Surah Englsh Translation, Transliteration Tafsir [11-20]

Read More
Read Less
 

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

 

لَهُۥ مُعَقِّبَٰتٞ مِّنۢ بَيۡنِ يَدَيۡهِ وَمِنۡ خَلۡفِهِۦ يَحۡفَظُونَهُۥ مِنۡ أَمۡرِ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنفُسِهِمۡۗ وَإِذَآ أَرَادَ ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ سُوٓءٗا فَلَا مَرَدَّ لَهُۥۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِۦ مِن وَالٍ

মানুষের জন্য পালাক্রমে আগমনকারী ফিরিশ্‌তা রয়েছে তাঁর সম্মুখে ও পশ্চাতে, যারা আল্লাহ্‌র আদেশে তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ করে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কোন সম্প্রদায়ের নিকট থেকে তাঁর নি’মাতের পরিবর্তন করেন না যতক্ষন পর্যন্ত তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে না এবং যখন আল্লাহ্‌ কোন সম্প্রদায়ের অমঙ্গল চান তখন সেটা রদ হতে পারে না এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।

هُوَ ٱلَّذِي يُرِيكُمُ ٱلۡبَرۡقَ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَيُنشِئُ ٱلسَّحَابَ ٱلثِّقَالَ

তিনিই হন, যিনি তোমাদেরকে বিজ্‌লী দেখান ভয় ও আশার নিমিত্ত এবং উত্তোলন করেন ভারী মেঘমালা;

وَيُسَبِّحُ ٱلرَّعۡدُ بِحَمۡدِهِۦ وَٱلۡمَلَـٰٓئِكَةُ مِنۡ خِيفَتِهِۦ وَيُرۡسِلُ ٱلصَّوَٰعِقَ فَيُصِيبُ بِهَا مَن يَشَآءُ وَهُمۡ يُجَٰدِلُونَ فِي ٱللَّهِ وَهُوَ شَدِيدُ ٱلۡمِحَالِ

এবং বজ্র তাঁর প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে আজ ফিরিশ্‌তাগণ তাঁর ভয়ে; এবং তিনি বজ্র প্রেরণ করেন, অতঃপর সেটা আপতিত করেন যার উপর চান আর তারা আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে বাকবিতণ্ডা করতে থাকে; এবং তাঁর পাকড়াও কঠোর।

لَهُۥ دَعۡوَةُ ٱلۡحَقِّۚ وَٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ لَا يَسۡتَجِيبُونَ لَهُم بِشَيۡءٍ إِلَّا كَبَٰسِطِ كَفَّيۡهِ إِلَى ٱلۡمَآءِ لِيَبۡلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَٰلِغِهِۦۚ وَمَا دُعَآءُ ٱلۡكَٰفِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَٰلٖ

তাঁরই আহ্বান সত্য; এবং তিনি ব্যতীত যাদেরকে তারা আহ্বান করে সেগুলো তাদের কিছুই শুনে না, কিন্তু ওই ব্যক্তির মতো, যে পানির সামনে আপন হাতের তালুদ্বয় প্রসারিত করে বসে থাকে এ জন্য যে, সেটা তাঁর মুখে পৌছে যাবে, এবং তা কখনো পৌছবে না; আর কাফিরদের প্রত্যেক বর্ণনা নিষ্ফল হয়ে ফিরে।

۩ وَلِلَّهِۤ يَسۡجُدُۤ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ طَوۡعٗا وَكَرۡهٗا وَظِلَٰلُهُم بِٱلۡغُدُوِّ وَٱلۡأٓصَالِ

এবং আল্লাহ্‌কেই সাজদা করে যতকিছু আসমানসমূহে ও যমীনে রয়েছে- ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায় এবং তাদের ছায়াগুলো প্রত্যেক সকাল ও সন্ধ্যায়।

قُلۡ مَن رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ قُلِ ٱللَّهُۚ قُلۡ أَفَٱتَّخَذۡتُم مِّن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ لَا يَمۡلِكُونَ لِأَنفُسِهِمۡ نَفۡعٗا وَلَا ضَرّٗاۚ قُلۡ هَلۡ يَسۡتَوِي ٱلۡأَعۡمَىٰ وَٱلۡبَصِيرُ أَمۡ هَلۡ تَسۡتَوِي ٱلظُّلُمَٰتُ وَٱلنُّورُۗ أَمۡ جَعَلُواْ لِلَّهِ شُرَكَآءَ خَلَقُواْ كَخَلۡقِهِۦ فَتَشَٰبَهَ ٱلۡخَلۡقُ عَلَيۡهِمۡۚ قُلِ ٱللَّهُ خَٰلِقُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّـٰرُ

