بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
قَالُواْ سَنُرَٰوِدُ عَنۡهُ أَبَاهُ وَإِنَّا لَفَٰعِلُونَ
(তারা) বললো, ‘আমরা এর কামনা করবো তার পিতার নিকট এবং অবশ্যই এটা আমাদের করা উচিত’।
وَقَالَ لِفِتۡيَٰنِهِ ٱجۡعَلُواْ بِضَٰعَتَهُمۡ فِي رِحَالِهِمۡ لَعَلَّهُمۡ يَعۡرِفُونَهَآ إِذَا ٱنقَلَبُوٓاْ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِمۡ لَعَلَّهُمۡ يَرۡجِعُونَ
এবং ইয়ূসুফ নিজ ভৃত্যদেরকে বললো, ‘তাদের মূলধন (পণ্যমূল্য) তাদেরই (মালপত্রের) ঝুলির মধ্যে রেখে দাও হয় তো তারা এটা বুঝতে পারবে যখন তারা আপন ঘরের দিকে ফিরে যাবে হয় তো তারা ফিরে আসবে’।
فَلَمَّا رَجَعُوٓاْ إِلَىٰٓ أَبِيهِمۡ قَالُواْ يَـٰٓأَبَانَا مُنِعَ مِنَّا ٱلۡكَيۡلُ فَأَرۡسِلۡ مَعَنَآ أَخَانَا نَكۡتَلۡ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ
অতঃপর যখন তারা তাদের পিতার নিকট ফিরে গেলো, তখন বললো, ‘হে আমাদের পিতা! আমাদের জন্য খাদ্য শস্য (এর বরাদ্দ) নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে; সুতরাং আমাদের ভাইকে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দিন,যাতে আমরা রসদ আনতে পারি এবং আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণ করবো’।
قَالَ هَلۡ ءَامَنُكُمۡ عَلَيۡهِ إِلَّا كَمَآ أَمِنتُكُمۡ عَلَىٰٓ أَخِيهِ مِن قَبۡلُ فَٱللَّهُ خَيۡرٌ حَٰفِظٗاۖ وَهُوَ أَرۡحَمُ ٱلرَّـٰحِمِينَ
বললো, ‘আমি কি তার সম্পর্কে তোমাদেরকে তেমনই বিশ্বাস করবো, যেমনপূর্বে তার ভাই সম্বন্ধে করেছিলাম? সুতরাং আল্লাহ্ সর্বাধিক উত্তম রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তিনি সব দয়ালুর শ্রেষ্ঠ দয়ালু’।
وَلَمَّا فَتَحُواْ مَتَٰعَهُمۡ وَجَدُواْ بِضَٰعَتَهُمۡ رُدَّتۡ إِلَيۡهِمۡۖ قَالُواْ يَـٰٓأَبَانَا مَا نَبۡغِيۖ هَٰذِهِۦ بِضَٰعَتُنَا رُدَّتۡ إِلَيۡنَاۖ وَنَمِيرُ أَهۡلَنَا وَنَحۡفَظُ أَخَانَا وَنَزۡدَادُ كَيۡلَ بَعِيرٖۖ ذَٰلِكَ كَيۡلٞ يَسِيرٞ
এবং যখন তারা তাদের মালপত্র খুললো, তখন তারা তাদের মূলধন (পণ্যমূল্য) দেখতে পেলো যে, তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে; এবং তারা বললো, ‘হে আমাদের পিতা! এখন আর কি চাইবো- এই হচ্ছে আমাদের মূলধন (পণ্যমূল্য), যা আমাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়েছে; এবং আমরা আমাদের ঘরের জন্য খাদ্য সামগ্রী আনবো এবং আমাদের ভাইয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করবো আর আমরা অতিরিক্ত আরেক ঊষ্ট্র বোঝাই পণ্য পাবো, এ দান বাদশাহর সম্মুখে কিছুই নয়’।
