بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
سَتَجِدُونَ ءَاخَرِينَ يُرِيدُونَ أَن يَأۡمَنُوكُمۡ وَيَأۡمَنُواْ قَوۡمَهُمۡ كُلَّ مَا رُدُّوٓاْ إِلَى ٱلۡفِتۡنَةِ أُرۡكِسُواْ فِيهَاۚ فَإِن لَّمۡ يَعۡتَزِلُوكُمۡ وَيُلۡقُوٓاْ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَمَ وَيَكُفُّوٓاْ أَيۡدِيَهُمۡ فَخُذُوهُمۡ وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ ثَقِفۡتُمُوهُمۡۚ وَأُوْلَـٰٓئِكُمۡ جَعَلۡنَا لَكُمۡ عَلَيۡهِمۡ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينٗا
এখন তোমরা আরো এমন কিছু লোক পাবে, যারা এটা চায় যে, তোমাদের নিকট থেকেও নিরাপদে থাকবে এবং নিজেদের সম্প্রদায়ের নিকট থেকেও নিরাপদে থাকবে। যখনই তাদের সম্প্রদায় তাদেরকে ফ্যাসাদ এর দিকে ফেরায় তখন তারা সেটার উপর কুঁজো হয়ে পতিত হয়; অতঃপর যদি তারা তোমাদের নিকট থেকে চলে না যায় এবং সন্ধির গর্দান অবনত না করে ও আপন হাত সংবরণ না করে, তবে তাদেরকে গ্রেফতার করো এবং যেখানে পাও হত্যা করো। আর এরাই হচ্ছে তারা, যাদের বিরুদ্ধে আমি তোমাদেরকে সুস্পষ্ট ইখ্তিয়ার দিয়েছি।
وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٍ أَن يَقۡتُلَ مُؤۡمِنًا إِلَّا خَطَـٔٗاۚ وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَـٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ فَإِن كَانَ مِن قَوۡمٍ عَدُوّٖ لَّكُمۡ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖۖ وَإِن كَانَ مِن قَوۡمِۭ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُم مِّيثَٰقٞ فَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ وَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖۖ فَمَن لَّمۡ يَجِدۡ فَصِيَامُ شَهۡرَيۡنِ مُتَتَابِعَيۡنِ تَوۡبَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا
এবং মুসলমানের জন্য এটা শোভা পায় না যে, মুসলমানদেরকে হত্যা করবে; কিন্তু হাত লক্ষ্যচ্যুত হলে (তা’স্বতন্ত্র); এবং যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে না জেনে হত্যা করে, তবে তার উপর একটা মুসলিম ক্রীতদাস আযাদ করা (অপরিহার্য) এবং রক্তপণ, যা নিহতের লোকজনকে অর্পণ করা হবে, যদি না তারা ক্ষমা করে দেয়; অতঃপর যদি সে ঐ সম্প্রদায় থেকে হয়, যারা তোমাদের শত্রু এবং নিজে হয় মুসলমান, তবে একজন মুসলিম ক্রীতদাস আযাদ করা (অপরিহার্য) এবং যদি সে এমন সম্প্রদায়ভূক্ত হয় যে, তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে চুক্তি রয়েছে তবে, তার লোকজনকে রক্তপণ অর্পন করা হবে এবং একজন মুসলিম ক্রীতদাস আযাদ করা (অপরিহার্য), সুতরাং যার সামর্থ্য নেই সে লাগাতার দু’মাস রোযা রাখবে। এটা হচ্ছে আল্লাহ্র নিকট তার তাওবা, এবং আল্লাহ্ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।
وَمَن يَقۡتُلۡ مُؤۡمِنٗا مُّتَعَمِّدٗا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدٗا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمٗا
আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে জেনে বুঝে হত্যা করে, তবে তার বদলা জাহান্নাম, দীর্ঘদিন তাতে থাকবে এবং আল্লাহ্ তার উপর রুষ্ট হয়েছেন আর তাকে অভিশম্পাত করেছেন। আর তার জন্য তৈরী রেখেছেন মহা শাস্তি।
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَتَبَيَّنُواْ وَلَا تَقُولُواْ لِمَنۡ أَلۡقَىٰٓ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَٰمَ لَسۡتَ مُؤۡمِنٗا تَبۡتَغُونَ عَرَضَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فَعِندَ ٱللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٞۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبۡلُ فَمَنَّ ٱللَّهُ عَلَيۡكُمۡ فَتَبَيَّنُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা জিহাদে যাত্রা করো তখন বাচাই করে নাও এবং যে তোমাদেরকে সালাম করে তাকে এটা বলো না, ‘তুমি মুসলমান নও।’ তোমরা ইহ-জীবনের সামগ্রী কামনা করছো। সুতরাং আল্লাহ্র নিকট প্রচুর অনায়াসলভ্য সম্পদ (গনীমত) রয়েছে। পূর্বে তোমরাও এরুপ ছিলো। অতঃপর আল্লাহ্ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং তোমাদের উপর যাচাই করা অপরিহার্য। নিশ্চয় আল্লাহ্র নিকট তোমাদের কার্যাদির খবর রয়েছে।
