنَّطِيحَةُ وَمَآ أَكَلَ ٱلسَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيۡتُمۡ وَمَا ذُبِحَ عَلَى ٱلنُّصُبِ وَأَن تَسۡتَقۡسِمُواْ بِٱلۡأَزۡلَٰمِۚ ذَٰلِكُمۡ فِسۡقٌۗ ٱلۡيَوۡمَ يَئِسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن دِينِكُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِۚ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ فِي مَخۡمَصَةٍ غَيۡرَ مُتَجَانِفٖ لِّإِثۡمٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে মড়া, রক্ত, শূকরের মাংস, ওই পশু যা যবেহ করার সময় আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কারো নাম উচ্চারন করা হয়েছে, ওই জন্তু যা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা পড়েছে, ওই পশু যাকে ধারাল নয় এমন বস্তু দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, যা উপর থেকে পড়ে মারা গেছে, যে পশুকে অন্য পশু শিং দ্বারা আঘাত করে হত্যা করেছে, যেটাকে অন্য কোন হিংস্র পশু খেয়ে ফেলেছে, তবে যেগুলোকে তোমরা যবেহ্‌ করে নিয়েছো তা’ ব্যতীত, যা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ নির্ণয় করা। এটা পাপ কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দ্বীন থেকে হতাশ হয়ে গেছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করো না এবং আমাকেই ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন মনোনীত করলাম। সুতরাং যে ব্যক্তি ক্ষুধা পিপাসার তীব্রতায় বাধ্য হয়, এভাবে যে, পাপের দিকে ধাবিত হয় না, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

يَسۡـَٔلُونَكَ مَاذَآ أُحِلَّ لَهُمۡۖ قُلۡ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُ وَمَا عَلَّمۡتُم مِّنَ ٱلۡجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ ٱللَّهُۖ فَكُلُواْ مِمَّآ أَمۡسَكۡنَ عَلَيۡكُمۡ وَٱذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ عَلَيۡهِۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ

হে মাহ্‌বূব! আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে যে, তাদের জন্য কী হালাল করা হয়েছে। আপনি বলে দিন, ‘তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে পবিত্র বস্তুসমূহ; এবং যে শিকারী জন্তুকে তোমরা শিকার শিক্ষা দিয়েছো সেগুলোকে শিকারের দিকে ধাবিত করে, যে জ্ঞান তোমাদেরকে আল্লাহ্‌ শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে সেগুলোকে শিক্ষা দিয়ে। সুতরাং তোমরা আহার করো তা থেকেই যা সেগুলো মেরে তোমাদের জন্য রেখে দেয়, এবং সেটার উপর আল্লাহ্‌র নাম নাও আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয় হিসাব করতে আল্লাহ্‌র বেশি সময় লাগে না।

ٱلۡيَوۡمَ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۖ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حِلّٞ لَّكُمۡ وَطَعَامُكُمۡ حِلّٞ لَّهُمۡۖ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ إِذَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِيٓ أَخۡدَانٖۗ وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُهُۥ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ

আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হলো এবং কিতাবীদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল। আর তোমাদের খাদ্যদ্রব্য তাদের জন্য বৈধ। এবং চরিত্রবতী মুসলিম নারীগণ আর চরিত্রবতী নারীগণ তাদেরই থেকে, যাদেরকে তোমাদের পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছে-যখন তোমরা তাদেরকে তাদের মহর প্রদান করবে, বিবাহ বন্ধনে আনার জন্য, ব্যভিচারের জন্য নয় এবং উপপত্নী বানানোর জন্যও নয়। আর যে মুসলমান কাফির হয় তার কী রইলো? সব বিনষ্ট হয়ে গেলো এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِۚ وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ وَإِن كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا فَٱمۡسَحُواْ بِوُجُوهِكُمۡ وَأَيۡدِيكُم مِّنۡهُۚ مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمۡ وَلِيُتِمَّ نِعۡمَتَهُۥ عَلَيۡكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ

হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন নিজ মুখমণ্ডল ধৌত করো এবং কনুই পর্যন্ত হাতও; আর মাথা মসেহ করো; এবং পায়ের গিঁঠ ধৌত করো। আর যদি তোমাদের গোসল করার প্রয়োজন হয়, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হও; এবং তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের থেকে কেউ পায়খানা-প্রস্রাবের স্থান থেকে আগমন করে অথবা তোমরা স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করো এবং এ সমস্ত অবস্থায় পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা ‘তায়াম্মুম’ করো। তখন আপন মুখ ও হাতগুলো তা’দ্বারা মসেহ করো। আল্লাহ্‌ চান না যে, তোমাদের কোন কষ্ট হোক; হাঁ, এটাই চান যে, তোমাদেরকে অতিমাত্রায় পবিত্র করবেন এবং স্বীয় অনুগ্রহ তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করে দেবেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।

وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَمِيثَٰقَهُ ٱلَّذِي وَاثَقَكُم بِهِۦٓ إِذۡ قُلۡتُمۡ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ

এবং স্মরণ করো আল্লাহ্‌র অনুগ্রহকে তোমাদের উপর এবং ওই অঙ্গীকারকে, যা তিনি তোমাদের নিকট থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি;’ আর আল্লাহ্‌কে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ অন্তরসমূহের কথা জানেন।

يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّـٰمِينَ لِلَّهِ شُهَدَآءَ بِٱلۡقِسۡطِۖ وَلَا يَجۡرِمَنَّكُمۡ شَنَـَٔانُ قَوۡمٍ عَلَىٰٓ أَلَّا تَعۡدِلُواْۚ ٱعۡدِلُواْ هُوَ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আদেশের উপর খুব অটল হয়ে যাও ন্যায় সহকারে সাক্ষ্য দিতে, তোমাদেরকে কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতা যেন এর প্রতি প্ররোচিত না করে যে, সুবিচার করবে না। সুবিচার করো। তা আত্নসংযমের অতি নিকটতর এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো! বস্তুতঃ আল্লাহ্‌ তোমাদের কৃতকর্মের খবর রাখেন।

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّـٰلِحَٰتِ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَأَجۡرٌ عَظِيمٞ

ঈমানদার-সৎকর্মপরায়ণদেরকে আল্লাহ্‌ এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপুরস্কার রয়েছে।

وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَآ أُوْلَـٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَحِيمِ

আর যারা কুফর করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তারা দোযখের অধিবাসী।

Surah bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter