بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
۞أَوَلَمۡ يَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَيَنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ كَانُواْ مِن قَبۡلِهِمۡۚ كَانُواْ هُمۡ أَشَدَّ مِنۡهُمۡ قُوَّةٗ وَءَاثَارٗا فِي ٱلۡأَرۡضِ فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُ بِذُنُوبِهِمۡ وَمَا كَانَ لَهُم مِّنَ ٱللَّهِ مِن وَاقٖ
তবে কি তারা পৃথিবী-পৃষ্ঠে ভ্রমণ করে নি? তা হলে দেখতো কেমন পরিণতি হয়েছে তাদের পূর্ববর্তীদের। তাদের ক্ষমতা ও যমীনের মধ্যে তারা যে সব নিদর্শন রেখে গেছে তা এদের চেয়েও অধিকতর। অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের পাপগুলোর উপর পাকড়াও করেছেন এবং আল্লাহ্ থেকে তাদেরকে রক্ষা করার কেউ নেই।
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَانَت تَّأۡتِيهِمۡ رُسُلُهُم بِٱلۡبَيِّنَٰتِ فَكَفَرُواْ فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُۚ إِنَّهُۥ قَوِيّٞ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ
এটা এ জন্য যে, তাদের নিকট তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে অতঃপর তারা কুফর করতো। সুতরাং আল্লাহ্ তাদেরকে পাকড়াও করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ শক্তিশালী, কঠোর শাস্তিদাতা।
وَلَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا مُوسَىٰ بِـَٔايَٰتِنَا وَسُلۡطَٰنٖ مُّبِينٍ
এবং নিশ্চয় আমি মূসাকে আপন নিদর্শনসমূহ ও সুস্পষ্ট সনদ সহকারে প্রেরণ করেছি;
إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ وَهَٰمَٰنَ وَقَٰرُونَ فَقَالُواْ سَٰحِرٞ كَذَّابٞ
ফির’আউন, হামান ও ক্বারূনের প্রতি; অতঃপর তারা বললো, ‘এ’তো যাদুকর, বড় মিথ্যাবাদী’।
فَلَمَّا جَآءَهُم بِٱلۡحَقِّ مِنۡ عِندِنَا قَالُواْ ٱقۡتُلُوٓاْ أَبۡنَآءَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥ وَٱسۡتَحۡيُواْ نِسَآءَهُمۡۚ وَمَا كَيۡدُ ٱلۡكَٰفِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَٰلٖ
অতঃপর যখন সে তাদের প্রতি আমার নিকট থেকে সত্য নিয়ে এসেছে, তখন বললো, ‘যারা তার উপর ঈমান এনেছে তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা করো এবং নারীদেরকে জীবিত রাখো!’ আর কাফিরদের ষড়যন্ত্রতো নয়, কিন্তু উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরা ফিরা করা মাত্র।
وَقَالَ فِرۡعَوۡنُ ذَرُونِيٓ أَقۡتُلۡ مُوسَىٰ وَلۡيَدۡعُ رَبَّهُۥٓۖ إِنِّيٓ أَخَافُ أَن يُبَدِّلَ دِينَكُمۡ أَوۡ أَن يُظۡهِرَ فِي ٱلۡأَرۡضِ ٱلۡفَسَادَ
এবং ফির’আউন বললো, ‘আমাকে ছেড়ে দাও আমি মূসাকে হত্যা করবো এবং সে আপন রবকে আহ্বান করুক! আমি আশঙ্কা করছি যে, সে তোমাদের ধর্মে পরিবর্তন ঘটাবে অথবা যমীনের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়াবে।
وَقَالَ مُوسَىٰٓ إِنِّي عُذۡتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُم مِّن كُلِّ مُتَكَبِّرٖ لَّا يُؤۡمِنُ بِيَوۡمِ ٱلۡحِسَابِ
এবং মূসা বললো, ‘আমি তোমাদের ও আমার রবের আশ্রয় নিচ্ছি প্রত্যেক ওই দাম্ভিক থেকে, যে হিসাবের দিনকে বিশ্বাস করে না’।
وَقَالَ رَجُلٞ مُّؤۡمِنٞ مِّنۡ ءَالِ فِرۡعَوۡنَ يَكۡتُمُ إِيمَٰنَهُۥٓ أَتَقۡتُلُونَ رَجُلًا أَن يَقُولَ رَبِّيَ ٱللَّهُ وَقَدۡ جَآءَكُم بِٱلۡبَيِّنَٰتِ مِن رَّبِّكُمۡۖ وَإِن يَكُ كَٰذِبٗا فَعَلَيۡهِ كَذِبُهُۥۖ وَإِن يَكُ صَادِقٗا يُصِبۡكُم بَعۡضُ ٱلَّذِي يَعِدُكُمۡۖ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي مَنۡ هُوَ مُسۡرِفٞ كَذَّابٞ
এবং ফির’আউনী সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এক মুসলিম ব্যক্তি, যে আপন ঈমানকে গোপন রাখতো বললো, ‘তোমরা একজন লোককে কি এজন্যই হত্যা করছো যে, তিনি বলেন- আমার রব আল্লাহ্; অথচ নিশ্চয় তিনি সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ তোমাদের নিকট তোমাদের রবের নিকট থেকে নিয়ে এসেছেন? এবং যদি এ কথা মনে করা হয় যে, তিনি ভুল বলছেন, তবে তার ভুল বলার অশুভ পরিণাম তাঁরই উপর বর্তাবে, আর যদি তিনি সত্যবাদী হন, তবে তোমাদেরকেও স্পর্শ করবে এমন কিছু, যার প্রতিশ্রুতি তিনি তোমাদেরকে দিচ্ছেন’। নিশ্চয় আল্লাহ্ পথ প্রদান করেন না তাকেই, যে সীমা লঙ্ঘনকারী, মহা মিথ্যাবাদী।
يَٰقَوۡمِ لَكُمُ ٱلۡمُلۡكُ ٱلۡيَوۡمَ ظَٰهِرِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَمَن يَنصُرُنَا مِنۢ بَأۡسِ ٱللَّهِ إِن جَآءَنَاۚ قَالَ فِرۡعَوۡنُ مَآ أُرِيكُمۡ إِلَّا مَآ أَرَىٰ وَمَآ أَهۡدِيكُمۡ إِلَّا سَبِيلَ ٱلرَّشَادِ
হে আমার সম্প্রদায়! আজ বাদশাহী তোমাদেরই; তোমরাই এই ভূমিতে আধিপত্য রাখো। তবে আল্লাহ্র শাস্তি থেকে আমাদেরকে কে রক্ষা করবে, যদি আমাদের উপর এসে পড়ে? ফির’আউন বললো, ‘আমিতো তোমাদেরকে তা-ই বুঝাই, যা আমার বুঝে আসে। আর আমি তোমাদেরকে তা-ই বলি, যা মঙ্গলেরই পথ’।
وَقَالَ ٱلَّذِيٓ ءَامَنَ يَٰقَوۡمِ إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُم مِّثۡلَ يَوۡمِ ٱلۡأَحۡزَابِ
এবং ওই ঈমানদার লোক বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! আমি তোমাদের উপর পূর্ববর্তী সম্প্রদায়গুলোর দিনের মত আশঙ্কা করছি;