بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
وَيَقُولُونَ طَاعَةٞ فَإِذَا بَرَزُواْ مِنۡ عِندِكَ بَيَّتَ طَآئِفَةٞ مِّنۡهُمۡ غَيۡرَ ٱلَّذِي تَقُولُۖ وَٱللَّهُ يَكۡتُبُ مَا يُبَيِّتُونَۖ فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا
এবং বলে, ‘আমরা নির্দেশ মান্য করেছি।’ অতঃপর যখন আপনার নিকট থেকে বের হয়ে যায় তখন তাদের মধ্যে একদল যা বলে দিয়েছিলো রাতে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে এবং আল্লাহ্ লিখে রাখেন তাদের রাতের পরিকল্পনাসমূহ। সুতরাং হে মাহবুব! আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং আল্লাহ্র উপর ভরসা রাখুন। আর আল্লাহ্ যথেষ্ট কার্য সমাধানের জন্য।
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا
তবে কি তারা গভীর চিন্তা করে না ক্বোরআনের মধ্যে? এবং যদি তা খোদাব্যতীত অন্য কারো নিকট থেকে হতো তবে তাতে বহু বিরোধ পেতো।
وَإِذَا جَآءَهُمۡ أَمۡرٞ مِّنَ ٱلۡأَمۡنِ أَوِ ٱلۡخَوۡفِ أَذَاعُواْ بِهِۦۖ وَلَوۡ رَدُّوهُ إِلَى ٱلرَّسُولِ وَإِلَىٰٓ أُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنۡهُمۡ لَعَلِمَهُ ٱلَّذِينَ يَسۡتَنۢبِطُونَهُۥ مِنۡهُمۡۗ وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ لَٱتَّبَعۡتُمُ ٱلشَّيۡطَٰنَ إِلَّا قَلِيلٗا
এবং যখন তাদের (অবুঝ ও দূর্বল মুসলমানদের) নিকটপ্রশান্তি অথবা শংকার কোন বার্তা আসতো তখন (তারা) সেটা প্রচার করে বেড়াতো আর যদি সেক্ষেত্রে (তারা) সেটা (প্রচার না করে) রসূল এবং নিজেদের ক্ষমতাসম্পন্ন লোকদের গোচরে আনতো তবে নিশ্চয় তাঁদের নিকট থেকে সেটার বাস্তবতা জানতে পারতো, যারা পরবর্তী (তথ্যানুসন্ধানের জন্য) প্রচেষ্টা চালায়; এবং যদি তোমাদের উপর আল্লাহ্র অনুগ্রহ এবং তাঁর দয়া না হতো, তবে অবশ্যই তোমরা শয়তানের অনুসরণ আরম্ভ করতে, অল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত।
فَقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفۡسَكَۚ وَحَرِّضِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأۡسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ وَٱللَّهُ أَشَدُّ بَأۡسٗا وَأَشَدُّ تَنكِيلٗا
সুতরাং হে মাহবুব! আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করুন। আপনাকে কষ্ট দেয়া হবেনা, কিন্তু নিজেরই কাজের জন্য এবং মুসলমানদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন! এটা দূরে নয় যে, আল্লাহ্ কাফিরদের প্রচন্ডতা প্রতিহত করবেন আর আল্লাহ্র শক্তি সর্বাধিক প্রবল এবং তাঁর শাস্তি সর্বাধিক কঠোর।
مَّن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةً حَسَنَةٗ يَكُن لَّهُۥ نَصِيبٞ مِّنۡهَاۖ وَمَن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةٗ سَيِّئَةٗ يَكُن لَّهُۥ كِفۡلٞ مِّنۡهَاۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ مُّقِيتٗا
যে ব্যক্তি ভাল সুপারিশ করে তার জন্য সেটার মধ্যে অংশ রয়েছে এবং যে মন্দ সুপারিশ করে তার জন্য সেটার মধ্য থেকে অংশ রয়েছে আর আল্লাহ্ প্রত্যেক কিছুর উপর শক্তিমান।
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٍ حَسِيبًا
এবং যখন তোমাদেরকে কেউ কোন বচন দ্বারা সালাম করে, তবে তোমরা তা অপেক্ষা উত্তম বচন তার জবাবে বলো, কিংবা অনুরুপই বলে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্ প্রত্যেক কিছুর হিসাব গ্রহণকারী।
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ لَيَجۡمَعَنَّكُمۡ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَا رَيۡبَ فِيهِۗ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ حَدِيثٗا
আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কারো ইবাদত নেই এবং তিনি নিশ্চয় তোমাদেরকে একত্র করবেন ক্বিয়ামতের দিন, যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই, আর আল্লাহ্ অপেক্ষা কার কথা অধিক সত্য?