আপনি বলুন, ‘কে রব আসমানসমূহ ও যমীনের?’ আপনি নিজেই বলুন, ‘আল্লাহ্‌, ’ আপনি বলুন! ‘তবে কি তোমরা তিনি ব্যতীত এমন সবকে অভিভাবকররূপে গ্রহণ করেছো, যারা নিজেদের উপকার ও অপকার করতে পারে না?’ আপনি বলুন, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হয়ে যাবে, অথবা অন্ধকার এবং আলো কি সমান হয়ে যাবে? তারা কি আল্লাহ্‌র জন্য এমন শরীক স্থির করেছে, যারা আল্লাহ্‌র মতো কিছু সৃষ্টি করেছে, যে কারণে তাদের নিকট সেগুলোর এবং তাঁর সৃষ্টি করা এক ধরণের মনে হয়েছে?’ আপনি বলুন, ‘আল্লাহ্‌ প্রত্যেক বস্তুর স্রষ্টা এবং তিনি একাই সবার উপর বিজয়ী’।

أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَسَالَتۡ أَوۡدِيَةُۢ بِقَدَرِهَا فَٱحۡتَمَلَ ٱلسَّيۡلُ زَبَدٗا رَّابِيٗاۖ وَمِمَّا يُوقِدُونَ عَلَيۡهِ فِي ٱلنَّارِ ٱبۡتِغَآءَ حِلۡيَةٍ أَوۡ مَتَٰعٖ زَبَدٞ مِّثۡلُهُۥۚ كَذَٰلِكَ يَضۡرِبُ ٱللَّهُ ٱلۡحَقَّ وَٱلۡبَٰطِلَۚ فَأَمَّا ٱلزَّبَدُ فَيَذۡهَبُ جُفَآءٗۖ وَأَمَّا مَا يَنفَعُ ٱلنَّاسَ فَيَمۡكُثُ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ كَذَٰلِكَ يَضۡرِبُ ٱللَّهُ ٱلۡأَمۡثَالَ

তিনি আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেছেন। ফলে, উপত্যাকাগুলো আপন আপন উপযুক্ততা মোতাবেক প্রবাহিত হলো। অতঃপর জলস্রোত সেটার উপরিভাগে ভেসে উঠা ফেনা বহন করে নিয়ে এলো; এবং গয়না অথবা অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরী করার উদ্দেশ্যে, যেটার উপর আগুন প্রজ্বলিত করে তা থেকেও অনুরূপ ফেনা উঠে। আল্লাহ্‌ বলে দেন যে, হক ও বাতিলের এই উপমা; সুতরাং ফেনা তো এমনিতেই দূর হয়ে যায় আর যা মানুষের কাজে আসে তা যমীনে থেকে যায়। আল্লাহ্‌ এভাবে উপমাসমূহ বর্ণনা করেন।

لِلَّذِينَ ٱسۡتَجَابُواْ لِرَبِّهِمُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَٱلَّذِينَ لَمۡ يَسۡتَجِيبُواْ لَهُۥ لَوۡ أَنَّ لَهُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا وَمِثۡلَهُۥ مَعَهُۥ لَٱفۡتَدَوۡاْ بِهِۦٓۚ أُوْلَـٰٓئِكَ لَهُمۡ سُوٓءُ ٱلۡحِسَابِ وَمَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمِهَادُ

যে সব লোক আপন রবের আদেশ মান্য করেছে তাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। এবং যারা তাঁর হুকুম অমান্য করেছে, যদি যমীনে যা কিছু আছে সেসব এবং এর সমপরিমাণ আরো কিছু তাদের মালিকানায় থাকতো, তবে তারা আপন প্রাণ বাচানোর জন্য দিয়ে দিতো। এরাই হচ্ছে, যাদের মন্দ হিসাব হবে; এবং তাদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম; আর তা কতই নিকৃষ্ট বিছানা!

۞أَفَمَن يَعۡلَمُ أَنَّمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَ ٱلۡحَقُّ كَمَنۡ هُوَ أَعۡمَىٰٓۚ إِنَّمَا يَتَذَكَّرُ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ

তবে কি ওই ব্যক্তি, যে জানে যে, যা কিছু (হে হাবীব) আপনার প্রতি আপনার রবের নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, সত্য, সে ব্যক্তি কি ওই ব্যক্তির মতো হবে, যে অন্ধ? উপদেশ তারাই মান্য করে যাদের বিবেক শক্তি রয়েছে;

ٱلَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهۡدِ ٱللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ ٱلۡمِيثَٰقَ

ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র প্রদত্ত অঙ্গীকার পূর্ণ করে এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বেড়ায় না।

Surah bangla Translation and Transliteration

In Surah you can read the translation of Ahmad Raza Khan who was a renowned scholar of the Islamic world and his translation book is known as Kanzul Imaan. You can read the transliteration of Surah which will help you to understand how to read the Arabic text. Apart from that, we have included a Word-By-Word bangla Translation of the Arabic text of Surah .

Surah bangla Tafsir/Tafseer (Commentry)

In Surah we have included two Tafseer (Commentary) in bangla. The first one is from Mufti Ahmad Yaar Khan who was a well-known scholar. In this tafsir, we have also included the most popular Tafsir Ibn-Kathir which is the most comprehensive tafsir available in the world. You can read both or any one of your choice.

Sign up for Newsletter