قَالَ لَنۡ أُرۡسِلَهُۥ مَعَكُمۡ حَتَّىٰ تُؤۡتُونِ مَوۡثِقٗا مِّنَ ٱللَّهِ لَتَأۡتُنَّنِي بِهِۦٓ إِلَّآ أَن يُحَاطَ بِكُمۡۖ فَلَمَّآ ءَاتَوۡهُ مَوۡثِقَهُمۡ قَالَ ٱللَّهُ عَلَىٰ مَا نَقُولُ وَكِيلٞ
বললো, ‘আমি কখনো তাকে তোমাদের সাথে পাঠাবো না যতক্ষণ না তোমরা আমার নিকট আল্লাহ্র নামে এ অঙ্গীকার করো যে, অবশ্যই তোমরা তাকে নিয়ে আসবে; কিন্তু যদি তোমরা পরিবেষ্টিত হয়ে পড়ো’। অতঃপর যখন তারা ইয়া’কূবের নিকট প্রতিজ্ঞা করলো তখন বললো, ‘আল্লাহ্রই যিম্মা এ কথার উপর, যা আমরা বলছি’।
وَقَالَ يَٰبَنِيَّ لَا تَدۡخُلُواْ مِنۢ بَابٖ وَٰحِدٖ وَٱدۡخُلُواْ مِنۡ أَبۡوَٰبٖ مُّتَفَرِّقَةٖۖ وَمَآ أُغۡنِي عَنكُم مِّنَ ٱللَّهِ مِن شَيۡءٍۖ إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِۖ عَلَيۡهِ تَوَكَّلۡتُۖ وَعَلَيۡهِ فَلۡيَتَوَكَّلِ ٱلۡمُتَوَكِّلُونَ
এবং বললো, ‘হে আমার পুত্রগণ! তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না; বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ থেকে বাচাতে পারি না। নির্দেশ তো সব আল্লাহ্রই। আমি তারই উপর ভরসা করেছি; এবং ভরসাকারীদের তারই উপর ভরসা করা উচিত’।
وَلَمَّا دَخَلُواْ مِنۡ حَيۡثُ أَمَرَهُمۡ أَبُوهُم مَّا كَانَ يُغۡنِي عَنۡهُم مِّنَ ٱللَّهِ مِن شَيۡءٍ إِلَّا حَاجَةٗ فِي نَفۡسِ يَعۡقُوبَ قَضَىٰهَاۚ وَإِنَّهُۥ لَذُو عِلۡمٖ لِّمَا عَلَّمۡنَٰهُ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ
এবং যখন তারা প্রবেশ করলো যেভাবে তাদের পিতা নির্দেশ দিয়েছিলো সে তো তাদেরকে আল্লাহ্ থেকে কিছুই রক্ষা করতে পারতো না; তবে হ্যাঁ, ইয়া’কুবের অন্তরের একটা অভিপ্রায় ছিলো, যা সে পূর্ণ করে নিয়েছে এবং নিশ্চয় সে জ্ঞানী, আমার শিক্ষা দানের ফলে; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
وَلَمَّا دَخَلُواْ عَلَىٰ يُوسُفَ ءَاوَىٰٓ إِلَيۡهِ أَخَاهُۖ قَالَ إِنِّيٓ أَنَا۠ أَخُوكَ فَلَا تَبۡتَئِسۡ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ
এবং যখন তারা ইয়ূসুফের নিকট গেলো, তখন সে আপন সহোদরকে নিজের পাশে স্থান দিলো, বললো, ‘বিশ্বাস করো আমিই তোমার সহোদর, সুতরাং এরা যা কিছু করছে তার জন্য দুঃখ করো না’।
فَلَمَّا جَهَّزَهُم بِجَهَازِهِمۡ جَعَلَ ٱلسِّقَايَةَ فِي رَحۡلِ أَخِيهِ ثُمَّ أَذَّنَ مُؤَذِّنٌ أَيَّتُهَا ٱلۡعِيرُ إِنَّكُمۡ لَسَٰرِقُونَ
অতঃপর যখন তাদের সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিলো, তখন পেয়ালা সে আপন সহোদরের হাওদার মধ্যে রেখে দিলো, অতঃপর এক ঘোষক চিৎকার করে বললো, ‘হে যাত্রীদল! নিশ্চয় তোমরা চোর’।