بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَإِذۡ أَوۡحَيۡتُ إِلَى ٱلۡحَوَارِيِّـۧنَ أَنۡ ءَامِنُواْ بِي وَبِرَسُولِي قَالُوٓاْ ءَامَنَّا وَٱشۡهَدۡ بِأَنَّنَا مُسۡلِمُونَ
এবং যখন আমি হাওয়ারীদের অন্তরে এ প্রেরণা সৃষ্টি করেছিলাম আমার উপর এবং আমার রসূলের উপর ঈমান আনো! (তখন তারা) বললো, ‘আমরা ঈমান এনেছি এবং সাক্ষী থাকো যে, আমরা মুসলমান’।
إِذۡ قَالَ ٱلۡحَوَارِيُّونَ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ هَلۡ يَسۡتَطِيعُ رَبُّكَ أَن يُنَزِّلَ عَلَيۡنَا مَآئِدَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِۖ قَالَ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ
যখন হাওয়ারীগণ বললো, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! আপনার রব কি এমন করবেন আমাদের প্রতি আকাশ থেকে একটা ‘খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা অবতারণ করবেন?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো, যদি ঈমান রাখো।’
قَالُواْ نُرِيدُ أَن نَّأۡكُلَ مِنۡهَا وَتَطۡمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعۡلَمَ أَن قَدۡ صَدَقۡتَنَا وَنَكُونَ عَلَيۡهَا مِنَ ٱلشَّـٰهِدِينَ
(তারা) বললো, ‘আমরা চাই যে, তা থেকে আহার করবো এবং আমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে আর আমরা সচক্ষে দেখে নেবো যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন এবং আমরা সেটার উপর সাক্ষী হয়ে যাবে’।
قَالَ عِيسَى ٱبۡنُ مَرۡيَمَ ٱللَّهُمَّ رَبَّنَآ أَنزِلۡ عَلَيۡنَا مَآئِدَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ تَكُونُ لَنَا عِيدٗا لِّأَوَّلِنَا وَءَاخِرِنَا وَءَايَةٗ مِّنكَۖ وَٱرۡزُقۡنَا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّـٰزِقِينَ
মরিয়ম তনয় ঈসা আরয করলেন, ‘হে আল্লাহ্, হে রব! আমাদের উপর আকাশ থেকে একটা ‘খাদ্য-ভর্তি খাঞ্চা’ অবতারণ করুন, যা আমাদের জন্য ঈদ (আনন্দ-উৎসব) হবে আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য এবং আপনার নিকট থেকে নিদর্শন; এবং আমাদেরকে রিয্ক্ব দান করুন, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিকদাতা।’
قَالَ ٱللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيۡكُمۡۖ فَمَن يَكۡفُرۡ بَعۡدُ مِنكُمۡ فَإِنِّيٓ أُعَذِّبُهُۥ عَذَابٗا لَّآ أُعَذِّبُهُۥٓ أَحَدٗا مِّنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ
আল্লাহ্ বললেন, ‘আমি তোমাদের প্রতি সেটা অবতারণ করবো। অতঃপর এখন তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ কুফর করবে তখন আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো যা সমগ্র বিশ্বের মধ্যে কাউকেও দেবোনা।’
وَإِذۡ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ءَأَنتَ قُلۡتَ لِلنَّاسِ ٱتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَٰهَيۡنِ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ قَالَ سُبۡحَٰنَكَ مَا يَكُونُ لِيٓ أَنۡ أَقُولَ مَا لَيۡسَ لِي بِحَقٍّۚ إِن كُنتُ قُلۡتُهُۥ فَقَدۡ عَلِمۡتَهُۥۚ تَعۡلَمُ مَا فِي نَفۡسِي وَلَآ أَعۡلَمُ مَا فِي نَفۡسِكَۚ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّـٰمُ ٱلۡغُيُوبِ
এবং যখন আল্লাহ্ বলবেন, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! তুমি কি জনগণকে বলেছিলে- তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত আমাকে ও আমার জননীকে দু’খোদারূপে গ্রহণ করো?’ তখন তিনি আরয করবেন, ‘পবিত্রতা আপনারই। আমার জন্য শোভা পায় না যে, ঐ কথা বলবো, যা বলার অধিকার আমার নেই, যদি আমি এমন বলতাম, তবে তা অবশ্যই আপনার জানা থাক্তো।আপনি জানেন যা আমার অন্তরে রয়েছে এবং আমি জানি না যা আপনার জ্ঞানে রয়েছে। নিঃসন্দেহে আপনিই সমস্ত অদৃশ্য সম্বন্ধে খুব জ্ঞাত।
مَا قُلۡتُ لَهُمۡ إِلَّا مَآ أَمَرۡتَنِي بِهِۦٓ أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمۡۚ وَكُنتُ عَلَيۡهِمۡ شَهِيدٗا مَّا دُمۡتُ فِيهِمۡۖ فَلَمَّا تَوَفَّيۡتَنِي كُنتَ أَنتَ ٱلرَّقِيبَ عَلَيۡهِمۡۚ وَأَنتَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٌ
আমি তো তাদেরকে বলিনি, কিন্তু তা-ই যা বলার আপনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তা হচ্ছে-‘তোমরা আল্লাহ্রই ইবাদত করো, যিনি আমারও রব এবং তোমাদেরও রব আর আমি তাদের সম্বন্ধে অবগত ছিলাম যতদিন যাবৎ আমি তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিয়েছেন তখন আপনিই তো তাদের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন; এবং প্রতিটি বস্তু আপনার সামনে উপস্থিত।
إِن تُعَذِّبۡهُمۡ فَإِنَّهُمۡ عِبَادُكَۖ وَإِن تَغۡفِرۡ لَهُمۡ فَإِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ
যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা আপনারই বান্দা এবং যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন, তবে নিঃসন্দেহে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।
قَالَ ٱللَّهُ هَٰذَا يَوۡمُ يَنفَعُ ٱلصَّـٰدِقِينَ صِدۡقُهُمۡۚ لَهُمۡ جَنَّـٰتٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ
আল্লাহ্ এরশাদ করেছেন, ‘এটা হচ্ছে ঐ দিন, যার মধ্যে সত্যবাদীদের সততা তাদের কাজে আসবে। তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যেগুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবহমান। তারা সদা সর্বদা সেগুলোর মধ্যে থাকবে। আল্লাহ্ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহ্র উপর সন্তুষ্ট। এটা হচ্ছে বড় সাফল্য।
لِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا فِيهِنَّۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرُۢ
আল্লাহ্রই জন্য আসমান সমূহ ও যমীন এবং যা কিছু এগুলোর মধ্যে রয়েছে সবকিছুর রাজত্ব এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।