لَّا يَسۡتَوِي ٱلۡقَٰعِدُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ غَيۡرُ أُوْلِي ٱلضَّرَرِ وَٱلۡمُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ دَرَجَةٗۚ وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا
মুসলমানদের মধ্যে, যারা বিনা ওযরে জিহাদ থেকে বিরত থাকে এবং যারা আল্লাহ্র পথে স্বীয় প্রাণ ও ধন-সম্পদ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয়। আল্লাহ্ স্বীয় ধন সম্পদ এবং প্রাণ দ্বারা জিহাদকারীদের মর্যাদাকে যারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে তাদের চেয়ে বড় করেছেন, এবং আল্লাহ্ সকলের সাথে কল্যাণের ওয়াদা করেছেন; আর আল্লাহ্ জিহাদকারীদেরকে, যারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে তাদের উপর মহা পুরষ্কার দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।
دَرَجَٰتٖ مِّنۡهُ وَمَغۡفِرَةٗ وَرَحۡمَةٗۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمًا
তার নিকট থেকে অনেক মর্যাদা, ক্ষমা এবং দয়া; আর আল্লাহ্ ক্ষমাশীল দয়ালু।
إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَالُواْ فِيمَ كُنتُمۡۖ قَالُواْ كُنَّا مُسۡتَضۡعَفِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ قَالُوٓاْ أَلَمۡ تَكُنۡ أَرۡضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٗ فَتُهَاجِرُواْ فِيهَاۚ فَأُوْلَـٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا
ঐসব লোক, যাদের প্রাণ ফিরিশ্তারা বের করেন, এমতাবস্থায় যে, তারা নিজেদের উপর অত্যাচার করতো, তাদেরকে ফিরিশ্তারা বলে, ‘তোমরা কী অবস্থায় ছিলে?’ তারা বলে, ‘আমরা পৃথিবীতে দুর্বল ছিলাম।’ তারা বলে, ‘আল্লাহ্র যমীন কি প্রশস্ত ছিলো না যে, তোমরা তাতে হিজরত করতে?’ সুতরাং এমন লোকদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম এবং অতীব মন্দ জায়গা ফিরে যাবার;
إِلَّا ٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ لَا يَسۡتَطِيعُونَ حِيلَةٗ وَلَا يَهۡتَدُونَ سَبِيلٗا
কিন্তু ঐসব লোক, যাদেরকে দমিয়ে রাখা হয়েছে- পুরুষ, নারী ও শিশুগণ, যাদের না উপায় অবলম্বনের সুযোগ হয়, না পথের সন্ধান জানে,
فَأُوْلَـٰٓئِكَ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَعۡفُوَ عَنۡهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَفُوًّا غَفُورٗا
তবে অনতিবিলম্বে আল্লাহ্ এমন লোকদেরকে ক্ষমা করবেন; এবং আল্লাহ্ পাপমোচনকারী, ক্ষমাশীল।
۞وَمَن يُهَاجِرۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ يَجِدۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُرَٰغَمٗا كَثِيرٗا وَسَعَةٗۚ وَمَن يَخۡرُجۡ مِنۢ بَيۡتِهِۦ مُهَاجِرًا إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ يُدۡرِكۡهُ ٱلۡمَوۡتُ فَقَدۡ وَقَعَ أَجۡرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا
আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্র পথে ঘরবাড়ি ত্যাগ করে বের হবে সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং অবকাশ পাবে; আর যে ব্যক্তি আপন ঘর থেকে বের হয়েছে আল্লাহ্ ও রসূলের প্রতি হিজরতকারী হয়ে, অতঃপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসেছে, তবে তার পুরষ্কার আল্লাহ্র দায়িত্বে এসে গেছে। এবং আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।