۞فَمَا لَكُمۡ فِي ٱلۡمُنَٰفِقِينَ فِئَتَيۡنِ وَٱللَّهُ أَرۡكَسَهُم بِمَا كَسَبُوٓاْۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَهۡدُواْ مَنۡ أَضَلَّ ٱللَّهُۖ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلٗا
সুতরাং তোমাদের কী হলো যে, মুনাফিকদের সম্বন্ধে দু’দল হয়ে গেছো? এবং আল্লাহ্ তাদেরকে কুঁজো করে দিয়েছেন তাদের কৃতকর্মের কারণে। তোমরা কি এটা চাও যে, তাকেই সৎপথ প্রদর্শন করবে যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট করেছেন? এবং যাকে আল্লাহ্ পথভ্রষ্ট করেন, তবে তুমি কখনো তার জন্য পথ পাবে না।
وَدُّواْ لَوۡ تَكۡفُرُونَ كَمَا كَفَرُواْ فَتَكُونُونَ سَوَآءٗۖ فَلَا تَتَّخِذُواْ مِنۡهُمۡ أَوۡلِيَآءَ حَتَّىٰ يُهَاجِرُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَخُذُوهُمۡ وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ وَجَدتُّمُوهُمۡۖ وَلَا تَتَّخِذُواْ مِنۡهُمۡ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرًا
তারা তো এটা কামনা করে যে, কোন মতে তোমরাও কাফির হয়ে যাও, যেমন তারা কাফির হয়েছে যাতে তোমরা সবাই এক সমান হয়ে যাও। সুতারাং তাদের মধ্যে থেকে কাউকে স্বীয় বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্র পথে ঘর বাড়ি পরিত্যাগ করবে না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তাদেরকে গ্রেফতার করো এবং যেখানে পাও হত্যা করো, আর তাদের মধ্যে থেকে কাউকেও না বন্ধুরুপে গ্রহণ করো, না সাহায্যকারীরূপে।
إِلَّا ٱلَّذِينَ يَصِلُونَ إِلَىٰ قَوۡمِۭ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُم مِّيثَٰقٌ أَوۡ جَآءُوكُمۡ حَصِرَتۡ صُدُورُهُمۡ أَن يُقَٰتِلُوكُمۡ أَوۡ يُقَٰتِلُواْ قَوۡمَهُمۡۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَسَلَّطَهُمۡ عَلَيۡكُمۡ فَلَقَٰتَلُوكُمۡۚ فَإِنِ ٱعۡتَزَلُوكُمۡ فَلَمۡ يُقَٰتِلُوكُمۡ وَأَلۡقَوۡاْ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَمَ فَمَا جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمۡ عَلَيۡهِمۡ سَبِيلٗا
কিন্তু ঐ সব (লোককে হত্যা করো না) যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক রাখে, যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারবদ্ধ অথবা তোমাদের নিকট এমনভাবে আসলো যে, তাদের অন্তরসমূহে সাহস ছিলো না-তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার অথবা আপন সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধ করার। আর আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে অবশ্যই তাদেরকে তোমাদের উপর ক্ষমতা দিতেন। তখন তারা নিশ্চয় তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো। অতঃপর যদি তারা তোমাদের নিকট থেকে চলে যায় এবং যুদ্ধ না করে ও শান্তি প্রস্তাব করে, তবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ রাখেন নি।